অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের দাবি পুত্রবধূ ও মেয়ে অসহায় রয়েছেন বলে তাদের ভিজিএফ কার্ড দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।
জানা গেছে, রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মালেক সরদার ১৫টি ভিজিএফ চালের কার্ড পেয়েছেন। গত জুলাই মাসে তিনি সেই চাল বিতরণ করেছেন। চাল বিতরণের মাস্টার রোলের ২০৮ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায় সেলিনা আক্তার, ২১১ নম্বর ক্রমিকে রোজিনা, ২২২ নম্বর ক্রমিকে মোসা. জিয়াসমিন আক্তার ও ২৩৮ নম্বর ক্রমিকে মর্জিনা বেগমের নাম।
সেলিনা আক্তার ইউপি সদস্য মালেক সরদারের পুত্র বিল্লাল সরদারের স্ত্রী। বিল্লাল সরদার সৌদি প্রবাসী আর তার স্ত্রী সেলিনা শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকায় বসবাস করেন। ইউপি সদস্যের মেয়ে জিয়াসমিন আক্তারের একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বিয়ে হয়েছে। তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। ওই ওয়ার্ডে রোজিনা নামে কোনো নারীর সন্ধান মেলেনি।
অন্যদিকে, মর্জিনা বেগম স্বামী আজিজুল ফকির নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেই আজিজুল ফকির একজন ঠিকাদার। তিনি একজন ধন্যাঢ্য ব্যক্তি এবং মোটরসাইকেলে চলাচল করেন। তাদের কেউই ভিজিএফ চাল নেননি এবং মাস্টার রোলেও তাদের কারো আঙ্গুলের ছাপ নেই।
ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশের সদস্যরা জানান, তাদের কেউ এই চাল উত্তোলনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে কখনো আসেননি। ভুয়া টিপসই দিয়ে চাল তুলে আত্মসাত করেছেন ইউপি সদস্য মালেক সরদার।
এ বিষয়ে মালেক সরদার বলেন, ‘এলাকার একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই মেয়ে ও পুত্রবধূর নামে দুইটি ভিজিএফ কার্ড রেখে অবশিষ্ট কার্ড এলাকার গরীব অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি।’
রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ঢালীসহ একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আলাপকালে জানা যায়, চেয়ারম্যান হোক বা মেম্বার, কোনো জনপ্রতিনিধির স্ত্রী-সন্তান বা পুত্রবধূর নামে ভিজিএফ কার্ড দেয়ার কোনো বিধান নেই।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, ‘কোনো ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্য ভিজিএফের চাল তার সন্তান-পুত্রবধূ, স্ত্রী ও নিকট আত্মীয়ের নামে রাখতে পারবে না। এ চাল গরীব অসহায় মানুষের জন্য। এমন ঘটনা কোথাও থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’