মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
তথ্য ও প্রযুক্তির বিরামহীন বিকাশের যুগান্তকারী ফলাফল হচ্ছে স্মার্টফোন। উদ্ভাবনের পর থেকে কেবল দুটো মানুষের মধ্যে যোগাযোগের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই ছোট্ট ডিভাইসটি। চার দেয়ালের ভেতরে ও বাইরে স্থির বা চলমান প্রতিটি অবস্থায় এই মুঠোফোন মানুষের ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী। প্রসঙ্গ যখন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে তখন স্বভাবতই সেখানে চলে আসে সঠিকভাবে তা ব্যবহারের বিষয়টি। কেননা অসাবধানতা বা অপব্যবহারে সময়ের এই আশীর্বাদটিই পরিণত হতে পারে মৃত্যুঝুঁকিতে। বিশেষ করে স্মার্টফোন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনাগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। চলুন, মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের বিভিন্ন কারণ এবং এ থেকে বাচঁতে করণীয়গুলো সম্পর্ক জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের কারণসমূহ
দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া। নথি, হিসাব রক্ষণ, ই-মেইল বা ফাইল ব্যবস্থাপনার মতো হাল্কা অ্যাপগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে নেতিবাচক প্রভাবটা বেশ হাল্কা থাকে। তবে ভিডিও স্ট্রিমিং এবং গেমের মতো ভারী অ্যাপগুলো অল্প সময় চালালেই ডিভাইস গরম হয়ে ওঠে। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই অ্যাপগুলোতে ডুবে থাকলে ফোনের প্রসেসরের ওপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। এতে করে ফোনের অভ্যন্তরে তাপ বাড়তে থাকে।
এই উত্তাপের সবচেয়ে বড় শিকার হয় ফোনের ব্যাটারি। তাপের পরিমাণ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে গেলে ব্যাটারি ফুলে গিয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে পড়ে।
উন্নত প্রযুক্তির ফোন মানেই তাতে হাই-এন্ড প্রসেসরের উপস্থিতি। আর অবিরাম ফোন ব্যবহারের ফলে এই প্রসেসরগুলো মুহুর্তে উত্তপ্ত হয়ে যায়। প্রসেসরের একদম সংস্পর্শে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ব্যাটারির।
আরও পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
ওভারচার্জিং
ফোনের চার্জ ১০০ শতাংশের কোঠায় পৌঁছানোর পরেও দীর্ঘক্ষণ প্লাগ-ইন থাকলে ব্যাটারিতে লোড বাড়তে থাকে। অবশ্য বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যেন একবার পূর্ণচার্জ হয়ে গেলে চার্জ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও ক্রমাগত চার্জ গ্রহণেরও একটা লিমিট আছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্লাগ-ইন অবস্থায় থাকলে সেই লিমিট অতিক্রান্ত হয়। আর তখনি ব্যাটারির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে।
‘ব্যাটারি স্ট্রেস’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটিতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশগুলো একটু একটু করে তাপ জমা হতে শুরু করে। চক্রাকারে এই ঘটনা ঘটতে থাকলে এক সময় সেগুলো অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়।
অনেকেরই মধ্যে রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া ব্যাগের মধ্যে পোর্টেবল চার্জারে ফোন সংযুক্ত রেখে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
উত্তপ্ত বা উচ্চ আর্দ্রতার পরিবেশে রাখা
সরাসরি সূর্যের আলোতে, বদ্ধ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ অথবা প্রচন্ড আঁটসাঁট চাপযুক্ত জায়গা ফোনের ব্যাটারির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবেশের উচ্চ তাপ ফোনের কেসিং হয়ে ব্যাটারিতে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে ব্যাটারি তাপ ধারণ করার জন্য প্রসারিত হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে এটি ক্রমশ নিরাপদ সীমার বাইরে পরিচালিত হয়ে বিস্ফোরণের দিকে ধাবিত হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
উচ্চ আর্দ্রতা যুক্ত পরিবেশ ব্যাটারির জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে ফোন বহনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন-
- গরমের দিনে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা
- বালিশ বা কম্বলের নিচে ফোন রেখে ঘুমানো
- ফোন টেবিলের কোণে বইয়ের স্তুপ বা জঞ্জালের মাঝে রাখা
- ফোন একসঙ্গে কয়েকটি হাই-ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির সঙ্গে রাখা
- গাড়ির ইঞ্জিন বা গিয়ারের কাছাকাছি প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে আঁটসাঁট কোনও ব্যাগে ফোন বহন করা
নকল বা নিম্নমানের চার্জার বা কেবল ব্যবহার করা
সস্তা ও অনিবন্ধিত অধিকাংশ ফোনেই চার্জার বা কেবলগুলোতে কোনও নিরাপত্তার মান থাকে না। এক্ষেত্রে চার্জার বা তার ক্যাবল ফোনের রেটিংকৃত বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য উপযুক্ত থাকে না। ফলে ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতার সঙ্গে ক্যাবল বা চার্জারটি থাকে একদমি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে করে প্রয়োজনের তুলনায় কম অথবা বেশি পরিমাণে ফোনে বিদ্যুৎ ঢুকতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
কম হলে ফোনের আভ্যন্তরীণ সরঞ্জামাদি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে আর তেমন কোনো ভয় থাকে না। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিবহন বেশি হলে তাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে আগুন ধরে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
বাহ্যিক আঘাত থেকে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
ব্যাটারি যদি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় তাহলে শর্ট সার্কিটের মতো বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বড় রকমের দুর্ঘটনার জন্য একটি শর্ট সার্কিট-ই যথেষ্ট।
একটি দুর্বল মানের ফোন হাত থেকে পড়ে যাওয়া কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এর ব্যাটারি। খুব ভালো বিল্ট কোয়ালিটির ফোনও দুই-তিনবার ধাক্কা লাগার ফলে এর আভ্যন্তরীণ কাঠামো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবার আঘাতে একটি-দুটি করে চিড় বা কাঠামো-বিকৃতি দীর্ঘ মেয়াদে ফোনের স্থায়িত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রচন্ড সংঘর্ষ বা আঘাতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপকরণগুলো নষ্ট হতে থাকলে সার্কিট পূরণ সংক্রান্ত সংকট তৈরি হয়। এরপরেও এমন ক্ষতিগ্রস্ত ফোন নিয়ে চলাফেরা করা মানেই যে কোনো সময় আকস্মিক বিপদের সম্মুখীন হওয়া।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
২ মাস আগে
টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবা সংস্কারের দাবি মোবাইল ফোন গ্রাহকদের
সেবার মান উন্নয়ন ও গ্রাহক উদ্বেগ নিরসনে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাতের সংস্কারে একটি রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিসিএ)।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএমপিসিএ'র দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণপরামর্শ সভায় এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য মুকুল-ই-ইলাহী চৌধুরী জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভোক্তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাতের সংস্কারে বর্তমান সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘোষণা ১৫ দিন থেকে দুই মাসের মধ্যে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম ও আইসিটি খাতে ১৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: পলক
বিএমপিসিএর উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের অদক্ষতার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রতিটি ধাপে বর্জ্য কমানো গেলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব। তিনি এই খাতে প্রতিযোগিতার অভাবের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রতিযোগিতার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ইন্টারনেট ডাটা ও ভয়েস কলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে জবাব চেয়েছেন বিএমপিসিএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। গত দেড় মাসে হঠাৎ করে ইন্টারনেট ডাটা ও ভয়েস কলের চার্জ কেন বেড়ে গেল কেন? আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মেসেজ চার্জ ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় লাফিয়ে উঠল কেন?
আহমেদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার, বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটররা যদি সাশ্রয়ী ও আনলিমিটেড ইন্টারনেট ডাটার চাহিদা মেটাতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বিএমপিসিএ ইন্টারনেট সেবা বয়কটসহ কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তিনি মোবাইল কল ও ইন্টারনেট ডেটার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য গণশুনানির আহ্বান জানান।
টেলিকম খাতের অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএমপিসিএ'র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘টেলিকম মন্ত্রণালয় আগের সরকারের আমলে যেভাবে কাজ করত, সেভাবেই কাজ করছে। আমরা পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখছি না।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
জলাধার রক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ ইবনে রানা ইন্টারনেট ব্যবহারের অপরিহার্য প্রকৃতির উপর জোর দিয়ে এটিকে পানির সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, পানি ছাড়া যেমন জীবন চলতে পারে না, তেমনি ইন্টারনেট ছাড়া চলতে পারে না। ইন্টারনেট ও মোবাইল কল সেবার মান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় কলড্রপ, নিঃশব্দ কল, ইন্টারনেটের ধীরগতি, অর্থ আটকে যাওয়া, হঠাৎ ব্যালেন্স কেটে নেওয়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় নেটওয়ার্ক না থাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবার উচ্চ চার্জসহ বিভিন্ন সেবার বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন বিভিন্ন পেশার প্রায় ১৫ জন গ্রাহক। মোবাইল কোম্পানি ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির ও বিএমপিসিএ'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা.আমিনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
২ মাস আগে
আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
দেশে ব্যবহৃত আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। ২১ জানুয়ারি রবিবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শুধুমাত্র অফিসিয়াল ফোনগুলোকে দেশের বাজারে রাখার এই পদক্ষেপটি বিটিআরসি প্রণীত এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) ব্যবস্থার একটি উদ্যোগ। মূলত বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করতে এবং অবৈধভাবে তৈরি বা আমদানিকৃত ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতেই এই কার্যক্রমের অবতারণা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জুলাই থেকে দেশজুড়ে অনিবন্ধিত ফোন নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমতাবস্থায় ফোন ব্যবহারকারীদের সর্বপ্রথম যে কাজটি অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হচ্ছে- তাদের ফোনটি অফিসিয়াল কি না তা জেনে নেওয়া। এবারের আয়োজনে চলুন অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কী
যে ফোনগুলো দেশে প্রবেশকালে যথাযথ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন নিয়ে থাকে, সেগুলোই অফিসিয়াল ফোন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিটি ফোনের বডিতে তাদের স্ব স্ব নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ অঙ্কের একটি অনন্য সংখ্যা লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়, যাকে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) বলা হয়।
আইনগতভাবে দেশে প্রবেশের সময় এই সংখ্যাটি সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। তাই এগুলোকে একইসঙ্গে অরিজিনাল এবং নিবন্ধিত ফোন বলা হয়ে থাকে। দেশের ভেতরে সরকারি নিয়ম মেনে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স এবং অভিবাসনের নানাবিধ খরচের কারণে স্বভাবতই এই ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি বা দেশের ভেতরেই উৎপাদন করার সময় ভ্যাট বা ট্যাক্সের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। অবিকল অরিজিনাল ফোনের মতো দেখতে হলেও নকল এই ফোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম থাকে। সরকারি ডাটাবেসে কোনো তথ্য না থাকায় অনিবন্ধিত এই ফোনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধে ব্যবহারকারী কি কি বিড়ম্বনায় পড়বেন
অনিবন্ধিত বা আনঅফিসিয়াল ফোনগুলোকে নেটওয়ার্ক বহির্ভূত করা হলে ইতোমধ্যে সেই ফোন ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হবে। যেমন-
- এই ফোনে কোনো সিম ভরে তার মাধ্যমে কোনো অপারেটর থেকে কল গ্রহণ বা কল প্রদান করা যাবে না
- কোনো ধরনের ম্যাসেজ লেনদেন করা যাবে না
- ডাটা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না
- সরকারি বা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি কোনো ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং, ও টাকা লেনদেনসহ কোনো ধরনের অ্যাপই ব্যবহার করা যাবে না।
এগুলো বাদে নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত নয়, যেমন ছবি তোলা, অডিও বা ভিডিও রেকর্ড করা, গান বা মুভি দেখাতে কোনো রূপ সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
১০ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে মোবাইল ফোনে লুডু খেলা নিয়ে সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহতের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামে মোবাইল ফোনে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক (৬৯) ওই গ্রামের মৃত বয়েজ প্রামানিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভটভটির ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই গ্রামের বুদ্দু মিয়ার বসতবাড়ির আঙ্গিনায় মোবাইল ফোনে লুডু খেলছিল নিহত কুদ্দুসের নাতি সাদ্দাম ও তার বন্ধুরা।
এ খেলায় বিজয়ী দল আনন্দ-উল্লাস শুরু করলে প্রতিবেশীরা খেলোয়াড়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় সাদ্দাম ও তার বন্ধুরা প্রতিবাদ করলে মোতালেব ও তার মামাতো ভাই আব্দুল্লাহ তাদেরকে বেদম মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তাদের চিৎকারে সাদ্দামের দাদা কুদ্দুস প্রামাণিক ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করা হয়।
তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান এবং মোতালেব ও তার মামাতো ভাই আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওসমানীনগরে গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নিহত
১ বছর আগে
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন ই-মেইল পড়তে, টেক্সট পাঠাতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ চেক করতে। সব মিলিয়ে যার পরিমাণ বছরে প্রায় ৭০০ থেকে ১৪০০ ঘন্টা। সম্প্রতি এই বিষয়টি এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে মার্কিন কাইরোপ্র্যাক্টর ডিন ফিশম্যান এটিকে একটি স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’- নাম দিয়েছেন।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মুলত প্রচণ্ড ঘাড় ব্যথার পুনরাবৃত্তি, যা দীর্ঘ সময় ধরে মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে রাখার জন্য ঘটে থাকে। এই অবস্থাটি ‘টার্টল নেক পশ্চার’, ‘অ্যান্টেরিয়র হেড সিন্ড্রোম’ এবং ‘টেক নেক সিন্ড্রোম’ নামেও পরিচিত। এই আসুন অভিনব এই স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের কারণ
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মোবাইলের মাধ্যমে ম্যাসেজ পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত হলেও এটি বর্তমানের যে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন ট্যাবলেটে সম্পাদিত বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর মধ্যে আছে- ওয়েব ব্রাউজ করা, গেম খেলা বা কোন ডাটা প্রসেস করা। এ সময় স্বাভাবিক ভাবেই মাথা একটু সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। টিভি এবং কম্পিউটারের তুলনায় স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের স্ক্রিনগুলো দেখার জন্য সাধারণত টেবিল বা হাতে কাছাকাছি নিয়ে নির্দিষ্ট কোণে মাথা বাঁকা করতে হয়।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
বর্তমানের টাচস্ক্রিন সেটগুলো কাঁধ এবং মাথাকে আরও সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে আনে। স্মার্টফোনে ওয়েব ব্রাউজিং বা ভিডিও দেখার তুলনায় ম্যাসেজ করার সময় মাথার ভঙ্গি বেশি থাকে। ম্যাসেজ করার ক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে দুই হাতের ব্যবহার এবং আঙুলগুলো স্ক্রিনে স্পর্শ করে রাখার দরকার পড়ে। এর ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিকে নিজের কাঁধ আরও সামনের দিকে বাঁকা করে রাখতে হয়।
এছাড়া কিন্ডেলে বই পড়া, কিচেনে থালা বাসন ধোয়া, ঘর ঝাড়ু দেয়া প্রভৃতি কাজও মাথা কাত করতে বাধ্য করে। এখানে সময়টা গুরুত্ব বিষয়, কেননা, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলো সাধারণের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হয়। এমনকি এই দীর্ঘ সময়টাতে ব্যবহারকারিরা তাদের অবস্থানও পরিবর্তন করেন না। ফলে শরীর তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীর প্রয়োজনীয় নড়াচড়া থেকে বঞ্চিত হয়। এটি শরীরের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার দরুণ নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি হয়।
যখন মাথা ১৫ ডিগ্রি সামনে কাত হয়, ঘাড়ের ওপর তখন ২৭ পাউন্ড ভর চাপে, ৩০ ডিগ্রি হলে ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রির বেলায় ৪৯ পাউন্ড এবং ৬০ ডিগ্রির ক্ষেত্রে চাপটা ৬০ পাউন্ডে ওঠে যায়। ঘাড়ের এই বাড়তি চাপটা বুঝার জন্য ৮ বছর বয়সী কোন বাচ্চাকে দুই থেকে চার ঘন্টা ধরে ঘাড়ে নিয়ে চলার কথা কল্পনা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের লক্ষণ
স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় তাৎক্ষণিকভাবে উপরের পিঠ বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হবে। দিনের শেষ ভাগে বা রাতে ঘুমাতে যাবার সময় ঘাড়ে বা কাঁধে তীব্র ব্যথা বাড়তে থাকবে। সাধারণত প্রাথমিকভাবে কাঁধে হাল্কা ব্যথা এবং চাপের মাধ্যমে এই ব্যথা তীব্রতার দিকে এগিয়ে যায়। নিচের দিকে তাকালে বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে অথবা ক্রমাগত মাথাব্যথা হবে। ধীরে ধীরে এই ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠবে। কোন একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় দাড়িয়ে থাকতে সমস্যা হবে। এমনকি দাঁড়ানো অবস্থা, কোন এক দিকে ঝুঁকে পড়া বা নড়াচড়াতেও সমস্যা হবে।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
দীর্ঘক্ষণ সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে মেরুদণ্ড, ঘাড় ও কাঁধের পেশী এবং আনুষঙ্গিক অস্থি বন্ধনীগুলো বাঁকা হয়ে যেতে পারে। চরম পর্যায়ে ঘাড় এবং কাঁধ বরাবর পেশীগুলোর ন্যূনতম ব্যথা হাড় বা মেরুদণ্ডের ডিস্কের অবক্ষয় করতে পারে। এ অবস্থায় হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি কাজ ছাড়া অবস্থাতেও বাহুর ব্যথা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। ব্যথা তীব্রতায় রূপ নিলে ঘাড় বরাবর মেরুদণ্ড বা স্নায়ু অবশ বা অসাড় হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের প্রতিকার
মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা
স্মার্টফোন সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার সময় শরীরের ভঙ্গিমা এবং ব্যবহারকারির ডিভাইস ব্যবহারের আচরণকে সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ঘাড়কে মেরুদণ্ড বরাবর যতটা সম্ভব সমান রাখার চেষ্টা করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে কাঁধ যেন কুঁচকে না যায় এবং পিঠ বাঁকা না থাকে।
দীর্ঘ সময়ের জন্য ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরপর শরীরের ভঙ্গিমা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। ম্যাসেজ করা বা অন্য যে কোন কাজ করা হোক না কেন, চেষ্টা করতে হবে মোবাইল ডিভাইসটিকে একদম চোখের সঙ্গে একই স্তরে ধরে রাখা। একটু নিচে বা ওপরে কোন কোণ করে নয়; একদম ঘাড় সোজা রেখে চোখের দৃষ্টি বরাবর। কিছুক্ষণ পরপর চিবুকটি সোজা রেখে কাঁধের ব্লেডগুলো পিছনের দিকে বৃত্তকারে ঘোরোনো অনুশীলনটা করা যেতে পারে।
প্রতি ১৫ মিনিট পর মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারে বিরতি নিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমা এমনকি পুরো অবস্থান পরিবর্তন করা যেতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ডিভাইসটিকে হাতে বা মেঝেতে না রেখে টেবিলে বাচ্চাদের চোখের সামনাসামনি রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কোথায় ভালো পরিবেশে সাঁতার শেখা যায়
সঠিক শয়ন পদ্ধতি
মেঝে বা শক্ত পৃষ্ঠে পিঠ দিয়ে শুতে হবে। ঘাড়ের নিচে একটি পরিপাটি করে ভাঁজ করা তোয়ালে রাখতে হবে, যাতে করে ঘাড় একটি আরামদায়ক মঞ্চ পায় আর চিবুকটা একটু উঁচু হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য শয়নের পদ্ধতিটি আরামদায়ক হতে হয় তাই এখানে অবশ্যই আরামপ্রদ অবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমাকে সুস্থ ঘুমের অনুকূলে রাখতে বালিশের বিকল্প নেই।
হাঁটুর কাছে পা বাঁকা করে রাখতে হবে এবং শরীরের পাশে দুই হাত সমান ভাবে ফেলে রাখতে হবে। উপুর হয়ে শোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোন এক পাশ বা চিত হয়ে ঘুমানো প্রায়শই পিঠের ব্যথা উপশমের জন্য সহায়ক। যে কোন এক পাশ ফিরে ঘুমানোর সময় পায়ের মাঝে কোল বালিশ রাখা যেতে পারে। চিত হয়ে ঘুমানোর ক্ষেত্রে হাঁটুর নিচে বালিশ রাখা যেতে পারে।
সঠিক ভাবে বসার ভঙ্গিমা
দুই পা সমান ভাবে পাশাপাশি মেঝেতে রাখতে হবে। পা মেঝে অব্দি না পৌঁছলে সমান ভাবে পাশাপাশি মুক্ত ভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তবে গোড়ালি সহ পায়ের পাতা হাঁটু থেকে একটু সামনে রাখা উত্তম। কিন্তু কোন ভাবেই পায়ের ওপর পা তুলে, বা ক্রস আকৃতিতে রাখা যাবে না। হাঁটুর পশ্চাৎ ভাগ চেয়ারের সঙ্গে একদম ঠেস দিয়ে রাখা যাবে না। হাঁটুর পিছন এবং আসনের মধ্যে অল্প একটু ফাঁক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
হাঁটু এবং কোমড়ের মাঝে ৯০ ডিগ্রী কোণ রাখা একটি স্বাস্থ্যকর বসার উপায়।
পিঠের নিচ থেকে শুরু করে মধ্য ভাগ পর্যন্ত চেয়ারের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে। মাঝে ফাঁক রেখে হেলান দিয়ে থাকা যাবে না। কাঁধকে শিথিল রাখতে হবে এবং দুই হাতের কনুই থেকে হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত অংশকে মাটির সমান্তরালে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে বসার অনুকূলে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ আসন বাছাই করা আবশ্যক। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে বসে থাকা যাবে না।
সঠিক ভাবে দাড়ানোর ভঙ্গিমা
প্রাথমিকভাবে পায়ের আঙ্গুলের অংশের ওপর দেহের ওজন ফেলতে হবে। হাঁটু সামান্য বাঁকিয়ে রাখা ভালো। কাঁধের প্রস্থের সমান দূরত্ব রাখা উচিত দু’পায়ের মাঝে। কাঁধ পিছনে টান দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দেহের ওজন পায়ের আঙ্গুল থেকে পেছনে হিল পর্যন্ত স্থানান্তর করতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে থাকার ক্ষেত্রে এক পা থেকে অন্য পায়ে ভর স্থানান্তর করা উচিত।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
পরিশিষ্ট
মোবাইল ফোন নিঃসন্দেহে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার যে কোন নেশাজাত দ্রব্য অতিরিক্ত সেবনের থেকে কম কিছু নয়। তাছাড়া এখানে মানুষ ও যন্ত্রমানবের পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে নিরূপণ করা যায়। রোবট দীর্ঘ সময় ধরে একটি কাজ কোন সমস্যা ছাড়াই করে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের বিরতি প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় হাওয়া বদলের এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীগুলো সঞ্চালনের।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকার প্রবণতা ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’ বা আরো জটিল ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই কাজ ও সময় থেকেও অধিক যত্নশীল হওয়া উচিত স্বাস্থ্যের প্রতি। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে তবেই সময়গুলোকে কাজে ভরিয়ে দিয়ে ফলপ্রসূ করে তোলা যাবে।
২ বছর আগে
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩০.৩১ কোটি টাকা জমা দিলো গ্রামীণফোন
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ৩০ কোটি ৩১ লাখ টাকা লভ্যাংশ জমা দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে প্রতিমন্ত্রীর হাতে ৩০ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৮ টাকার চেক তুলে দেন।চেক প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার সবসময় শ্রমিকদের কল্যাণে পাশে থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন গত ২৫ বছর ধরে দেশের ডিজিটালাইজেশন ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ ফোন ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে। গ্রামীণফোন সবসময় সরকারের পাশাপাশি শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে এ তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে তিনি ধন্যবাদ জানান।গ্রামীণফোনসহ দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২৬৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রতি মাসে বাড়ছে বলে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জানানো হয়। আজ পর্যন্ত এ তহবিলে জমার পরিমাণ প্রায় ৭৪০ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে নিয়মিতভাবে জমা দিয়ে আসছে। এ তহবিলে সর্বোচ্চ জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত ২১৩ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা জমা দিয়েছে। চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, গ্রামীণফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস ও এইচ আর স্ট্রাটেজি প্রধান কে. এম. সাব্বির আহমেদ, কম্পেন্সেশন এন্ড বেনিফিটস প্রধান মোহাম্মদ খালেদ মৃধা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বিভাগের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান এবং মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
তরুণদের অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে কাজ করবে ইউএনডিপি-গ্রামীণফোন
২ বছর আগে
টঙ্গীতে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
গাজীপুরের টঙ্গীতে বাসায় ডুকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে পুলিশ বোতল ভবনের ছয় তলা বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে স্বামী কর্মস্থলে চলে গেলে বাসায় একা ছিলেন স্ত্রী নার্গিস আক্তার(৪০)। দুপুরে নিহত নার্গিসের মেয়ে নেত্রকোণা থেকে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে না পেয়ে, বিষয়টি তার বাবাকে জানান। পরে তিনিও একাধিক বার তার স্ত্রীর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে অফিস থেকে বাসায় গিয়ে তিনি ঘরের মূল ফটক খোলা এবং ঘরের আসবাপত্র এলোমেলো দেখেন। পরে স্ত্রীর খোঁজ নিতে গিয়ে স্ত্রীর লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বামীর দাবি, কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে ঘর থেকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইলতুৎমিশ জানান, রাতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ডাকাতি সম্পর্কিত, নাকি অন্য কিছু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রামপুরায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত অটোরিকশা চালকের মৃত্যু
দিনাজপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
২ বছর আগে
ঈদে ঢাকা ছেড়েছেন ৬৫ লাখের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে স্বজনদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গত ৮ ও ৯ জুলাই ৬৫ লাখেরও বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।
সোমবার বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে তিনি জানান, ঈদের আগের দুই দিনে বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট ৬৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬৬ গ্রাহক রাজধানী ছেড়েছেন।
২ বছর আগে
নড়াইলের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ
নড়াইলের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ২৮ জুন নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম সৈয়দুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেন।
ঈদুল আজহার ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষক হেনস্থা ঠেকাতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন। পরিদর্শনকালে কোনো শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদরাসাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
১৮ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক হিন্দু ছাত্র ভারতের বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। পোস্টটি নিয়ে কলেজে দিনভর অস্থিরতা ছিল এবং গুজব ছিল যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ছাত্রের পক্ষে ছিলেন। ঘটনায় স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: জিতু ৫ দিনের রিমান্ডে
২ বছর আগে
প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা দরকার: ড. আতিউর
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ার ড. আতিউর রহমান বলেছেন, সামগ্রিক বাজেটের উন্নতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা দরকার।
শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সমন্বয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন ড. আতিউর।
সব কোম্পানির সুদের আয়ের ওপর উৎস কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত ট্যাক্স প্রস্তাব; মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর কর বৃদ্ধি এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার সুযোগ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
ড. আতিউর বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য আরও বরাদ্দ নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য একটি সতর্ক বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে আমদানি হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বরাদ্দের চাহিদা উভয়ই বিবেচনা করা হয়েছে। জনগণের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ও প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রেখে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন- উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ রবার্ট শুভ্র গুডা, নীতি বিশ্লেষক জিনিয়া শারমিন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞানী খন্দকার সাখাওয়াত আলী।
রবার্ট শুভ্র গুডা বলেন, অধিকাংশ নাগরিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রচুর ব্যয় করেন যেটার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ওষুধ ক্রয়ে ব্যয় হয়।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বাজেটের চিকিৎসা ও সার্জিকাল সরঞ্জাম উপখাতের জন্য অতিরিক্ত ১২’শ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করলে এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় নিশ্চিত করেছেন, প্রয়োজনে জ্বালানি ও সারে ভর্তুকি বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য বরাদ্দের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করেন জিনিয়া শারমিন।
জামাল উদ্দিন কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো এবং এনবিআরের কর আদায়ের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে উপজেলা পর্যায় থেকে কার্যকরভাবে কর আদায়ের প্রস্তুতি এনবিআরের নেই।
সমাপনী বক্তব্যে খন্দকার সাখাওয়াত আলী অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাজেট দিতে পারার জন্য সরকারের প্রশংসা করেন।
তিনি নীতিনির্ধারকদের বিভিন্ন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের বাজেট পর্যালোচনা থেকে আসা সুপারিশগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে