মঙ্গলবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ১৯ মার্চ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আরিফুল তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সদর থানায় এজাহারটি জমা দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন, আরিফুলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহাকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এসএম রাহাতুল ইসলাম এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন সরকারি কর্মচারী।
গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তুলে নেয়া, হত্যার উদ্দেশ্যে ক্রসফায়ারে দেয়ার জন্য কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর ওপারে নিয়ে যাওয়া, পরে ডিসির নির্দেশে ফিরে নিয়ে এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হাইকোর্ট সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনসহ বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ ও বর্বর নির্যাতনের অভিযোগে দাখিল করা এজাহারটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার সাথে সাথে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। যেহেতু মামলাটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার এবং আসামিরা সরকারি উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী তাই এটি অধিকতর গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।’
সাংবাদিক আরিফুল বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আমি আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছিলাম এবং সরকার ও আদালত আমার ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে যথেষ্ট সচেষ্ট। তারই অংশ হিসেবে এ মামলা রেকর্ড করা হলো। এখন অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যেন এটি সমাজে নজির হয়ে থাকে।’