বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শুরু করে প্রায় ৫ ঘণ্টা জবানবন্দি গ্রহণ করে বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালতে জবানবন্দি দেওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার পুলিশ সদস্যকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসে তদন্তকারী সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৃথক চার পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। এরমধ্যে কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেনকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এবং কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়ার জবানবন্দি কক্সবাজারের সিনিয়র বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে নেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের সিনিয়র বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ।
এ মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে এর আগে প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পুলিশের অপর তিন সদস্য ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও প্রদীপ রাজি হননি। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএনের তিন সদস্যসহ এ পর্যন্ত ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।