সিলেটে বাসের ধাক্কায় ৬ পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় সিলেট মহানগর পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পৈরতলা গ্রামের মৃত কান্তি চন্দ্র দেবের ছেলে (বাসচালক) বাবুল চন্দ্র দেব (৪৯) ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার রামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে (হেল্পার) এরশাদ হোসেন (৪২)।
এদিকে র্যাব-৯ এর একটি টিম শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানাধীন এলাকা থেকে বাসের সুপারবাইজার জয়নাল মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করে। তিনি কুমিল্লা জেলার মৃত নিয়ামত খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের ধাক্কায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহসড়কের তেমুখী পয়েন্টে সিলেট মহানগরী পুলিশের (এসএমপি) উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একটি টিম বিশেষ অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এ সময় সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ‘রিয়েল কোচ’ নামে একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে রাস্তার পাশে পার্কিং অবস্থায় পুলিশের পিকআপ এবং পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্যদের ধাক্কা দেয়। এতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তাসহ ৬ জন সদস্য গুরুতর আহত হন এবং পিকআপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- আহতদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী (এসি) জহুরুল ইসলাম, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুনু মিয়া, উপ সহকারী পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) রেজাউল করিম ও গাড়ি চালক নায়েক হাবিবুর রহমান।
ঘটনার পরপরই বাসটির চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তার ৩ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক্টর ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ২