করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা কমলেও শতভাগ মানুষ টিকার আওতায় না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত সাতদিনে এক লাখ ২৬ হাজার ৮৪০টি পরীক্ষা করা হয়েছে, যা আগের সাতদিনের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ কম। গত সাতদিনে শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন রোগী, সেটিও আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ কম। গত সাতদিনে যে মৃত্যু সংখ্যা দেখেছি সেটিও আগের সপ্তাহের তুলনায় ২১ শতাংশ কম।
তিনি বলেন, গত সাতদিনে সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচেই ছিল, শুধুমাত্র ১৯ অক্টোবর ২ দশমিক ২০ শতাংশ হয়েছিল। বাকি পুরো সপ্তাহজুড়েই দুই শতাংশের কম ছিল। সামগ্রিকভাবে গত এক মাসে সংক্রমণের হার ক্রমাগত নিম্নমুখী ছিল এবং সেটি এখনও অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে যদি সংক্রমেণের চিত্রটা দেখি তবে জুলাই আগস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের চিত্রটা দেখেছি। জুলাই মাসে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। আগস্ট মাসে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৮০ জন। সে তুলনায় অক্টোবর মাসে মাত্র ১১ হাজার ৫০৬ জন।
আরও পড়ুন: সক্ষমতার চেয়ে বেশি নিবন্ধনে এসএমএস পেতে সমস্যা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বর্তমানে করোনা হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমে এসেছে। সংক্রমণ কমে আসায় টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যাও কমে এসেছে।
সংক্রমণের হার হ্রাস আশাব্যঞ্জক হলেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। শতভাগ টিকা না পাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে করোনামুক্ত বলা যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশকে করোনামুক্ত বলা যাবে না। এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
কতজন স্কুল শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তথ্য দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসলে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধনকারী স্কুল শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ১৮ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর