এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আসামি করা হয় আক্তার হোসেনসহ পাঁচজনকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট ইউনিয়নের স্কুল পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর (১৫) সাথে একই গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে আক্তার হোসেন (২৪) বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে স্কুল ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ধর্ষকের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে।
এদিকে ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তুষভান্ডার চিড়ার মিল নামক স্থানে ধর্ষকের ভাইয়েরা ভিকটিমকে অপহরণ করার চেষ্টা করেন।
কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের সাথে হওয়া ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির কঠিন শাস্তি চাই।’
‘প্রতিদিন অপরিচিত নম্বর দিয়ে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে চলছে। বুঝতে পারছি না তারা আবার কখন কি ক্ষতি করে বসেন,’ বলেন তিনি।
আসামি আক্তারের ভাই আকরাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’