পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, কিছুদিন আগে ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায় রতন রপ্তান। গত সোমবার ভোমরা বন্দর দিয়ে বাড়িতে আসার সময় সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকায় রতনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে রতন বাড়ি ফিরে আসে। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন রতনকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
এরপরই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ‘রতনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে এবং পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলবে।’
একথা শুনেই দুশ্চিন্তায় রতনের মা রেনুকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মারা যান। তিনি পাতাখালি গ্রামের বিমান রপ্তানের স্ত্রী।
ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অজয় সাহা জানান, করোনাভাইরাস সন্দেহে রতনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তবে রতনের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়াত বলেন, রতনের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো জীবাণু পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার মানুষের গুজবের জন্য রতনের মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি মর্মান্তিক ও দু:খজনক।