নালিতাবাড়ী উপজেলার টেংরাখালি এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এর আগে ওই ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, বুধবার দুপুরে নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হারুন অর-রশীদসহ আটজনকে আসামি করে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। দশ বছর বয়সী শিশুটি পল্লী চিকিৎসক হারুন অর-রশীদের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। হারুন ওই শিশুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ পেলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় দালালদের মধ্যস্থতায় মোটা অংকের টাকায় আপোস করা হয়। প্রায় এক মাস আগে গৃহকর্মী শিশুকে তার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্ত হঠাৎ করে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউড় হলে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ধর্ষক হারুনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে। নড়েচড়ে উঠে পুলিশ। অভিযান চালিয়ে নির্যাতিতা শিশুটিকে পাশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়।