আবুল কালাম আজাদ (৪৫) নামে ভারত ফেরত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে পালিয়েছেন। তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বসে খাবার খেলেও, দুপুরের খাবার দেয়ার সময় থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের খাবার পরিবেশনকারী বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর থেকেই আইসোলেশনে থাকা আজাদকে খোঁজা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা আজাদ তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্যই হয়তো পালিয়ে গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আইসোলেশন থেকে পালানো আবুল কালাম আজাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার নন্দনি গ্রামের মৃত সিজার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক থেকে ভারতীয় হেলপারের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, আইসোলেশন থেকে পলাতক আবুল কালাম আজাদ চলতি মাসের ৯ তারিখ দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দর্শনা চেকপোস্টের হেলথ স্কিনিং সেন্টারে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী হওয়ায় তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হলেও, সরাসরি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশন ইউনিটে (রেড জোনে) রাখা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল দুপুরে তিনি পালিয়ে যান।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকালই আজাদের নমুনার র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হলে তার রিপার্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে না পালালেও তিনি হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই ছুটি পেতেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরে জানতে পারি হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত এক রোগী পালিয়ে গেছেন। এরপর থেকেই ওই রোগীকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত রাত ৯টার পরে জানতে পারি সকালে তিনি হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। তাঁর নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসায় কাউকে কিছু না বলেই তিনি হাপসাতাল থেকে চলে যান। তিনি হয়তো এখান থেকে সরাসরি নিজ বাড়িতে চলে যেতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি। তবে তার সঙ্গে পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ২২