সম্প্রতি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের প্রতিনিধি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের নিকট ওই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ১৩ একর ভূমির দখলনামা হস্তান্তর করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মো. জাকারিয়া।
জানা গেছে, ১৯৫১ সালে উপজেলার বাল্লায় ৪ দশমিক ৩৭ একর ভূমির ওপর কাস্টমস শুল্ক স্টেশন স্থাপন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ১৯৯১ সালে পুনরায় এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ স্টেশন ও ভারতীয় সীমান্তের বুক চিরে খোয়াই নদী বহমান থাকায় পণ্য আনা নেয়ায় নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতো।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পরে বাংলাদেশ ও ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা বাল্লা এলাকায় কয়েক দফা পরিদর্শন শেষে বর্তমান স্থান থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে সরিয়ে কেদারাকোট নামক স্থানে পুর্নাঙ্গ একটি স্থলবন্দর স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী বাল্লায় একটি স্থলবন্দর স্থাপনের প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলে।
২০১২ সালের ১১ জুন বাংলদেশ ও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জে এক জনসভায় বাল্লায় স্থলবন্দর স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ বাল্লা স্থলবন্দরের ঘোষণা দেয়। ২০১৭ সালে বাল্লা স্থলবন্দর প্রকল্প একনেকে অনুমোদন লাভ করে। ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসন প্রস্তাবিত এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ র্কাক্রম শুরু করে।
এ প্রকল্পের জন্য ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। গত ২৭ সেপ্টম্বর ক্ষতিগ্রস্ত ৭৪ জন ভূমি মালিককে ক্ষতিপুরণের অর্থ গ্রহণ করার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়ে। এর মধ্যে ৩০ জন ভূমি মালিক তাদের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: টেক্সটাইলে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কঠিন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারে: প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘বাল্লা স্থলবন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমির দখলনামা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি গেজেট নোটিফিকেশন হবে।’
এদিকে, স্থলবন্দর এলাকায় ড্রেনসহ সীমানা দেয়াল, গার্ড রুম ও গেইট নির্মাণ এবং ওপেন স্টেক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, আভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও ভূমি উন্নয়ন কাজের জন্য স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করেছেন। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ৯০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।