এ ঘটনায় এলাকাবাসী স্বামী মো. জালাল উদ্দিনকে আটক করে জামালগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর বরাতে জামালগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, গত মার্চ মাসে জামালগঞ্জ উপজেলার ক্ষেতি মামুদপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম জিলানীর মেয়ে সামিরা বেগমকে বিয়ে করে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইচ্চারচর গ্রামের আব্দুস সোবানের ছেলে জালাল উদ্দিন। মেয়ের বাবা প্রবাসী হওয়ায় যৌতুকের জন্য প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করত জালাল উদ্দিন। প্রায় মাস খানেক আগে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান সামিরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে আনতে যায় জালাল। স্ত্রীর স্বজনরা জালালের বাবা ও মা ছাড়া তাদের মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেবেন না বলে জানালে ক্ষুব্ধ হয় জালাল। শুক্রবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন। সামিরার ছটফটানি শুনে বাড়ির লোকজন তাকে ওই অবস্থায় দেখে এবং জালাল পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে জালাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে যান।