শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার মাঝিয়ালী গ্রামে স্বামী বিজয় দাসের বাড়ি থেকে নিহত লিপিকা দাসের (২৩) লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুক ও পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে বিজয় দাস স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
এঘটনায়, বিজয় দাসকে আটক করেছে পুলিশ। মাঝিয়ালী গ্রামের ধীরেন দাসের ছেলে বিজয় জুতা সেলাই করে সংসার চালান।
৬-৭ বছর আগে বিজয় দাসের সাথে বিয়ে হয় লিপিকার। সে কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি গ্রামের পাগল দাসের মেয়ে। ওই দম্পতির প্রীতি (৪) ও প্রিতম (২) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
লিপিকার ভাই সাধন দাস অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে ঘরে নিতে চাইতো না বিজয়। টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিজয় তাকে মারধর করত। কয়েকদিন আগেও জমি কিনবে বলে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেই টাকা দিতে না পারায় লিপিকাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি দাবি করেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পরপরই লিপিকাকে হত্যা করে গলায় লুঙি জড়িয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে বিজয়। লিপিকার মরার খবর বিজয় আমাদের জানায়নি। লিপিকা আত্মহত্যা করেছে এমন খবর ছড়িয়ে তাকে পোড়ানোর জন্য শ্মশানে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়। বিজয়ের প্রতিবেশিরা মোবাইলে আমাদেরকে এ খবর জানানোর পরে আমরা তার বাড়িতে যাই।’
এদিকে, লিপিকার ভাবি (বৌদি) শোভা দাস বলেন, ‘বিজয় আগের স্ত্রী ও চার সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন করে লিপিকাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে এক বছরও ভালোভাবে সংসার করতে পারেনি লিপিকা। বিজয় ঢাকা ও চট্টগ্রামে জুতা সেলাইয়ের কাজ করতো। লিপিকাও তার সাথে থাকত। চট্টগ্রামে এক নারীর সাথে বিজয়ের পরকীয়া আছে। এই কারণে লিপিকাকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় বিজয়। পরে কেশবপুরে আমাদের বাড়িতে লিপিকা নিয়ে আসি এবং কেশবপুর থানায় অভিযোগ করি। পরে গত ২২ ডিসেম্বর থানায় মুচলেকা দিয়ে লিপিকাকে নিয়ে আসে বিজয় এবং শনিবার রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।’
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লিপিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজয়কে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।