মোড়ক উন্মোচন
ভুটানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
ভুটানের জংখা ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) ভুটানের থিম্পুস্থ জিচেনখার মিলনায়তনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুটান সফররত বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে দণ্ড: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে অগ্রগতি জানালেন প্রধান তথ্য কমিশনার
ভুটানের প্রিন্সেস ডেচেন ইয়াংজোম ওয়াংচুক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ ভুটানিজ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন।
থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ভুটানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজের (সিবিএস) কমিশনার ও ভুটানের প্রখ্যাত লেখক দাশো কর্মা উড়ার নেতৃত্বে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি জংখা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
অনূদিত গ্রন্থটি থিম্পুর পিটি প্রিন্টিং থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক, কৃষি ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ইয়ন্তেন ফুন্টশো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়েনপো শেরিং, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, ভুটানে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূ্ত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়।
অনুষ্ঠানে থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ বাংলাদেশি ও ভুটানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রন্থটির সারমর্ম উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
৮ মাস আগে
বাংলাদেশের প্রথম ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ প্রতিবেদন প্রকাশ
পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) খাতের সামগ্রিক ব্যয়ের গতিপ্রকৃতি ট্র্যাকিং-এর উদ্দেশে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস ২০২০’ প্রতিবেদন -এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস ২০২০’ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অতিথি হিসেবে যোগ দেন ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম এবং হাসিন জাহান, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।
ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস প্রণয়ন কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
এ সময় এম. এ. মান্নান সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের অবসান, সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য, জেন্ডার সমতা, জলবায়ু, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শোভন কর্মসংস্থান এবং গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি এসডিজি-৬ অর্জনে সকলের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ি সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের প্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) খাতে অগ্রগতি অর্জনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অংশ হিসেবে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে তথ্য-প্রমাণভিত্তিক পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণের পাশাপাশি ওয়াশ খাতে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নিয়মিতভাবে ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ হালনাগাদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’- এর বর্তমান প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘২০২০-এ ওয়াশ-খাতের ব্যয় মোট জিডিপি’র ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশে খানাপ্রতি গড় বার্ষিক ওয়াশ বাবদ ১১ হাজার ৫৭৪ টাকা (পানি বাবদ ১ হাজার ৫০২ টাকা; স্যানিটেশন বাবদ ১ হাজার ৯৮৫ টাকা; এবং স্বাস্থ্যবিধি বাবদ ৮ হাজার ৮৭ টাকা) খরচ করে। যা তাদের বার্ষিক খানার আয়ের ৪ হাজার ৩ শতাংশ।
আয়ের পরিমাণ অনুসারে খানার ওয়াশ ব্যয়ের বিভাজন থেকে দেখা যায় যে, শহর ও পল্লী উভয় ক্ষেত্রেই দরিদ্র এবং দরিদ্রতম আয়ের খানাসমূহ তাদের আয়ের বড় অংশ ওয়াশ-এ ব্যয় করে।
এ সকল তথ্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আগামীতে শহর ও গ্রামীণ এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের নিরাপদ পানি নিশ্চিতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও অর্থায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
১ বছর আগে
‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্ঞানকোষ ‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
এ সময় ‘মুজিবপিডিয়া’র প্রধান সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সম্পাদক ফরিদ কবির, নির্বাহী সম্পাদক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বইটির স্পন্সর প্রতিষ্ঠান দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন।
আরও পড়ুন: ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
এতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন এবং তার সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসের পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঠিক তথ্য-উপাত্ত।
উল্লেখ্য, ‘মুজিবপিডিয়া’র অন্তর্ভূক্ত বঙ্গবন্ধুর পরিবারসংক্রান্ত ভুক্তিগুলো সংশোধন ও সম্পাদনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।
বইটির প্রকাশক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড। পরিবেশক আগামী প্রকাশনী। এতে ৫৯১টি ভুক্তি ও প্রায় ৭৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র রয়েছে।
বইটির ভুক্তি লিখেছেন ৯৭ জন লেখক, গবেষক, ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিক।
বইটির ভুক্তি যারা লিখেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- তোফায়েল আহমদ, জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান, শেখ হাফিজুর রহমান, রামেন্দু মজুমদার, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, হারুন-অর-রশীদ, মুনতাসীর মামুন, আতিউর রহমান, মফিদুল হক, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল মোমেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
১ বছর আগে
‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
কবি, প্রাবন্ধিক ও শিল্প সমালোচক মাহবুবুর রহমান তুহিনের প্রবন্ধ সংকলন ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাবন্ধিক স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বুনেন, স্বপ্নের সৈকন্তে নিরন্তর হেঁটে চলেন। চলার পথের পাথেয় এ গ্রন্থ।
আরও পড়ুন: ভালোবাসা দিবস: চট্টগ্রামে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা
প্রাবন্ধিকের শৈশব কেটেছে সমুদ্রস্নাত নোয়াখালীর বিস্তীর্ণ উপকূলে। সমুদ্রের বিশালতাকে আলিঙ্গন করার পাশাপাশি এর রুদ্র-রোষও প্রত্যক্ষ করেছেন বটে। তাই চোখের আলোয় চোখের বাইরের পৃথিবী তার কাছে কেবল সুন্দর ও স্বপ্নময় নয়, ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধও বটে। তারই চিত্রায়ন এ গ্রন্থ।
তিনি আরও বলেন, আলোকিত আগামী বিনির্মাণ, বোধ ও উপলদ্ধির এক ইন্দ্রজাল এতে বোনা হয়েছে নিপুণ ও নিখুঁতভাবে। বইয়ের ভাষার ব্যবহার এবং শব্দের গাঁথুনি অনুপম ও অনবদ্য।
বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা, ভাবের গভীরতা ও প্রকাশের ভিন্নতা গ্রন্থটিকে স্বতন্ত্র ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। প্রতিটি প্রবন্ধ পাঠকের মনে নতুন চিন্তার উন্মেষ, বিকাশ ও বিস্তৃতি ঘটাবে।
তিনি সবাইকে ‘কালের কথা’ গ্রন্থটি কিনে লেখককে উৎসাহ দেয়ার আহ্বান জানান।
গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অনার্য প্রকাশনী। ১১২ পৃষ্ঠার বইয়ে ১৯টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। এর প্রচ্ছদ করেছেন রাহাত অনার্য।
বইটি পাওয়া যাবে মেলার ৯২-৯৫ নাম্বার স্টলে।
প্রসঙ্গত, অমর একুশের এবারের বইমেলায় পাঠকের নজর কেড়েছে ‘কালের কথা’। গণমাধ্যমগুলোতে এ গ্রন্থ নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের গেজেট ছয় মাসের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী
থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
এপিসোডস অব হার গেজ: ঢাকা লিট ফেস্টে মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্ত চিত্রকর্মের মোড়ক উন্মোচন
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্তভাবে তৈরি করা বিমূর্ত চিত্রকর্মগুলোর ক্যালিডোস্কোপিক জগৎ ব্যক্ত করে কসমস বুকস দশম ঢাকা সাহিত্য উৎসব বা ঢাকা লিট ফেস্টে (ডিএলএফ) 'এপিসোডস অব হার গেজ'-এর মোড়ক উন্মোচন করেছে।
কসমস বুকস থেকে প্রকাশিত নিপার জাঁকজমকপূর্ণ শিল্পকর্মের এটি প্রথম প্রকাশনা। শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ডিএলএফ-এর কসমস বুকস স্টলে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন ইউএনবি’র ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজিস্ট নাবিলা রহমান।
কসমস বুকসকে তার প্রথম চিত্রকর্মের সমষ্টিগত প্রকাশনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাকসুদা ইকবাল নিপা বলেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তিন বছরের বিরতিতে এই বছরের ডিএলএফে ফিরে আসতে পেরে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।
নিপা ইউএনবিকে বলেন, ‘বইটির ধারণাটি আমার সমসাময়িক শিল্পকর্মগুলো থেকে প্রতিফলিত হয়েছে, যা আমি জাপানে আমার স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের সময় শুরু করেছিলাম। এই বইটিতে আমার বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীর ২০০টির মতো শিল্পকর্ম রয়েছে এবং এটি শিল্পী ও শিল্প লেখক জাভেদ জলিলের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই প্রকাশনাটি এর আগে জাতীয় জাদুঘরে আমার একক প্রদর্শনীর সময় ও পরে ঢাকা আর্ট সামিট-এ প্রকাশ করা হয়েছিল। এই প্রকাশনার মাধ্যমে এই প্রথম আমার চিত্রকর্মের সমষ্টি ডিএলএফে প্রদর্শিত হচ্ছে।’
বইটি সম্পাদনা করেছেন ক্যাথরিন গ্রেস গার্ডেনার ও মুবিন শাদমান খান এবং লেআউট ও ডিজাইন তৈরি করেছেন এআরকে রিপন। বইটির জন্য তার শিল্পকর্মের ছবি তুলেছেন নিপার স্বামী; স্বনামধন্য শিল্পী মোহাম্মদ ইকবাল, এআরকে রিপন, হোসেন শহীদ ইকো, মিজানুর রহমান খোকা, রেজাউল হক, রাসেল চৌধুরী ও সৌরভ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
বইটিতে প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ার চিত্রগ্রাহক ডক্টর জিম ফ্রেজিয়ারের একটি মুখবন্ধও রয়েছে, যিনি ক্যামেরার পেছনে একজন পথপ্রদর্শক এবং স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরোর সঙ্গে কাজ করেছেন। একাধিক পুরস্কার বিজয়ী এই প্রকৃতিবিদ ২০১৫-২০১৬ সালে যখন বাংলাদেশে ছিলেন তখন নিপার কাজের প্রেমে পড়ে যান।
বিমূর্ত চিত্রকলার উজ্জ্বল জ্ঞানের সঙ্গে একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী ও প্রাণবন্ত বিমূর্ততার জন্য পরিচিত মাকসুদা ইকবাল নিপা ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে তার বিএফএ (ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালে তিনি জাপানের আইচি ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে পোস্ট-গ্রাজুয়েট রিসার্চ কোর্সে (অয়েল পেইন্টিং) ভর্তি হন। নিপা ২০০৪ সালে আইচি ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশন থেকে ফাইন আর্টস (পেইন্টিং) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। জাপানে থাকাকালীন নিপার শৈল্পিক শৈলীটি প্রতিনিধিত্বমূলক থেকে তার নিজস্ব ধাঁচের বিমূর্ততায় ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়।
ফরাসিতে একটি বচন রয়েছে যে ‘আর্ট ফর আর্ট’স সেক’ বা শিল্পের জন্য শিল্প – এর একজন প্রবক্তা হিসেবে নিপার যাত্রা সর্বদাই স্বাধীন এবং কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষামূলক, নৈতিক, উপযোগী বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ না করার জন্য অবিচল। নিপার শিল্পকর্মগুলো বিমূর্ত, আবেগপ্রবণ, একজন নারী ও একজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি প্রতিদিন যে কষ্ট সহ্য করেন তার ভিজুয়াল ডায়েরি।
তিনি সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা ও যে নিপীড়নের মুখোমুখি হন তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থেকেই শিল্পকর্মগুলো তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হন। নিপীড়ন থেকে মুক্তি বলতে কী বোঝায় তা আবিষ্কার করার সময় তিনি বড় ক্যানভাসে তৈলচিত্র তৈরি করেন ও পরীক্ষা করেন।
একজন নারী ও শিল্পী হিসেবে নিপার যাত্রা হল জন্মের স্থান, দীর্ঘকাল ধরে চিন্তাভাবনা ও নীরব কল্পনার অস্পষ্ট উড্ডয়ন নিয়ে পরিশ্রম করা। তার সচিত্র পরামিতি হল দেখা, অদেখার ক্ষেত্র ও চোখ দিয়ে নেয়া তথ্যের মুহূর্তগুলোর গ্রহণ। কিন্তু তার যোগসূত্র হল পরিবেশের সংবেদনশীল অচেতন মিলনের সঙ্গে যেখানে সে পালিয়ে বেড়ায়, সেখানে সুখের সন্ধান করা।
কৌতূহল ও সন্দেহের আবরণের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শব্দগুলো তার কল্পনাপ্রসূত চিন্তার ক্ষেত্র।
আরও পড়ুন: ‘ধারণার চেয়েও বেশি’: মধ্যযুগে বাংলায় হাবশি শাসন এবং আফ্রিকা-ভারত সংযোগ সম্পর্কে ড. কেনেথ রবিন্স
একজন শিল্পী হিসেবে নিপার অভ্যন্তরীণ মেজাজ ও লুকানো আত্মার স্মৃতিচারণ হছে- একটি অন্বেষণ, যা তিনি অস্থির তাগিদ ও মেজাজের নীরব আভাস দিয়ে ধ্যান করেন। যা ক্যানভাসের বিদ্যমান স্ব-দৃষ্টিতে থাকা ডায়েরির সঙ্গে ধীরে ধীরে বেঁচে থাকে।
নিপা তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর, ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তর, জাপানের টয়োটা মিউনিসিপ্যাল আর্ট মিউজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস আর্ট মিউজিয়াম, কোরিয়ার সিউলের ইয়ংওন কর্পোরেশনসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য একক ও দলীয় শো করেছেন। তিনি তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। নিপা জাপান, চীন ও বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পুরস্কার ও অনুদান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও অনাবিষ্কৃত সম্পর্কের বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন'
১ বছর আগে
‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্পাদিত ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে গ্রন্থটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘চন্দ্রাবতী একাডেমি’ আয়োজিত প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক; বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের নানাদিক তুলে ধরে প্রকাশিত এই গ্রন্থটি বাংলাদেশের উন্নয়ন ইতিহাসে অনন্য এক দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তারা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই অর্জনের বিভিন্ন দিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের লেখনির মাধ্যমে এ গ্রন্থে তুলে ধরার জন্য বক্তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছেন এ গ্রন্থের সম্পাদক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট, এ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনদের সাক্ষাৎকার, প্রবন্ধ, কবিতা ও গান গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত দুইটি ভাষণ, বিশিষ্টজনদের লেখা ৫১টি প্রবন্ধ, ১০টি কবিতা ও ছড়া, ৩টি গান ও ৪টি সাক্ষাৎকার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির প্রকাশক, চন্দ্রাবতী একাডেমির স্বত্ত্বাধিকারী কামরুজ্জামান খন্দকার কাজল। অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতু বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে গ্রন্থটিতে প্রকাশিত প্রবন্ধের লেখকগণ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতু ভ্রমণ প্যাকেজ চালু
পদ্মা সেতু উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য গর্বের প্রতীক: হুন সেন
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পাদিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সম্পাদিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবি ইমরোজ সোহেলের কাব্য-অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন
ঢাকা, ০৩ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- শোকাবহ আগস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কবি ইমরোজ সোহেলের কাব্য-অ্যালবাম ‘তোমার পায়ের একটু ধুলো’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
৫ বছর আগে