র্যাব-১ গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্প সূত্র জানায়, গত ৩ আগস্ট নগরের বিলাসপুর এলাকা থেকে এক নারীসহ অপহরণকারী চক্রের পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন নিজাম, জনি, তুষার বর্মন, ফয়সাল ও মলিনা আক্তার শিমু। তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে আনা রাজধানীর দুই ব্যবসায়ী সজল ও ডালিমকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের মেজরসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে মানুষের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহের আনোয়ার পাশাকে ২৪ আগস্ট নগরের আউটপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পিস্তল, গুলি ও র্যাবের পোশাক উদ্ধার করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট রাতে আউটপাড়া এলাকা থেকে দুই অপহরণকারী শামীম মোল্লা ও রাজু মোল্লাকে আটক করা হয়। তারা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কালিয়াকৈর থেকে যুবক ইশতিয়াককে অপহরণ করেছিলেন।
টঙ্গী বাজার, বোর্ড বাজার ও কাপাসিয়া থেকে ২৩ ও ২৪ আগস্ট আট মাদক কারবারিকে বিদেশি মদ, বিয়ার ও গাঁজাসহ আটক করা হয়।
নগরের মোগরখাল এলাকায় একটি মাইক্রোবাস থেকে সাড়ে ১৩ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি ও পাচারকারী রফিকুল ও অঞ্জনকে আটক করা হয় ২১ আগস্ট।
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শ্রীপুরের এক গৃহবধূকে ধর্ষণকারী রিপনকে আটক করা হয় ১৯ আগস্ট।
প্রেমের বিয়েতে বাধা দেয়ায় নগরের চান্দনা এলাকায় দুলাভাই রুবেল মিয়াকে হত্যাকারী বখাটে যুবক আসিফ হায়দারকে ৭ আগস্ট ঢাকার মিরপুর কালসী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৪ আগস্ট ৫০০ ইয়াবাসহ কোনাবাড়ির আমবাগ এলাকা থেকে দুই মাদক কারবারি রাজ্জাক ও শাহজাহানকে আটক করে র্যাব।
প্রায় এক মাস আগে শ্রীপুরের সোহানকে (১০) অপহরণ ও পুড়িয়ে হত্যা করার পর ৩১ আগস্ট ময়লার ভাগাড় থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে ১ সেপ্টেম্বর হত্যাকারী আজিজুল ইসলামকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়।
পোড়াবাড়ি র্যাব ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘অপরাধ দমনের লক্ষ্যে খুনি, অপহরণকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী গ্রেপ্তারে র্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গাজীপুরে অনেক হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এ ভূমিকা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।’