সোমবার খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকরা জাতিকে পথ দেখায়, খুলে দেয় তৃতীয় নয়ন: তথ্যমন্ত্রী
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির এমএল-জনযুদ্ধের শীর্ষনেতা সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাধীন, নজুল ওরফে রিপন ওরফে নজরুল ইসলাম ওরফে খোড়া নজরুল, মাসুম ওরফে জাহাঙ্গীর (পলাতক), রিমন ওরফে আসাদুজ্জামান ও জাহিদ হোসেন ওরফে সবুজ ওরফে জাহিদুর রহমান।
এর আগে ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম শিকদার সাংবাদিক বালু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনি সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৩ দিন পর নিখোঁজ সাংবাদিক সারোয়ার উদ্ধার
খালাস পাওয়া আসামিরা হলো পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) জনযুদ্ধের প্রধান আব্দুল রশিদ মালিথা ওরফে দাদা তপন, ইকবাল হোসেন ওরফে স্বাধীন, জাহিদুর রহমান ওরফে সবুজ, রিমন, নজরুল ইসলাম ওরফে খোড়া নজু, নাজিম উদ্দিন এবং মাসুম।
এছাড়া বিচারক পুলিশের দুর্বল প্রতিবেদন দাখিলের কথাও উল্লেখ করেন। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী এনামুল হক বিস্ফোরক মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা দু’টির মধ্যে ব্যাপক গড়মিল থাকায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন বলে তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হত্যায় ভারতীয় আধ্যাত্মিক গুরুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২০ এপ্রিল বিচারক মোহাম্মদ সেকান্দার আলী মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ১০ মে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শুনানি শেষে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জুন মামলার নথি গ্রহণ করেন। অধিকতর তদন্তে আসা সাংবাদিক শহীদ হুমায়ুন কবির বালু হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক অংশের মামলাটি বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হয়। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহাদত হোসেন সম্পুরক চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন, আসামিপক্ষে এস এম মঞ্জুর আহমেদ ও চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৭ জুন নগরীর শান্তিধাম মোড়ে দৈনিক জন্মভূমি অফিসের সামনে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় সাংবাদিক বালু নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন খুলনা থানার তৎকালিন উপ পরিদর্শক (এসআই)মারুফ আহমদ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় দু’টি মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন আদালত।