বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশের জন্য শুল্ক ২০ শতাংশ করা স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতি
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা আমাদের জন্য স্বস্তির বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
শুক্রবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাস নিয়ে এক অভিমতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে গত তিন মাস ধরে আমরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্য করা কঠিন। মার্কিন ক্রেতারাও পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটি পর্যবেক্ষণ করছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ হওয়াটা আমাদের জন্য স্বস্তির।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের পণ্যে পাল্টা শুল্ক বেশি হলে ব্যবসা কঠিন হয়ে যাবে। তবে প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের পাল্টা শুল্ক ১ শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। এ ছাড়া চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। এটি আমাদের জন্য বড় স্বস্তির।
তবে তিনি আশঙ্কা করে বলেন, বাড়তি পাল্টা শুল্কের কারণে সাময়িকভাবে ব্যবসা কমতে পারে। তার কারণ আগের থেকে পণ্য আমদানিতে বেশি শুল্ক দিতে হবে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে। এতে তাদের মূলধনে টান পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে তারা যদি বাড়তি অর্থায়নের সংস্থান না করতে পারে তাহলে ক্রয়াদেশ কম দেবে। তা ছাড়া বাড়তি শুল্ক শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের ঘাড়ে গিয়েই পড়বে। শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতারা চাপে পড়বেন। তাতে পণ্যের বিক্রি কমে যেতে পারে।
পড়ুন: শুল্ক হ্রাসে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচন
গত এপ্রিলে প্রথম দফায় সব দেশের পণ্যের ওপর নূন্যতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যাকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। সেটি মার্কিন ক্রেতারা বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেছে। কোনো কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চাপে আমাদের সরবরাহকারীদের সেই বাড়তি শুল্কের ভাগ নিতে হয়েছে। আমি আমাদের বিজিএমইএর (বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি) সদস্যদের বার্তা দিতে চাই, বাড়তি এই শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে। আর তারা দিন শেষে সেটি মার্কিন ভোক্তাদের ওপরই গিয়ে পড়বে। ফলে এই বিশেষ বার্তা পরিষ্কার থাকতে হবে।
তিনি বলেন, চীনের ওপর এখন পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আছে ৩০ শতাংশ। শিগগিরই দেশটির ওপর চূড়ান্ত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যতদূর আভাস মিলছে, তাদের শুল্কহার আমাদের চেয়ে কম হবে না। ফলে দিন শেষে চীন থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হওয়া অব্যাহত থাকবে। তাতে আমাদের ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসবে। সে ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলো অনুকূলে থাকতে হবে।
পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যে শুল্ক কমানো ‘সন্তোষজনক’: আমীর খসরু
শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের এই নেতা আরও বলেন, যেহেতু এখন পর্যন্ত আমরা চুক্তির খসড়া বা সার সংক্ষেপ শুধু জেনেছি বিস্তারিত পাইনি, তবে আশা করি আমাদের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল দেশের ও বাণিজ্য স্বার্থ বজায় রেখেই চুক্তি সম্পাদন সম্পন্ন করেছেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পাল্টা শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশ কতগুলো প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি করেছে, সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। তার মধ্যে গম, তুলা, এলএনজি কেনার মতো স্বল্প মেয়াদি এবং উড়োজাহাজ কেনার মতো দীর্ঘমেয়াদি বিষয় আছে। ‘এখানে কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা পুনরায় বিপদে পড়তে পারি,’ সতর্ক করেন তিনি।
১২৫ দিন আগে
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)।
তিনি বলেন, যে সোনার বাংলার স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, যে অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন, যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন সকলের জন্য, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
শনিবার (৪ মে) বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) নেতৃত্বে বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ড গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: 'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' চালু করল বিজিএমইএ
তিনি আরও বলেন, তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই রূপকল্প বাস্তবায়নে দেশের পোশাক শিল্প নিরলসভাবে কাজ করছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ উন্নততর জীবন পাবে, স্বাধীনতার সুফল সবাই ভোগ করবে, এই প্রত্যয় নিয়ে বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ড কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক খসরু চৌধুরী, বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ডের প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান, পরিচালক শোভন ইসলাম, পরিচালক মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক আনোয়ার হোসেন (মানিক), পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন খান, পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক রাজীব চৌধুরী, পরিচালক মো. জাকির হোসেন, পরিচালক নুসরাত বারী আশা, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, পরিচালক সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, পরিচালক মো. রেজাউল আলম (মিরু) ও পরিচালক মো. আবছার হোসেন।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ সভাপতির মা মারা গেছেন
৫৭৯ দিন আগে
ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের (ইউএসআইটিসি) গণশুনানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাককে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পোশাক শিল্পের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ইউএসআইটিসি’র গৃহীত একটি নতুন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়াল শুনানিতে বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ ও আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং শ্রম ও আইএলও বিষয়ক বিজিএমইএ’র স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ন ম সাইফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
ইউএসআইটিসির চেয়ারম্যান ডেভিড এস জোহানসন তার সহকর্মীদের নিয়ে গণশুনানি পরিচালনা করেন।
গণশুনানিতে ফারুক হাসান তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। এসময় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সবুজ প্রবৃদ্ধি, শ্রমিক অধিকার এবং শ্রম আইন সংস্কারের মতো ক্ষেত্রগুলোতে শিল্পের অগ্রগতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্তমান পোশাক বাণিজ্যের চিত্রও তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভালো পারফর্ম করা বৈশ্বিক বিপর্যয় মোকাবিলায় যেসব শক্তি ও ফ্যাক্টর অবদান রেখেছে সেগুলোর চিত্রও তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
শ্রমিকদের অধিকার বৃদ্ধিতে বিশেষ করে শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন শুনানিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ সফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ নির্বাচন-২০২৪: ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ, গণনা চলছে
৬৩২ দিন আগে
দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন ও মসৃণ কার্যক্রম নিশ্চিত করতে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য পাঠানো হবে, সেগুলোর মূল্য যথাযথভাবে সমন্বয় বা মজুরির হার বৃদ্ধি করা জরুরি।’
বিশ্ববাজারের প্রতিযোগী বাণিজ্য সংস্থা আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) পোশাক, জুতা ও অন্যান্য সেলাই পণ্য সংস্থা এবং তাদের সরবরাহকারীদের প্রতিনিধিত্ব করে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এখন থেকে নতুন ন্যূনতম মজুরি নীতিমালা মেনে সব ধরনের ব্যবসায়িক সমঝোতা ও চুক্তি করতে হবে।
চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমি বিনীতভাবে এএএফএ সদস্যদের তাদের বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের সঙ্গে যথাযথ সহানুভূতি ও বিবেচনাসহ সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি।’
ফারুক বলেন, ‘আমাদের নেওয়া প্রতিটি প্রচেষ্টা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে, আমরা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের পরিপূরক হতে চাই, যা পারস্পরিক ও টেকসইভাবে বৃদ্ধি করা। ব্যবসার জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, 'পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধি ও দক্ষতাকে সমর্থন করে উন্নত অবকাঠামো ও নীতি তৈরিতে সরকারের করা উন্নতি ও অগ্রগতি আপনারা অনুসরণ করছেন। আমি নিশ্চিত আপনাদের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’
লামারকে লেখা চিঠিতে বিজিএমইএ প্রধান বলেন, গত ৭ নভেম্বর সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ২০২৩ সালের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে।
ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং শ্রমিক ও নিয়োগকর্তার প্রতিনিধিসহ অংশীজনদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে পরামর্শ ও সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
নতুন ন্যূনতম মজুরি অনুযায়ী সপ্তম গ্রেডের শ্রমিকদের মোট ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মোট মজুরির ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং মূল মজুরি ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন ন্যূনতম মজুরি এমন এক সময়ে এসেছে যখন বিশ্ব অর্থনীতি অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতিও অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে এই সংকটের প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পরিবহনসহ আমাদের সব অভ্যন্তরীণ খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অর্থায়ন আরও ব্যয়বহুল হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি লিখেছেন, 'আপনারা জানেন, সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০১৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানের কর্মক্ষেত্র হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিল্পকে বিশাল বিনিয়োগ করতে হয়েছে, যা আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘এখন বৈশ্বিক জলবায়ু অ্যাকশন এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে, আমাদের কারখানাগুলো জিএইচজি নির্গমন হ্রাস এবং আরও দক্ষ জনশক্তি বাড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও ক্লান্তি
কমানোর জন্য কারখানাগুলো মেশিন, পদ্ধতি ও উৎপাদন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করছে।’
ফারুক বলেন, ‘এই সমস্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য, টেকসই এবং সর্বাধিক পছন্দের সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’ এই সমস্ত উদ্যোগ ও বিনিয়োগগুলো আপেক্ষিক ও নিরঙ্কুশভাবে ব্যবসার উপর প্রভাব ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘এখন ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই শিল্প প্রতিযোগিতা বজায় রেখে শ্রমিকদের উন্নত জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।’
ফারুক বলেন, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, বিশেষ করে মূল মজুরি ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকরা ওভারটাইম সুবিধা, অর্জিত ছুটি নগদীকরণ, উৎসব বোনাসসহ অন্যান্য ভাতার ক্ষেত্রে বেশি লাভবান হচ্ছেন।
তিনি বলেন, 'নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন হলে কারখানাগুলোর ওপর ব্যাপক আর্থিক প্রভাব পড়বে। বর্তমান অর্থনৈতিক ও আর্থিক পরিস্থিতিতে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা আমাদের অনেক কারখানার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’
ফারুক বলেন, শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করা তাদের পাশাপাশি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সিইওকে লেখা চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, 'যেহেতু আমরা নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো গ্রহণ করেছি, তাই আমরা এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব এবং দায়িত্বশীল ক্রয় অনুশীলনের ক্ষেত্রে আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।’
৭৫২ দিন আগে
আরএমজি শিল্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিগত সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি
ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের সঙ্গে গত ৩১ মে সাক্ষাৎ করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সাক্ষাতের সময় তারা আরএমজি শিল্পের বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতি এবং আরএমজি শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টাকে আরএমজি সেক্টরের টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে আরএমজি রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ: বিজিএমইএ
এছাড়া বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আরএমজি শিল্পের জন্য সরকারের কৌশলগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
যাতে আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং শিল্পের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত করতে এই খাতকে সহায়তা করা যায়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শিল্পটি প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য নন-কটন টেক্সটাইল এবং উচ্চ মূল্য সংযোজিত পোশাকের দিকে ঝুঁকতে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বিশেষ করে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, মানবসৃষ্ট ফাইবারভিত্তিক সুতা এবং প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল খাতে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি ব্যবসা করার শর্তাবলী আরও উন্নত করতে এবং ব্যবসা করার সময় ব্যয়-হ্রাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর পরিচালক আহসানুল হক, বাণিজ্যমেলা সংক্রান্ত বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, তফসিল ব্যাংক সংক্রান্ত বিজিএমইএর স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. ইসরাফিল আতিক এবং বিজিএমইএর চ্যালেঞ্জড ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আনিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
৯১৫ দিন আগে
আমরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে রপ্তানি বাড়াতে চাই: বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ‘আমরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে আমরা আমাদের কাজ করতে চাই এবং বিশ্ব বাজারে আমাদের রপ্তানি বাড়াতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি তা করতে পারি তাহলে আমরা নিজেদেরকে সফল বলব।’
শনিবার বিকালে মেগা ইভেন্ট ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক ২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
১১১৮ দিন আগে
পোশাক শিল্পের নতুন বাজার অনুসন্ধানের নির্দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান বাজার সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন বাজার অনুসন্ধানের জন্য ইউরোপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
১৯৬২ দিন আগে
যত শিগগির সম্ভব শ্রমিকদের বেতন দেয়া হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
বেশিরভাগ শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক।
২০৫৯ দিন আগে