রাজশাহীতে অর্থের বিনিময়ে করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জিম্মিকারী ও প্রতারণা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার রাতে নগরীর হেতেমখা কলাবাগান এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন, রাজশাহী সিভিল সার্জনের অফিস সহায়ক তারেক আহসান (৪১), তার সহযোগী রাজশাহী বক্ষব্যধি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক রফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা (৩৮)।
আরও পড়ুন: গ্রাহক প্রতারণা: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) আরেফিন জুয়েল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে একটি চক্র বিদেশগামী মানুষদের করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে জিম্মি করে আসছে। করোনা পরীক্ষা সার্টিফিকেটে নেগেটিভ দেয়ার নামে চক্রটি বিদেশগামী মানুষদের থেকে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রাহক প্রতারণা: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
চক্রটির মূলহোতা ছিলেন তারেক আহসান। তার সহযোগী রফিকুল ইসলাম। এই দুজন করোনা নমুনা পরীক্ষা করা মানুষগুলোর তালিকা সংগ্রহ করতেন। এর পরে টাকার দেন-দরবার করতেন রাকিবের স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা। তিনি করোনার নমুনা দেয়া মানুষগুলোকে ফোন করে বলতেন, আপনার করোনার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। টাকা দিলে নেগেটিভ করে দেয়া হবে। এনিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে টাকার বিষয়টি মেলাতেন তিনি। পরে টাকা বিকাশের মাধ্যেমে নিতেন তিনি।
জানা গেছে, যে সকল বিদেশগামী মানুষ করোনার নমুনা দিতেন, তাদের মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় থাকে কাগজপত্র জমা দেয়ার। তাই বেশি চাপে থাকতেন। এই সুযোগটি কাজে লাগাতো এই চক্রটি। চক্রটি গত চার মাস থেকে এই প্রতারণা চালিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন বিদেশগামী মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ১
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, চক্রটি ৩০টি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে। এছাড়া ১০০টি করোনা নমুনার সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা তিন থেকে চারজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।