শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ৩০ কোটি ৩১ লাখ টাকা লভ্যাংশ জমা দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে প্রতিমন্ত্রীর হাতে ৩০ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৮ টাকার চেক তুলে দেন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার সবসময় শ্রমিকদের কল্যাণে পাশে থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন গত ২৫ বছর ধরে দেশের ডিজিটালাইজেশন ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ ফোন ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে। গ্রামীণফোন সবসময় সরকারের পাশাপাশি শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে এ তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে তিনি ধন্যবাদ জানান।
গ্রামীণফোনসহ দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২৬৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রতি মাসে বাড়ছে বলে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জানানো হয়। আজ পর্যন্ত এ তহবিলে জমার পরিমাণ প্রায় ৭৪০ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে নিয়মিতভাবে জমা দিয়ে আসছে। এ তহবিলে সর্বোচ্চ জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত ২১৩ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা জমা দিয়েছে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, গ্রামীণফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস ও এইচ আর স্ট্রাটেজি প্রধান কে. এম. সাব্বির আহমেদ, কম্পেন্সেশন এন্ড বেনিফিটস প্রধান মোহাম্মদ খালেদ মৃধা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বিভাগের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান এবং মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা