রিয়াল মাদ্রিদ
সূচি নিয়ে বিপাকে রিয়াল মাদ্রিদ
বার্সেলোনা ও এসি মিলানের কাছে টানা দুই ম্যাচ হারের পর ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে আন্তর্জাতিক বিরতিতে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য ক্লাবের বিরতি থাকলেও বসে থাকার জো নেই রিয়ালের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের। জাতীয় দলের হয়ে এ সময় মাঠে দেখা যাবে তাদের প্রায় সবাইকে।
আন্তর্জাতিক ‘বিরতি’ বললেও তাই বিরাম পাচ্ছেন না রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলাররা। তার ওপর আছে ভ্রমণ-ক্লান্তি।
ফর্মহীনতার কারণে আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি কাটাবেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। এছাড়া চোটের কারণে খেলা হবে না রদ্রিগো, এদের মিলিতাও ও দানি কারভাহালদের। তবে নিজ নিজ দেশের হয়ে পারফর্ম করতে দেখা যাবে রিয়ালের একাদশের নিয়মিত মুখ ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম, এন্দ্রিক, ফেদেরিকো ভালভের্দে, আন্টোনিও রুয়েডিগার, লুকা মদ্রিচ, অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি, ফেরলঁ মদিঁ, আর্দা গুলের ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাদের।
অবশ্য জাতীয় দলের দায়িত্ব সেরে মাদ্রিদে ফিরলেই তাদের জন্য অপেক্ষা করবে নতুন বিড়ম্বনা। রিয়াল মাদ্রিদের সূচি থেকে দেখা যায়, ক্লাবটির সামনের ৮ ম্যাচের সাতটিই রয়েছে প্রতিপক্ষের মাঠে। আর এই ৮টি ম্যাচ তাদের খেলতে হবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে। অর্থাৎ, একেকটি মাঝে তিন দিনের বেশি সময় পাবেন না রিয়ালের খেলোয়াড়রা। ভ্রমণের কারণে তা থেকেও কমে যাবে সময়।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে আগামী ২৪ নভেম্বর লা লিগায় নিজেদের ত্রয়োদশ ম্যাচ খেলতে লেগানেস যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। এর তিন দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা লিভারপুলের মুখোমুখি হবে কার্লো আনচেলত্তির দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে অ্যানফিল্ডে।
অ্যানফিল্ড থেকে ফিরে ফিট হতে না হতেই আগামী ১ ডিসেম্বর লা লিগায় গেতাফেকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবেন ভিনিসিউস-বেলিংহ্যামরা। এরপর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ছাড়াই ফের ব্যাগ গোছাতে হবে রিয়ালের ফুটবলারদের। ৪ ডিসেম্বর সান মামেসে আথলেতিক বিলবাও তাদের অপেক্ষায় থাকবে। এই ম্যাচটি মূলত লা লিগার ১৯তম রাউন্ডের ম্যাচ, যেটি জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচ খেলতে ওই সময়ে দুই দলই সৌদি আরব ভ্রমণ করবে বিধায় সেদিনের সূচিটি এগিয়ে নিয়ে এসেছে লা লিগা।
বাস্কে কান্ট্রি থেকে ফেরার তিন দিন পর ফের জিরোনার বিপক্ষে খেলতে কাতালুনিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করতে হবে আনচেলত্তির শিষ্যদের। এরপর অনুশীলন একপাশে রেখে ইতালিতে যাত্রার উদ্দেশে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন এমবাপে-মদ্রিচরা। ১০ ডিসেম্বর আতালান্তার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামবেন তারা। ওই ম্যাচটি হবে আতালান্তার জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ। সবশেষ গত ১৪ আগস্ট গাস্পেরিনির শিষ্যদের ২-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: মৌসুমই শেষ কারভাহালের!
তবে এখানেই শেষ নয়, ওই ম্যাচের পর মাদ্রিদে ফিরে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রায়োর মাঠে খেলতে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। মাদ্রিদের ক্লাব হওয়ায় রায়োর ক্ষেত্রে অবশ্য লম্বা সময় ধরে ভ্রমণ করা লাগবে না ক্লাবটির খেলোয়াড়দের।
ফলে তিন সপ্তাহে আটবার মাঠে নামতে হবে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে স্পেনের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও ইতালি ভ্রমণ করতে হবে তাদের।
এতকিছুর মাঝে খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে কতটা ফিট থাকে তা নিয়ে সংশয় থেকে যাবে। কারণ ঠাসা সূচির কারণে ইতোমধ্যে ইউরোপীয় শীর্ষ ক্লাবগুলোতে খেলা ফুটবলারদের মাঝে চোটের হিড়িক পড়ে গেছে; ছাড় পায়নি রিয়াল মাদ্রিদও।
চোটের কারণে মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে দলটির অধিনায়ক দানি কারভাহালের। পাশাপাশি লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন মূল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। এছাড়া গত শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে জয়ে ফেরার রাতে এসিএলে চোট পেয়ে অন্তত ৯ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন ডেভিড আলাবার চোটের কারণে রিয়ালের রক্ষণ সামলানোর মূল দায়িত্বে থাকা এদের মিলিতাও। ওইদিন চোটের কারণে তিন-চার সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে থাকবেন রদ্রিগো ও লুকাস ভাসকেসও।
এ ছাড়াও চোটের কারণে এখনও স্কোয়াডে ফিরতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি। এমতাবস্থায় জানুয়ারির দলবদলের বাজার খোলার আগে ক্লাবটির আরও খেলোয়াড় যদি চোটে পড়ে, তাহলে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে আরও পেছনে পড়ে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিতে এবার পেরেসকে চাপ
এমনিতেই নড়বড়ে শুরুর পর লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৮ জয় ও তিন ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে লস ব্লাঙ্কোসরা। অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে আনচলত্তির দল। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। চতুর্থ রাউন্ড শেষে দুটি করে জয় ও হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ১৮তম।
উল্লেখ্য, দলের সংখ্যা বাড়িয়ে চলতি মৌসুম থেকে নতুন ফরমেটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করেছে উয়েফা। চার দলের গ্রুপ পর্বের পরিবর্তে এবার ৩৬ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লিগ পর্ব। এতে প্রতিটি দল আটটি করে ম্যাচ খেলবে এবং লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৮ দল সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করবে, পরের ১৬ দল প্লে-অফ খেলে পরের রাউন্ডে উঠবে আর টেবিলের তলানির ৮ দল সরাসরি প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বে।
২ দিন আগে
ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিতে এবার পেরেসকে চাপ
ভিনিসিউস জুনিয়র ব্যালন দ’র না জেতার খবরে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সম্প্রতি ফ্রান্স ফুটবলের অনুষ্ঠানই বর্জন করে রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ সেই ভিনিসিউসকেই নাকি বিক্রি করে দিতে ক্লাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপের মুখে পড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস।
ব্যালন দ’র না পেলেও তার পর থেকে দারুণভাবে জ্বলে ওঠা ভিনিসিউসকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের এমন খবর সত্যিই বোমা ফাটানোর মতো।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণভাগের দুঃসময়ের মাঝেও প্রতিটি ম্যাচে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে চলেছেন ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৮ গোল ও চার অ্যাসিস্ট করে এখন পর্যন্ত রিয়ালের সবচেয়ে সফল স্ট্রাইকার তিনিই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও চার ম্যাচে চারটি গোলের দেখা পেয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
লেফট উইংয়ে তার চেয়ে ক্ষিপ্র গতির আক্রমণাত্মক ফুটবলার বর্তমানে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমালোচকদের চোখেও তিনি ইউরোপের এ সময়ের সেরা উইঙ্গার এবং সেরা ফুটবলারদের একজন। অথচ সেই ভিনিসিউসকেই নাকি ছেড়ে দিতে চান রিয়ালের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
গত গ্রীষ্মে সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের অর্থিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন ভিনিসিউস। পাঁচ বছরের চুক্তিতে এই ফুটবলারকে এক বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ভিনিকে ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের দূত হওয়ারও একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চুক্তিতে।
এমনকি রিলিজ ক্লস হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। তবে সৌদি থেকে আসা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ভিনিসিউস জানিয়েছিলেন, রিয়ালেই আজীবন থাকতে চান তিনি।
অথচ মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে পাল্টে গেছে ক্লাবের অভ্যন্তরীণ চিত্র। রিয়ালের আর্থিক অবস্থায় ভারসাম্য আনতে ভিনিসিউসকে নাকি তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে চান ক্লাবটির কর্তারা।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
সূত্রের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের খবরে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসকে ছেড়ে দিতে ক্লাব সভাপতি পেরেসকে চাপ দিয়ে আসছে তার উপদেষ্টা পরিষদ। এবার এ বিষয়ে সরব হয়েছেন তার ছেলে চিভোও।
রিয়াল মাদ্রিদে পেরেসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার চিভোর দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ যে আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে, ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিলে তার সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া ভিনি সরে গেলে তার জায়গায় কিলিয়ান এমবাপে খেললে দলের আক্রমণভাগের সমস্যাও মিটে যাবে।
সৌদি আরবের প্রস্তাব পেয়ে ভিনিসিউসের এজেন্ট সেসময় জানিয়েছিলেন, মাদ্রিদে সুখে থাকলেও এই ধরনের বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।
রিয়ালের সঙ্গে ভিসিসিউসের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে নতুন চুক্তির ব্যাপারে ভিনির এজেন্টের সঙ্গে আলোচনার সময় এগিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তাদের এহেন সিদ্ধান্তে রিয়ালে ভিনিসিউসের ভবিষ্যত যে খানিকটা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
তবে বিষয়টি আলোর মুখ দেখতে এখনও অনেক দেরি। আবার ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকাকালে ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে ভিনিসিউস সৌদি আরবে যাবেন কিনা, সেটিও দেখার বিষয়। তবে পিআইএফ যদি ভিনিসিউসকে পাওয়ার আশা না ছাড়ে, আর নতুন চুক্তিতে বেতন-বোনাস নিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ভিনিসিউস যদি ঐক্যমত্যে না পৌঁছাতে পারেন, তাহলে তিনি রোনালদো-নেইমার-বেনজেমাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
৩ দিন আগে
ভিনিসিউসের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
ঘরের মাঠে পরপর দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরতে শিষ্যদের যে তাগিদ দিয়েছিলেন কার্লো আনচেলত্তি, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই যেন দুর্বার ফুটবল খেলল রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা। আর তাদের নৈপুণ্য ও ক্ষিপ্র ফুটবলে ভেসে গেল ওসাসুনা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার লা লিগায় ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন চমৎকার এক হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিউস। আর মৌসুমের প্রথম গোল পেয়েছেন সমালোচনায় জর্জরিত জুড বেলিংহ্যাম।
আরও পড়ুন: সমাধান খুঁজে পেয়েছি, এখন মাঠে দেখানোর পালা: আনচেলত্তি
তবে বড় জয়ের দিন দুর্ভাবনা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে চোট নিয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়তে হয় এদের মিলিতাও ও রদ্রিগোকে। এছাড়া হাঁটুর চোটে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি লুকাস ভাসকেসের।
১ সপ্তাহ আগে
রিয়ালের খেলোয়াড় ছাড়াই স্পেনের স্কোয়াড, আছে নতুন দুই মুখ
নেশন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। তবে এই দুই ম্যাচের জন্য দুই ফুটবলারকে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাকলেও রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখেননি তিনি।
এর ফলে ২০২১ সালের পর প্রথম স্পেন দলে ডাক পেল না মাদ্রিদ জায়ান্টদের কোনো খেলোয়াড়। সে বছর লুইস এনরিকের অধীনে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়ালের ফুটবলারবিহীন ছিল স্পেন। তবে ওই বছরই ইউরোতে আবার লস ব্লাঙ্কোসদের খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড সাজান বর্তমান পিএসজি কোচ এনরিকে।
এ বছর অনুষ্ঠিত ইউরোতেও স্পেন দলে ছিলেন রিয়ালের তিন খেলোয়াড়- দানি কারভাহাল, নাচো ও হোসেলু। তবে মৌসুম শেষে নাচো ও হোসেলু রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যথাক্রমমে সৌদি আর ও কাতারে চলে যান।
অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় স্কোয়াডে না রাখার দায় মোটেও দে লা ফুয়েন্তের ওপর পড়ে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডেই স্প্যানিশ প্রভাব কমেছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
বর্তমানে দানি কারভাহাল, লুকাস ভাসকেস, হেসুস ভায়েহো, দানি সেবায়োস ও ফ্রান গার্সিয়া থাকলেও মাঠের খেলায় নিয়মিত শুধু কারভাহাল। তবে চোটে কারভাহালের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় তার জায়গায় ডাক পেয়েছেন লুকাস ভাসকেস। এছাড়া ফ্রান গার্সিয়া ও সেবায়োস মাঝেমধ্যে খেলে থাকলেও বেশিরভাগ সময় বেঞেই বসে থাকতে দেখা যায় তাদের।
অন্যদিকে, লা মাসিয়ার কল্যাণে বরাবরই দুর্দান্ত সব স্প্যানিশ প্রতিভা বিশ্ব দরবারে তুলে আনে বার্সেলোনা। ফলে জাতীয় দলেও ক্লাবটির খেলোয়াড়দের আধিক্য লক্ষ করা যায়। তবে সম্প্রতি লা লিগাসহ ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে স্প্যানিশ ফুটবলারদের প্রভাব বাড়ায় জাতীয় দল সাজাতে বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি চোখে পড়ছে।
এরই ধাবাহিকতায় ঘরোয়া ও ইউরোপা লিগে অসাধারণ পারফর্ম করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন গ্রীষ্মের দলবদলে পোর্তোয় নাম লেখানো স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সামু ওমরোদিয়ন।
আরও পড়ুন: প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
১ সপ্তাহ আগে
হারের পর রিয়াল শিবিরে জোড়া ইনজুরির দুঃসংবাদ
অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর কিলিয়ান এমবাপে স্কোয়াডে যুক্ত হওয়ায় চলতি মৌসুমে আরও ভালো করার কথা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। অন্তত এমন কিছুরই আশা করেছিল ক্লাবটির ভক্তরা। তবে ভক্তদের সে আশার গুড়ে বালি দিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে বিবর্ণ রিয়াল মাদ্রিদ। তার ওপর আবার পড়ছে একের পর এক চোটের ঘা।
গত সপ্তাহে লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে রিয়ালের ডেরায় এসে তাদের হারিয়ে দিয়ে গেছে এসি মিলান। ওই ম্যাচে চোটে পড়েছেন মাদ্রিদ জায়ান্টদের দুই মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি ও ফেদেরিকো ভালভের্দে।
গোড়ালি মচকে যাওয়ায় প্রথমার্ধের খেলা শেষে চুয়ামেনি ও ভালভের্দেকে আর মাঠে নামাতে পারেননি কার্লো আনচেলত্তি। তাদের পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন যথাক্রমে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ব্রাহিম দিয়াস।
এ বিষয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কোপের রিয়াল মাদ্রিদ বিভাগের সাংবাদিক আরাঞ্চা রদ্রিগেস জানিয়েছেন, অন্তত এক মাসের জন্য ছিটকে গেছেন চুয়ামেনি।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এই সময়ের মধ্যে তিনি লা লিগায় ওসাসুনা, লেগানেস, গেতাফে ও আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না। এমনকি ৮ ডিসেম্বর লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে এবং ১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে আতালান্তার বিপক্ষে তিনি খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
চুয়ামেনিকে এক মাসের জন্য হারালেও ভালভের্দের চোট অতটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন আরাঞ্চা রদ্রিগেস।
মূলত আগের চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই এসি মিলানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ফলে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলাতে গিয়ে পুরনো ব্যাথা আবার বেড়েছে তার। ফলে চোট গুরুতর না হলেও ওসাসুনার বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা।
প্রসঙ্গত, ডেভিড আলাবা ও দানি কারভাহাল ছাড়া বাকি সবাই একে একে রিয়ালের স্কোয়াডে ফেরা শুরু করেছেন। আন্তর্জাতিক বিরতির পর নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে দলটি এখন পুরোপুরি ফিট হওয়ার পথে রয়েছে। তবে চুয়ামেনির চোট এই প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করে দিল।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
চলতি মৌসুমে নড়বড়ে শুরু হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় প্রথম তিন ম্যাচের দুটি ড্র করে তারা। এরপর থেকে জিতলেও প্রতিপক্ষের আক্রমণে যথেষ্ট ভুগতে দেখা গেছে দলটিকে। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়া হয়নি তাদের। ১২ ম্যাচ শেষে লা লিগায় চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ৯ পয়েন্টে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। চার ম্যাচের দুটিই হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৭তম অবস্থানে রয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
টানা দুই হারের পর লা লিগার ম্যাচে আগামী শনিবার ঘরের মাঠে ওসাসুনাকে আতিথ্য দেবে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
১ সপ্তাহ আগে
বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু চলতি মৌসুমে ধুঁকতে থাকা এসি মিলানকে তারা হারাতে তো পারলই না, বরং মিলানের কাছেই বিধ্বস্ত হলো কার্লো আনচেলত্তির দল।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এর ফলে পাঁচ বছরের বেশি সময় পর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারল লা লিগা ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ ২০১৯ সালে এমনভাবে হারে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বের্নাবেউতে টানা চার ম্যাচ হেরে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে টানা হারের রেকর্ডটি গড়ে।
১৭ ফেব্রুয়ারি লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কোপা দেল রের ম্যাচে ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হারের মুখ দেখে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ২ মার্চ লা লিগায় আবারও বার্সার কাছে ১-০ গোলে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আয়াক্স। ফলে চরম বিপর্যয়ের পর সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় ইউরোপের ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটিকে।
আজকের ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন মালিক থিয়া। এরপর ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিউস দলকে সমতায় ফেরানোর পর ৩৯তম মিনিটে মিলানকে আবারও এগিয়ে নিয়ে বিরতিতে যান আলভারো মোরাতা। বিরতির পর রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিজানি রেইন্ডার্স।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
এদিন শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতে থাকে দুদল। এর ফলস্বরূপ শুরুতেই দারুণ সুযোগ পেয়ে যান এমবাপে, কিন্তু কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। দুই মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাইরে সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এরপরই দুর্দান্ত এক গোলে বের্নাবেউয়ের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন থিয়া। দ্বাদশ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের কর্নার থেকে পাঠানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।
২৩তম মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস।
জুড বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস, এরপর মিলানের ব্রাজিলীয় ফুলব্যাক এমেরসন রয়াল তাকে স্লাইড করে ফেলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দারুণ একটি পানেনকা স্পট কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সমতা টানেন ভিনি।
১ সপ্তাহ আগে
রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এর্নান্দেসের (রদ্রি) হাতেই উঠল এবারের ব্যালন দ’র। শুরু থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এই পুরস্কারটি রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের হাতে উঠছে বলে জোর গুঞ্জন থাকলেও অবশেষে রদ্রিই জিতেছেন এটি।
সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয়ী ঘোষণার পর ক্রাচে ভর দিয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন এসিএলের চোট পাওয়া রদ্রি। এরপর ব্যালন দ’রের ইতিহাসের ৫০তম খেলোয়াড় হিসেবে তার হাতে ‘ফুটবলের অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন দ’রজয়ী জর্জ উইয়াহ।
এর ফলে ৬৪ বছর পর ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এ পুরস্কারটি জিতলেন স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলার। সবশেষ ১৯৬০ সালে এটি জিতেছিলেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার লুইস সুয়ারেস। এতদিন স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র ব্যালন দ’র জয়ী ছিলেন তিনিই। এবার তার পাশে বসলেন আরেক মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: কে কোন পুরস্কার জিতলেন
পুরস্কার নেওয়ার পর অনভূতি জানাতে গিয়ে রদ্রি বলেন, ‘এটি শুধু আমার একার জয় নয়, গোটা স্প্যানিশ ফুটবলের বিজয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন (স্পেনের) যেসব খেলোয়াড় এই পুরস্কারটি থেকে বঞ্চিত ছিলেন- (আন্দ্রেস) ইনিয়েস্তা, শাভি (এর্নান্দেস), ইকের (ক্যাসিয়াস) ও বুসি (সের্হিও বুসকেটস), এই পুরস্কার আমাদের সবার।’
এ সময় বার্সেলোনার উদীয়মান ফুটবলার লামিন ইয়ামালের প্রতিভার প্রশংসা ঝরে রদ্রির কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘লামিন খুব তাড়াতাড়িই এটি জিততে চলেছে। এতে আমার কোনো সংশয় নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, (ব্যালন দ’র নিতে) একদিন তুমিও এখানে (মঞ্চে) দাঁড়াবে।’
২ সপ্তাহ আগে
এবার রিয়ালের মাঠেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বার্সার তিন খেলোয়াড়
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে শুনতে জেরবার রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই তার; এমনকি রিয়ালের সমর্থকরাও ভিনিসিউসের পক্ষ নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণ্য এ আচরণের সমালোচনায় মুখর থাকেন। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেই রিয়াল সমর্থকদের কাছেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে এল ক্লাসিকো চলাকালে। ৪-০ গোলে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ওই রাতে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
এল ক্লাসিকোতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড করে মাঠেই উদযাপন শুরু করেন তিনি। এ সময় গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করে রিয়ালের কিছু সমর্থক। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে যখন রাফিনিয়ার সঙ্গে কর্নার কিক নিতে যান লামিন, তখন উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর স্পেনের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানায়, শুধু লামিন নন; আনসু ফাতি ও আলেহান্দ্রো বালদেও গ্যালারি থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা স্প্যানিশ প্রশাসন। সমর্থকদের এমন আচরণে লজ্জা প্রকাশ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এছাড়া এ ঘটনার পেছনের কারিগরদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ওঠা বর্ণবাদী স্লোগান নিয়ে স্পেনের জাতীয় পুলিশের হেট ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা। পাশাপাশি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের হেট ক্রাইমস অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রসিকিউটরকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।’
‘লা লিগা সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণা দূর করতে নিজেদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।’
২ সপ্তাহ আগে
হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৭৮ হাজার রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের যে বিশাল গর্জনে বুক কেঁপে কেঁপে উঠছিল বার্সেলোনার তরুণ খেলোয়াড়দের, দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পর থেকে সেই উল্লাস কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, আর এক কোনায় থাকা মাত্র ৪০০ ব্লাউগ্রানা সমর্থকের চিৎকারে ছাপিয়ে গেল গোটা গ্যালারির স্তব্ধতা। বার্সেলোনাকে আরও একবার হারিয়ে, কিংবা অন্তত হার এড়িয়ে বার্সারই টানা জয়ের রেকর্ড ভাঙার যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এদিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫-২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনিসিউস-এমবাপের মতো ক্ষিপ্র গতির খেলোয়াড়দের আটকানোর কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। সেই কৌশল অবলম্বন করেই রিয়ালের বিষদাঁত বের করতে দেননি এই জার্মান।
ম্যাচে শুধু এমবাপেই ৮ বার বার্সার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল, তবে অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোলটি।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
৩ সপ্তাহ আগে
এল ক্লাসিকোর আগে রিয়াল শিবিরে জোড়া দুঃসংবাদ
শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ৫-২ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এর মাঝেই দুটি চোটের খবর পেল দলটি।
পরবর্তী ম্যাচে লা লিগায় শনিবার বার্সেলোনাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবে কার্লো আনচেলত্তির দল। ওই ম্যাচের আগে ছিটকে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েস।
ডর্টমুন্ড ম্যাচের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই উরুতে টান লাগায় মাঠ ছাড়তে হয় রদ্রিগোকে। এরপর বুধবার ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চোটটি গুরুতর না হলেও কয়েকদিনের জন্য রদ্রিগোকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
বৃহস্পতিবার পায়ে এমআরআই করার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে। তবে পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তাকে স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে বলে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
এছাড়া ম্যাচ শেষে জানানো হয়, পায়ে চোট পেয়েছেন গোলরক্ষক কোর্তোয়াও। গত মাসে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে যেখানে চোট পেয়েছিলেন, সে স্থানেই ফের ব্যথা অনুভব করেছেন এই বেলজিয়ান।
কোর্তোয়াকে নিয়ে বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছেন কোর্তোয়া। ফলে বার্সেলোনার বিপেক্ষে আসন্ন এল ক্লাসিকো মিস করবেন তিনি।
চোটের কারণে ইতোমধ্যে মৌসুমই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে লস ব্লাঙ্কোস অধিনায়ক দানি কারভাহালের। এছাড়া লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা। তবে চোট কাটিয়ে ইতোমধ্যে অনুশীলনে ফিরেছেন ব্রাহিম দিয়াস।
৩ সপ্তাহ আগে