পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় সোমবার এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
এ সময় ড. মোমেন নতুন শ্রম বাজার খোঁজার জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি অনুরোধ করেন।
তিনি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ স্ব স্ব দেশের সরকার ও প্রবাসীদের অবহিত করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিতে সাময়িকভাবে যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় ১২.১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৫ কোটি মানুষের হাতে নগদ সহায়তা তুলে দেয়া হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নির্দেশনা মেনে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে কিছু দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬৫ লাখ পিপিই রপ্তানি করা হয়েছে।
ড. রুবানা হক তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেন এবং তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরাও এ সময় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে বিজিএমই সভাপতিকে আশ্বস্ত করেন।
এ ভার্চুয়াল সভায় যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন, বেলজিয়াম, গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।