রিয়াল মাদ্রিদ
ব্যাপক তোড়জোড় করেও হেরে গেল রিয়াল, সেমিফাইনালে আর্সেনাল
ফিরে আসার নানা গল্প, একের পর এক ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, বের্নাবেউয়ের ছাদ অবরুদ্ধ করে ম্যাচের আয়োজন—সব বৃথা গেল রিয়াল মাদ্রিদের। যাবে না-ই বা কেন, আসল যে কাজ, অর্থাৎ মাঠের খেলায় যা করে দেখানোর দরকার ছিল, সেটাই যে করতে পারেনি তারা। উল্টো শেষদিকে গোল খেয়ে আবারও হেরে নিদারুণ এক বিদায় নিতে হয়েছে দলটির।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি আর্সেনালের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এই ফলাফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-১-এ। এমিরেটস স্টেডিয়ামে গত সপ্তাহে ৩-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই একটি করে পেনাল্টি পেলেও বাজে শট নিয়ে থিবো কোর্তোয়ার হাতে ধরা পড়েন বুকায়ো সাকা। কিছুক্ষণ পর এমবাপ্পেকে পেনাল্টি দিয়েও পাঁচ মিনিটের দীর্ঘ ভিএআর রিভিউ শেষে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
৩ গোলের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে মাঠে নামলেও প্রথমার্ধে গোল করা তো দূরের কথা, গোলে একটি শটও নিতে পারেনি রিয়াল। পক্ষান্তরে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি করে শট লক্ষ্যে রাখে দুদলই, তবে তা থেকে আর্সেনাল দুটি ও রিয়াল একটিকে গোলে পরিণত করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে প্রথম স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনেন আর্সেনাল উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। এর দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে ভিনিসিয়ুসের কাছে গোল খায় লন্ডনের দলটি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
এর ফলে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজ আরও দীর্ঘ হলো রিয়ালের। সেইসঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই এবার বিদায় নিতে হলো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
অন্যদিকে, ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আর্সেনাল। ২০০৮/০৯ মৌসুমে আর্সেন ওয়েঙ্গার সবশেষ দলটিকে ইউরোপের এলিট এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তুলেছিলেন।
অপর ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ২-১ গোলে হারায় সামগ্রিক লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের সেরা চার দল নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল ঘরের মাঠে পিএসজিকে আতিথ্য দেবে আর্সেনাল এবং পরের রাতে বার্সেলোনার মাঠে খেলতে নামবে ইন্টার।
পরের সপ্তাহে ৬ মে ইন্টার-বার্সা এবং ৭ মে পিএসজি-আর্সেনালের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
কষ্টের জয়ে এগিয়ে যাওয়ার রাতে বার্সেলোনা শিবিরে দুঃসংবাদ
বলের দখলে আধিপত্য বিস্তার করলেও ধারহীন আক্রমণেরে কারণে ম্যাচজুড়ে ভুগতে হলো বার্সেলোনাকে। তবে ভাগ্যের ছোঁয়ায় প্রতিপক্ষের দেওয়া আত্মঘাতী গোল ও তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়ায় তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।
মাদ্রিদের বুতার্কে স্টেডিয়ামে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে লা লিগার ৩১তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।
এতে করে ২২ জয় ও চার ড্রয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
লিগে প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে লেগানেসের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে এসে তার প্রতিশোধ নিল তারা।
অবশ্য ঠিক প্রতিশোধ বলা চলে না। কারণ মাঠে প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরালেও তেমনভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণ শানিয়েছিল লেগানেস, তা থেকে গোলও আদায় করতে পারত দলটি। মাঝে একবার বল জালেও জড়িয়েছিল তারা, কিন্তু অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষের দিকে সময়ক্ষেপণ করে ওই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার জন্য শিষ্যদের ইঙ্গিত করতে দেখা যায় ফ্লিককে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।
হারলেও ম্যাচ শেষে তাই কিছুটা তৃপ্তি ঝরেছে লেগানেস কোচ বোর্হা হিমেনেসের কণ্ঠেও, ‘আজ আমরা বার্সেলোনার মতো একটি দলকে সময় নষ্ট করতে এবং শেষের বাঁশি চাইতে বাধ্য করেছি।’
এই জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করে লিগ শিরোপা জয়ের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কাতালান জায়ান্টরা।
তবে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জনের রাতের স্বস্তিতে নেই দলটি। চোট পেয়ে প্রথমার্ধে বিরতির আগে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার তরুণ ফুলব্যাক আলেহান্দ্রো বালদেকে।
৪ দিন আগে
আতলেতিকোকে বিদায় করল বার্সেলোনা, কোপায় এল ক্লাসিকো ফাইনাল
সব প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ায় কেবল কোপা দেল রে-ই ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের সামনে একমাত্র শিরোপা। ফলে ফাইনালে উঠতে যে দলটি চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে। তবে চেষ্টা চালালেও ধারহীন ফিনিশিংয়ে সাফল্য পায়নি দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
বুধবার রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় কোপা দেল রের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা।
২৭তম মিনিটে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন ফেররান তোরেস। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে একবার জালে বল পাঠান আতলেতিকোর অলেকসান্দার সোরলথ, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি আর গোনায় ধরা হয়নি। ফলে ৫-৪ অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন: ৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যাচজুড়ে এদিন বেশ কয়েকবার বার্সেলোনার ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেও একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। তাদের নেওয়া মোট ৬টি শটের পাঁচটি ছিল পোস্টের বাইরে, অন্যটি রক্ষণে কাটা পড়ে। অপরদিকে, বার্সেলোনার ১৪টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগের ম্যাচে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২ গোল খেয়ে বসা বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল করে ম্যাচটি ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ করে আতলেতিকো। ফলে ফিরতি এই লেগের ওপরই নির্ভর করছিল সেমিফাইনালের ভাগ্য। তাতে শেষ হাসি ফুটল কাতালান জায়ান্টদের মুখে।
এই জয়ে ২০২৫ সালে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল বার্সেলোনার। নতুন বছরে ২১টি ম্যাচ খেলে এখনও হারের মুখ দেখেনি দলটি। এর মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা, বাকি সবগুলোতে পেয়েছে জয়ের দেখা।
এছাড়া অবসর থেকে ফেরার পর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি, যার ১৭ জিতেছেন এবং দুটি ম্যাচ ড্র হয়। এর মধ্যে ১০ ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন এই পোলিশ গোলরক্ষক।
১৪ দিন আগে
৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
বারবার এগিয়ে গিয়েও পা হড়কাতে বসা রিয়াল মাদ্রিদ প্রত্যাবর্তনের আরও একটি গল্প লিখে যখন ফাইনালের পথ ধরেছে, তখন যোগ করা সময়ে ফের গোল করে আরও একবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। তবে অতিরিক্ত সময় শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছে, তখন শেষ গোলটি করে রিয়ালকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন আন্টোনিও রুয়েডিগার।
অতি সংক্ষেপে কোপা দেল রের প্রথম সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের বর্ণনা মোটামুটি এমনই। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয়ে থাকল প্রথম লেগে রিয়ালের করা একমাত্র গোলটি। ওই গোলের সুবাদে অগ্রগামিতায় ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে সোসিয়েদাদকে চেপে ধরে অগ্রগামিতায় দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ষোড়শ মিনিটে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে ঘরের মাঠের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন আন্দের বারেনেচিয়া।
পাবলো মারিনের হেডারে বাড়ানো পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে আন্দ্রেই লুনিনকে পরাস্ত করেন এই স্প্যানিশ। ফলে রিয়ালের প্রথম লেগের অগ্রগামিতা ফিরতি লেগের শুরুতেই মিলিয়ে যায়।
তবে ৩০তম মিনিটে এন্দ্রিকের একক নৈপুণ্যে উল্লাসে মাতে বের্নাবেউ। ফলে আবারও লিড নেয় রিয়াল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কোনোভাবেই আর এগিয়ে যাওয়া হয়ে উঠছিল না স্বাগতিকদের। অন্যদিকে, চাপে কোণঠাসা লা রিয়াল সমতায় ফেরার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিল। এর মাঝে আক্রমণে ধার বাড়াতে এন্দ্রিককে উঠিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান আনচেলত্তি। তবে ৭২তম মিনিটে উল্টো এক আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে দূরের পোস্টের দিকে শট নেন মারিন। গোলমুখ থেকে তা ক্লিয়ার করতে গেলে ডাভিড আলাবার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে অগ্রগামিতায় ২-২-এ সমতায় ফিরে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায় সোসিয়েদাদ।
দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার আট মিনিট পর গোল করে লা রিয়ালকে জয়ের বন্দর দেখান ওইয়ারসাবাল। এবারও দুর্ভাগা আলাবার পায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয় ওইয়ারসাবালের শট।
ম্যাচের তখন আর মিনিট দশেক বাকি। এ সময় প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ইমানোলের শিষ্যরা। তবে অবিশ্বাস্যভাবে চার মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচভাগ্য নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেয় মাদ্রিদ।
৮২তম মিনিটে বেলিংহ্যাম ও ৮৬তম মিনিটে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি গোল করে চকিতে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। অগ্রগামিতায় ফল তখন রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে, ৪-৩।
কিন্তু না! যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফের সোসিয়েদাদের ত্রাতা হয়ে ওঠেন ওইয়ারসাবাল। ফলে ৪-৩ গোলে সোসিয়েদাদ ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও ৪-৪ অগ্রগামিতায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কেউ গোল না পাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছে, তখনই গর্জন করে ওঠে বের্নাবেউ।
১১৫তম মিনিটে কর্নার থেকে আর্দা গুলেরের নেওয়া ক্রসে হেড দিয়ে রিয়ালকে কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলটি এনে দেন রুয়েডিগার। এরপর আর সোসিয়েদাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর মাদ্রিদ জায়ান্টদের তাদের মাঠে এসে চার গোল দিয়েও হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয় সোসিয়েদাদকে।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বুধবার রাতে মাঠে নামবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। প্রথম লেগে এই দুই দলের লড়াই শেষ হয় ৪-৪ ড্রয়ে। ফলে ফিরতি লেগে জয়ী দলই ফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি হবে।
১৫ দিন আগে
আতলেতিকোর ফের হোঁচট, জিতে বার্সেলোনার ঘাড়ে নিঃশ্বাস রিয়ালের
অবনমন থেকে বাঁচার প্রতিযোগিতায় থাকা লেগানেসের বিপক্ষে জয় পেতে রিয়াল মাদ্রিদের যে খুব একটা কষ্ট হবে না— অনেকে আগে থেকেই তা অনুমান করেছিলেন। তবে মাঠের খেলায় সেই পুঁচকে দলের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে ঘাম ছুটে গেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। এতে করে বার্সেলোনার ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগার ২৯তম রাউন্ডের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে রিয়াল।
জোড়া গোল করে এদিন দলকে জয়ের পথ দেখান কিলিয়ান এমবাপ্পে। মাঝে আরেকটি গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম।
তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে চমক দেখিয়ে রিয়ালকে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেয় লেগানেস। ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোদের বিশ্রামে রেখে আনচেলত্তির সাজানো দলের বিপক্ষে এদিন শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বোরহা হিমেনেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেও খেলার আধঘণ্টা গড়াতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল। ৩০তম মিনিটে বক্সের মধ্যে আর্দা গুলেরকে ফেলে দিয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেন লেগানেসের অস্কার রদ্রিগেস। দুই মিনিট পর সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে।
তবে এর পরের মিনিটেই অভানীয় এক গোল করে লেগানেসকে সমতায় ফেরান দিয়েগো গার্সিয়া। সতীর্থের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে দূরের পোস্টের দিকে চলে যায়। সেখানে একপ্রকার একা দাঁড়িয়ে ছিলেন গার্সিয়া। ট্যাপ-ইনে বল ঠিকানায় পাঠানো ছিল তার বাঁ পায়ের খেল।
গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় সফরকারীদের। এরপর ৪১তম মিনিটে বের্নাবেউকে স্তব্ধ বরে দিয়ে এগিয়ে যায় তারা। এ সময় বাইলাইন থেকে অস্কার রদ্রিগেসের পাস ছয় গজ বক্সের মধ্যে পেয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড দানি রাবা।
ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লেগানেস।
১৮ দিন আগে
২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামা আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচ শুরু হতেই পেয়ে গেল সমতাসূচক গোল। সেই গোলে ম্যাচটি জিতলেও টাইব্রেকারে কপাল পুড়েছে দলটির। আর পুরো ম্যাচজুড়ে গোল না পেলেও টাইব্রেকারে দুবার ভাগ্য সহায়তায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় বুধবার (১২ মার্চ) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচের ২৭তম সেকেন্ডে রদ্রিগো দে পলের গোলমুখে বাড়ানো ক্রস জালে জড়িয়ে দিয়ে আতলেতিকোকে এগিয়ে নেন কনর গ্যালাগার। এরপর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে রিয়ালকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ক্লেমন লংলে। তবে সেই পেনাল্টি শটটি উড়িয়ে মেরে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এরপর আর কোনো গোল না হলে অগ্রগামিতায় ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা। পরে অতিরিক্তি ৩০ মিনিটেও দুদলের কেউ গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এরপর দুই দলই নিজেদের প্রথম দুটি স্পট কিকে সফল হলেও হুলিয়ান আলভারেসের নেওয়া শটে আতলেতিকোর দ্বিতীয় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর।
কিক নেওয়ার মুহূর্তে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুখেও বল ঠিকানায় পাঠাতে সক্ষম হন হুলিয়ান, কিন্তু ভিএআর জানায়, কিক নেওয়ার সময় তার দুই পা-ই বলে স্পর্শ করেছে। ফলে গোলটি বাতিল করে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো।
তৃতীয় কিকে দুই দলই সফল হওয়ার পর রিয়ালের চতুর্থ কিকটি ফিরিয়ে দেন ইয়ান ওবলাক। ফলে ফের ৩-৩ সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে দলটি। কিন্তু মার্কোস ইয়োরেন্তের নেওয়া আতলেতিকোর তৃতীয় শটটি ক্রসবারে লেগে মাটিতে আছড়ে পড়েও বাইরে চলে আসে। ফলে সমতায় ফেরা আর হয়ে ওঠে না তাদের।
এরপর আন্টোনিও রুয়েডিগারের চতুর্থ শটটি ওবলাকের হাতে লাগলেও তিনি তা ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। ফলে ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
দিনের অপর ম্যাচে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেও ৯-৩ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারানো পিএসজি কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগেও ৩-০ গোলে জিতে ৬-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে উনাই এমেরির দল।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
নকআউটের অপর পাশে থাকা বার্সেলোনা শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। প্রথম লেগে ১-১ গোলে সমতার পর ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে লিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে নিকো কোভাকের শিষ্যরা। আর ফিরতি লেগে ফেয়েনুর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা ইন্টার মিলান পড়েছে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল। এরপর ১৫ ও ১৬ এপ্রিল হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ।
৩৫ দিন আগে
আতলেতিকোকে টপকে ফের বার্সেলোনাকে ধরল রিয়াল
গত সপ্তাহে রিয়ালের হারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেমন দুইয়ে উঠেছিল আতলেতিকো, এ সপ্তাহে ঘটেছে তার ঠিক উল্টো ঘটনা। আতলেতিকোর হারের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাতে করে শিরোপার লড়াইয়ে ফের বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের পাশে বসেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে রবিবার (৯ মার্চ) লা লিগার ২৭তম রাউন্ডের ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এদিন ম্যাচের ৩০ ও ৩৪তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর বিরতির আগে একটি গোল পরিশোধ করে ভায়েকানো।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের সুযোগ কাজে লাগিয়ে একের পর এক চেষ্টাও চালায় সফরকারীরা। তবে কিছুতেই আর রিয়ালের জালে বল পাঠাতে পারেনি তারা। ফলে ২-১ গোলের হার নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে ভায়েকানোকে।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
প্রথমার্ধে চেনা ছন্দে খেললেও বিরতির পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি রিয়ালের আক্রমণের ধার। প্রথমার্ধে ৫৬ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে মোট আটটি শট নেওয়া মাদ্রিদিস্তারা, যার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। অথচ বিরতির পর শট নেয় মাত্র দুটি, যার একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলেও আধিপত্য বিস্তার করে ভায়েকানোর খেলোয়াড়রা। রিয়ালের ৩৭ শতাংশের বিপরীতে ৬৩ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে আটটি শট নেয় দলটি, যার তিনটি লক্ষ্যে ছিল। সব মিলিয়ে এদিন রিয়ালের গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নিয়ে তাক লাগিয়ে দেয় ভায়েকাসের দলটি।
তাই জিতলেও চলতি মৌসুমে অন্য এক আশঙ্কার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে ৫১ গোল হজম করেছে রিয়াল। লা লিগার দলগুলোর মধ্যে এই সংখ্যাটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। পয়েন্ট টেবিলের ১৬তম দল ভালেন্সিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রিয়াল। তাদের চেয়ে বেশি গোল খাওয়া দল কেবল জিরোনা (৫২) ও রিয়াল ভায়াদোলিদ (৬৮)।
৩৮ দিন আগে
প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
ওসাসুনার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় গেতাফেকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের সামনে। সে লক্ষ্যে প্রথমে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল তারা, কিন্তু শেষের কয়েক মিনিটে সবকিছু হয়ে গেল এলোমেলো। লাল কার্ড ও দুই গোল খেয়ে ম্যাচটি তো হেরেছেই, পাশাপাশি টেবিলের তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে দলটি।
রবিবার (৯ মার্চ) মাদ্রিদের কলিসেউম স্টেডিয়ামে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পেপে বোরদালাসের গেতাফে।
এর ফলে আতলেতিকোর বিপক্ষে টানা ২৪ ম্যাচ জয়বঞ্চিত (২০ হার ও ৪ ড্র) থাকার পর সেই খরা কাটাল গেতাফে। আর ২৭ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনার চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে আপাতত দুইয়েই রইল সিমিওনের শিষ্যরা।
দিনের অপর ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিততে পারলে আতলেতিকোর সমান ম্যাচে বার্সেলোনার সমান ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠবে রিয়াল।
আরও পড়ুন: দশজনের সোসিয়েদাদকে বিধ্বস্ত করে ফের চূড়ায় বার্সেলোনা
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দুদলের কেউ গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৭৪তম মিনিটে সফরকারীদের পেনাল্টি দিয়ে বসে গেতাফে। তা থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন আতলেতিকোর বদলি নামা স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার সোরলথ। এর ফলে চলতি মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে বদলি নেমে গোল করাদের তালিকায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলেন সোরলথ (৭)।
তবে মিনিট দশেক পেরোতেই ধাক্কাটা খায় আতলেতিকো মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার দিয়েনেকে ফাউল করে প্রথমে হলুদ কার্ড এবং পরে ভিএআর রিভিউতে তা লাল কার্ডে উন্নীত হলে ৮৮তম মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় আনহেল কোররেয়াকে। এর ফলে বার্সেলোনার বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে দলে পাবে না মাদ্রিদের দলটি।
কোররেয়া মাঠ ছাড়ার পরপরই মাউরো আরামবারির গোলে সমতায় ফেরে গেতাফে। এরপর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আরও এক গোল করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান তিনি।
দশ মিনিটের যোগ করা সময় ১১ মিনিটে গিয়ে শেষ হলেও পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। ফলে হার নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন স্পাইডারম্যানের গোলে শীর্ষে উঠল আতলেতিকো মাদ্রিদ
২৭তম রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার রাতে ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল বার্সেলোনার। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দলটির প্রধান চিকিৎসক কার্লেস মিনিয়েরো গার্সিয়ার আকস্মিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই দলের অনুরোধের পর সব দিক বিবেচনায় নিয়ে ম্যাচটি স্থগিত করে লা লিগা। পরবর্তীতে ফাঁকা সূচিতে ম্যাচটির আয়োজন করা হবে বলে লা লিগার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আগামী রবিবার বার্সেলোনার বিপক্ষে লা লিগার পরবর্তী রাউন্ডে মাঠে নামবে আতলেতিকো। তার আগে আসছে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে আতিথ্য দেবে দলটি।
৩৮ দিন আগে
আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
সবশেষ চারবারের দেখায় আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে এসে অবশেষে দলটির সেই অপরাজেয় যাত্রা থামিয়েছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটি।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরুতেই দুর্দান্ত এক গোল করে রদ্রিগো রিয়ালকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৩২তম মিনিটে হুলিয়ান আলভারেসের দর্শনীয় গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পার্থক্য গড়া গোলটি করেন রিয়ালের স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াস।
এই জয়ে অল্প ব্যবধানে হলেও আতলেতিকোর চেয়ে এগিয়ে রইল রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী বুধবার ফিরতি লেগে আতলেতিকোর মাঠে খেলতে নামবে শিরোপাধারীরা।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন স্পাইডারম্যানের গোলে শীর্ষে উঠল আতলেতিকো মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০০তম ম্যাচে খেলতে নেমে রেকর্ড গড়ার রাতে চতুর্থ মিনিটে গোল করে শুরুতেই এদিন উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার রদ্রিগো। নিজেদের অর্ধ থেকে ফেদেরিকো ভালভের্দের ডান পাশের টাচলাইন ধরে বাড়ানো পাস ধরে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। এরপর আতলেতিকোর দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে অসাধারণ এক শট নেন তিনি, আর ঝাঁপিয়ে পড়া ইয়ান ওবলাকের আওতার বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল। ফলে উল্লাসে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় বের্নাবেউ।
এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রদ্রিগোর ২৫তম গোল। এর ফলে পঞ্চম কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ২৫ গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ২৪ বছর ৫৪ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়া রদ্রিগোর উপরে রয়েছেন রাউল গন্সালেস (২৩ বছর ২৫২ দিন), লিওনেল মেসি (২২ বছর ২৮৬ দিন), কিলিয়ান এমবাপ্পে (২২ বছর ৮০ দিন) ও আর্লিং হালান্ড (২২ বছর ৪৭ দিন)।
৪৩ দিন আগে
দশজনের সোসিয়েদাদকে বিধ্বস্ত করে ফের চূড়ায় বার্সেলোনা
রিয়াল বেতিস, আথলেতিক বিলবাও ও রিয়াল সোসিয়েদাদ—লা লিগার অন্যতম শক্তিধর এই তিন দলের বিপক্ষে একই সপ্তাহে ম্যাচ ছিল যথাক্রমে রিয়াল মাদ্রিদ, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার। রিয়াল মাদ্রিদ এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ার পর সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে আতলেতিকো। এরপর নিজেদের ম্যাচে প্রতিপক্ষ শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হলে কাজ সারতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি কাতালান জায়ান্টদের।
রবিবার কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের মিনিট পনেরো পরই লাল কার্ড দেখে সোসিয়েদাদ অধিনায়ক আরিৎস এলুস্তোন্দো মাঠ ছাড়লে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় দলটি। এরপর ২৫ ও ২৯তম মিনিটে ফুলব্যাক জেরার্দ মার্তিন ও মিডফিল্ডার মার্ক কাসাদোর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ ও ৬০তম মিনিটে বাকি গোলদুটি করেন রোনাল্দ আরাউহো ও রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এই জয়ে ২৬ ম্যাচে ১৮ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে ফের টেবিলের শীর্ষস্থান দখর করল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নেমে গিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন স্পাইডারম্যানের গোলে শীর্ষে উঠল আতলেতিকো মাদ্রিদ
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় সোসিয়েদাদ। তবে সার্জিও গোমেসের সেই গোল বার্সেলোনার অফসাইড ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়ে যায়।
ত্রয়োদশ মিনিটে নিজেদের বক্সের মধ্যে ডিফেন্ডারদের সঙ্গে ওয়ান-টু করার মাঝে ছুটে গিয়ে সোসিয়েদাদ গোলরক্ষককে চেপে ধরেন পেদ্রি, সফলও হন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বল ক্রসবারের উপর দিয়ে জালের ওপর গিয়ে পড়ে।
ষোড়শ মিনিটে আরও একবার বার্সার ডিফেন্স ভেঙে ভয়চিয়েখ স্টান্সনিকে পরাস্ত করেন ওরি ওস্কারসন, তবে সেবারও অফসাইড ফাঁদ এড়াতে পারেননি তিনি।
এর পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে ওঠা দানি অলমোকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সোসিয়েদাদ ডিফেন্ডার আরিৎস এলুস্তোন্দো। ভিএআর রিভিউতেউ লাল কার্ড বহাল থাকলে দলকে বিপদে ফেলে মাঠ ছাড়েন দলটির অধিনায়ক।
৪৫ দিন আগে