গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও শত শত মানুষ ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাসে চড়ে রওনা হচ্ছে। কেউ কেউ পায়ে হেঁটেও রওনা হচ্ছেন। বহু মানুষ যানবাহনের অপেক্ষায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট, আরিচা ও উথলী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছে।
শনিবার সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এসব স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিল। প্রশাসন সড়কে চেক পোস্ট বসিয়েও থামাতে পারছে না জনস্রোত।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘সকাল থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসছে মানুষ। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন গার্মেন্টসে কাজ করে।’
প্রশাসনের কোনো হস্তুক্ষেপই যাত্রীরা মানছে না অভিযোগ করে জেলা প্রশাসক বলেন, তাদের দ্রুত ঘাট এলাকাসহ মহাসড়কের আশপাশ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও গার্মেন্টস বন্ধ রাখা হয়নি। তাদের গত মাসের বেতনও দেয়া হয়নি। রবিবার কাজে যোগ না দিলে বেতন পাবেন না। বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে তারা কর্মস্থলে ছুটছেন। করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে জেনেও তারা নিরূপায় হয়ে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
উল্লে্খ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর পরই ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিল লাখ লাখ মানুষ। ওইসব মানুষই এখন ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীতে।