সিলেটে এক গৃহ পরিচারিকাকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ধর্ষণকারীর সঙ্গে জড়িত অপর এক নারী সহযোগিসহ চার জনের নামে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) রাতে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, ২১ জুন রাতে চারজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযুক্তরা হলেন— সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নভাগ কামালবাজার গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের মতিউর রহমান নাজমুল, ফাহিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর মাহমুদা বেগম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবারের পাঁচ সন্তানের জননী ওই নারী। স্বামী পঙ্গু হওয়ার কারণে মাহমুদার সঙ্গে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একই বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি।
গত বুধবার (১৮ জুন) কাজ শেষে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে অন্য একটি বাসায় কাজের কথা বলে মাহমুদা অপর তিন ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে তুলে দেন প্রাইভেট কারে।
পুলিশ আরও জানায়, প্রাইভেটকারের ভেতরই ওই নারীকে আপক্তিকর প্রস্তাবসহ তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে জোর-পূর্বক কয়েক দফা শ্লীলতাহানী ঘটায় ওই তিন আরোহী। প্রায় ঘণ্টা খানেক প্রাইভেটকার চালিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে ওই নারীকে জোরপূর্বক নামানো হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এরপর, দুই সহযোগীকে পাহারায় রেখে আবু সালমান ওরফে আবুল ওই নারীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
এক পর্যায়ে পাহারায় থাকা অপর দুজন ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারী কান্নাকাটি, চিৎকার শুরু করলে নারীকে বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে ফেলে রেখে আবু সালমান ওরফে আবুল তার সহযোগীদের নিয়ে চলে যান।
পরে বাসায় ফিরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় লোকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি অবহিত করেন ভুক্তভোগী নারী।
এরপর, শুক্রবার (২০ জুন) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিজ সেন্টারে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন।
চিকিৎসা গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে ওই দিনই থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির নাম থাকায় তদন্তে সম্পৃক্ততা পেলে পরবর্তীতে থানায় মামলা রুজু করা হবে।