মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে পা পিছলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া মো. লোকমান হোসেনের (২৮) লাশ ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে মোল্লারচর এলাকার নদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করে।
নিখোঁজ লোকমান হোসেন ভোলা জেলার তজুমউদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে 'ফারহান-৩' নামের মনপুরা থেকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে থামলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লোকমান হোসেন তার স্ত্রী রিপা আক্তার, চাচাতো ভাই শিহাদ ও সোহেলকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চে যাত্রা করছিলেন। ঘাটে পৌঁছে সফরসঙ্গী সোহেলকে নামিয়ে দিতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে নদীতে পড়ে যান লোকমান।
চাচাতো ভাই শিহাদ জানান, ‘সোহেলকে নামাতে গিয়ে পিছন থেকে সহায়তা করছিল লোকমান। ঠিক তখনই তার পা পিছলে যায় এবং মুহূর্তেই সে নদীতে পড়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।’
দুর্ঘটনার পরপরই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সোমবার সারাদিন কোনো সন্ধান মেলেনি। ফলে স্বজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মোল্লারচর এলাকায় নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, নদীপথে যাতায়াতে বাড়তি সতর্কতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে—যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। নিখোঁজের পর থেকে আমরা উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রাখি। লাশ উদ্ধার করে আমরা নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি