তারা হলেন- বগুড়ার কাহালু উপজেলার দেওগ্রাম দীঘিরপাড়া এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের পুত্র আবু সাঈদ (৩০), একই উপজেলার চকজগৎপুর এলাকার মৃত কমর উদ্দিনের পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৮) ও জাঙ্গালপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র মো. হৃদয় প্রাং (২২)।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে গত সোমবার রাতে বগুড়া সদরের ২য় বাইপাস এলাকার বুজরুক বাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের বায়তুল রহিম মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. গোফফার শাহকে তার মেয়ের জামাই আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীরা অপহরণ করে। অপহরণ করে গোফফার শাহকে শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা এলাকার নির্জন স্থানে একটি ভাঙা ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে এবং তার পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জিয়াউর রহমান। এসময় মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করলে আব্দুল গোফফারকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
মোবাইলের সূত্র ধরে জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আব্দুল গোফফার শাহকে শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহৃতের জামাই আবু সাঈদ ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।