ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাদামবাড়ি হাটে প্রকাশ্যে মোজাম্মেল হক (৪৫) নামে এক ঘটককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ঘটক মোজাম্মেল হকের দুই ভাই আশরাফুল ও বাবুল।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ কারাগারে বন্দিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আহত আশরাফুল ও বাবুল জানান, প্রতিবেশি এক মেয়ের সাথে আরেক প্রতিবেশি আব্দুল লতিফের বিয়ে হয়। এই বিয়ের ঘটক ছিলেন মোজাম্মেল হক। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয় এবং স্ত্রী স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পিতার বাড়ি চলে যায়। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও মেয়েটি স্বামীর ঘরে ফিরে আসেনি। এ নিয়ে স্বামী আব্দুল লতিফের আত্মীয় কামাল হোসেনের সাথে ঘটক মোজাম্মেল হকের বেশ কয়েকবার বাকবিতণ্ডা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ছিনতাইকারী সন্দেহে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালিশ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও ওই দুজনের হাতাহাতি হয়। তাদের দুজনের মধ্যে জমি নিয়েও বিরোধ রয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান।
আহত আশরাফুল ও বাবুল আরও জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকালে বাদামবাড়ি হাটে মোজাম্মেল হককে পেয়ে কামাল হোসেন ও তার সঙ্গীরা প্রকাশ্যে লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারপিট করে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। তারা বাড়ির সামনে মোজাম্মেল হকের দুই ভাই আশরাফুল ও বাবুলকে পেয়ে তাদেরও মারধর করে। তাদের তিনজনকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা হাসপাতালে পরে মোজাম্মেল ও বাবুলকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আনার পথে মোজাম্মেল হক মারা যান। আবাসিক মেডিকেল অফিসার রফিকুল আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাভারে পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
বড়পলাশবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক একজন নিহতের কথা স্বীকার করে বলেন, বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।