স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ইছামতি নদীর পানি বেড়েছে। এই পানি রুদ্রপুর খাল দিয়ে ঢুকে শার্শার দক্ষিণাঞ্চলের মাঠ-ঘাট ভাসিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
দক্ষিণের কায়বা, গোগা, বাগআঁচড়া, উলাশী ও পুটখালী ইউনিয়নের বিল অঞ্চল তলিয়ে ভেসে গেছে জমির ফসল। বিশেষ করে ইছামতি নদী খনন না করায় পলি জমে নদী ভরাট হয়ে পানি ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।
রুদ্রপুর গ্রামের খালধারপাড়ার সিরাজুল ইসলাম জানান, বিলে প্রতিদিন আধা ফুট করে পানি বাড়ছে। ইছামতির পানি খাল দিয়ে ঢুকে পড়ছে শার্শায়। দাদখালি খালের মুখে স্লুইস গেইট থাকলেও তা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় পানি আটকানো সম্ভব হচ্ছে না।
কায়বা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, কায়বার ঠেঙামারী, আওয়ালী ও গোমর, পাতাপাড়া, ডেয়ো ও মহিষা বিলের আশপাশের প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আউশ, আমন, সবজিসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দাদখালি খালসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে বশে কয়েকজনকে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল জানান, ইছমতি নদীটি খনন না করায় বর্ষায় প্রতিবছর নদীর পানি উপচে বাংলাদেশে ঢুকে উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। দাদখালি খালের ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটি মেরামত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।