শনিবার দিবাগত রাতে সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির নতুন করে ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে তাড়াশ উপজেলার দুজন ডাক্তার ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী। ডাক্তার দুজন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। এদের মধ্যে একজনের আগেই করোনা শনাক্ত হয়েছিল। নতুন করে আবারও তার নমুনা পাঠানো হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
এছাড়া সদরের দুজন হলেন শহরের গোশালা এলাকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম ও দত্তবাড়ী এলাকার শাকিল। শাকিল সাভারের একটি সেলুনে কাজ করতো। সে ৫ দিন আগে সিরাজগঞ্জে আসার পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।’
আক্রান্ত রোগীকে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এছাড়া বেলকুচি পৌর এলাকার মুকুন্দগাঁতী পশ্চিমপাড়া মহল্লার জালু মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া নামে একজন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে ১৭ মে তিনি বেলকুচিতে আসেন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হলে আজ তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।’
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান জানান, ‘করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের ৭ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।’
এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসায় সিরাজগঞ্জ সদর থানার ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিলো আজ তাদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেও জানান তিনি।