শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় এক জরুরি প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (এনডিআরটি), ন্যাশনাল ডিজাস্টার ওয়াটসন রেসপন্স টিম (এনডিডব্লিউআরটি), ইউনিট ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (এনডিআরটি) টিমের সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্ট জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের।
এছাড়াও ১৩ জেলায় তাৎক্ষণিক রেসপন্সের জন্য নগদ ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জাতীয় সদর দপ্তরে প্রস্তুত রাখা হযেছে একটি মেডিকেল টিম ও ২টি সাইক্লোন পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতে অ্যাসিসমেন্ট টিম প্রস্তুত রয়েছে।
দুপুরে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য বিডিআরসিএস ‘কন্ট্রোল রুম’খোলা হয়েছে। সবধরনের তথ্যের জন্য +০০৮৮-০২-৯৩৫৫৯৯৫ (সরাসরি), পিএবিএক্স ৯৩৩০১৮৮, ৯৩৩০১৮৯, ৯৩৫০৩৯৯-২৮২ নম্বরে ফোন করা যাবে।
এদিকে চটগ্রাম, বাগেরহাট, খুলনাসহ উপকূলীয় ১৩টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি পরিচালিত উপকূলীয় জেলাগুলোর সকল আশ্রয় কেন্দ্রকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ‘পরিস্থিতি প্রতিবেদন’ সোসাইটির ওয়েবসাইটে আপডেট হচ্ছে।
সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগ জানায়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য জেলায় হাইজন কিটস্, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ,তারপলিন শীট, জেরি-ক্যান ও কম্বল মজুদ রাখা হয়েছে।
সোসাইটির উপ মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলবর্তী জেলা ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটসমূহকে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। সোসাইটির কর্মকর্তাসহ সকলকে প্রস্তুত থাকাসহ আবহাওয়া বার্তার দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা ৭নং সিগন্যাল ঘোষণার পর থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ করছে।