তারা হলেন- ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক, সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক ও সিভিল সার্জন অফিসের এক অফিস সহায়কসহ আরও একজন।
এদিকে, শুক্রবার রাত ৮টায় জেলা হাসপাতাল ও নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ ল্যাবে পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় শেষে ছয়জনের করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ নিয়ে জেলায় ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে নয়জনই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী। আক্রান্তদের স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।
গত ৫ এপ্রিল সর্বপ্রথম এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী উপজেলায় দুই নারী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন। ওই দুজন বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিবুর রহমান বলেন, নকলা থেকে ১৭ জনসহ জেলার ৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে দুই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতাল আপাতত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জরুরি বিভাগে সীমিত আকারে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল কাশেম মো. আনোয়ারুর রউফ বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে জেলা হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসও লকডাউনের চিন্তা ভাবনা চলছে।