উত্তরাঞ্চল
ভারতের উত্তরাঞ্চলে বাস খাদে পড়ে নিহত ৩৬
ভারতের উত্তরাঞ্চলে রাস্তা থেকে উল্টে গভীর খাদে বাস পড়ে অন্তত ৩৬ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রাজ্য সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দীপক রাওয়াত জানান, সোমবার উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য রাজ্য আলমোড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা ভেতরে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে থাকা সাত যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রে গাছ পড়ে নিহত ৯
রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা বিনীত পাল জানান, রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে, জরাজীর্ণ বাসটি ৬০ মিটার (২০০ ফুট) গভীর গিরিখাতে পড়ে যাওয়ার আগে পিছলে যায়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, বেশ কয়েকজন যাত্রী বাস থেকে বের হতে সক্ষম হন আর কিছু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আহত যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরাজীর্ণ এই বাসের অনুমোদন দেওয়ায় দুই পরিবহন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বেপরোয়া গাড়ি চালানো, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল রাস্তা এবং পুরানো যানবাহনের কারণে হয়ে থাকে।
গত জুলাইয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি দোতলা যাত্রীবাহী বাস ও দুধের ট্রাকের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে মে মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস পাহাড়ি মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ২১ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ায় রেলস্টেশনের ছাদ ধসে নিহত ১৩
২ সপ্তাহ আগে
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেক
উত্তর আফগানিস্তানের বাঘালানের প্রাদেশিক রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। বন্যা কবলিত এলাকার একজন বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাজের মোহাম্মদের বর্ণনায় বন্যার ভয়াবহতা উঠে এসেছে।
বন্যার আঘাতের বর্ণনায় তিনি বলছিলেন, আকস্মিক বন্যার খবর পেয়ে তিনি দ্রুতই বাড়িতে যান। কিন্তু, তিনি যখন বাড়িতে পৌঁছান, ততক্ষণে তার পাঁচ সদস্যের পরিবারসহ কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে সব।
৪৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ বন্যার ক্ষতির দৃশ্য তুলে ধরে বলছিলেন, ‘সবকিছু হঠাৎ করেই ঘটে গেল। আমি বাড়িতে ফিরে আসি, কিন্তু সেখানে কোনও বাড়ির অস্তিত্ব ছিল না, পরিবর্তে আমি সমস্ত আশেপাশের কাদা এবং পানিতে ডুবে আছে।’
আরও পড়ুন: বিদেশিদের জন্য ৩০ দিনের একক প্রবেশ ভিসার বর্তমান ফি বহাল রাখবে শ্রীলঙ্কা
তিনি বলেন, তিনি তার স্ত্রী এবং ১৫ এবং ৮ বছর বয়সী দুই ছেলেকে কবর দিয়েছেন। তবে তিনি এখনও ৬ ও ১১ বছর বয়সী দুই মেয়ের সন্ধান করছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ধারণা করছে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিক ভারী মৌসুমী বৃষ্টিপাতের ফলে শুক্রবারের বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে ধ্বংস হয়েছে কয়েক হাজার বাড়িঘর। আর এসব ক্ষতির বেশিরভাগই হয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশে।
রবিবার (১২ মে) মোহাম্মদ বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে বাগলান প্রদেশের রাজধানী পুলি খুমরির নিকটবর্তী এলাকায় তিনি তার স্ত্রী ও দুই ছেলের লাশ দেখতে পান।
কান্না চেপে রেখে তিনি বলেন, 'আশা করি কেউ আমার মেয়েদের জীবিত খুঁজে পেয়েছে। ‘চোখের পলকে আমি সবকিছু হারিয়েছি- পরিবার, বাড়ি, জিনিসপত্র, এখন আমার কাছে কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
ত্রাণকর্মীদের দল, ওষুধ, কম্বল ও অন্যান্য ত্রাণ পাঠাচ্ছে এমন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ইউনিসেফের মতে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের মধ্যে ৫১ শিশুও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা ওষুধসহ সাত টন জরুরি উপকরণ সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৫০, নিখোঁজ অনেক
ত্রাণ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঘলানের পাঁচটি জেলায় প্রায় ছয় লাখ মানুষ বাস করে, যাদের অর্ধেকই শিশু।
গ্রুপটি আরও বলেছে যে, তারা শিশু এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য ও শিশু সুরক্ষা দলের সঙ্গে একটি ‘ভাসমান একটি চিকিৎসা কেন্দ্র’ পাঠিয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরশাদ মালিক বলেন, 'অনেক প্রাণ ও জীবিকার উপকরণ ভেসে গেছে। ‘আকস্মিক বন্যায় গ্রামগুলো ভেসে গেছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গবাদি পশুও মারা গেছে। শিশুরা সবকিছু হারিয়েছে। যে পরিবারগুলো তিন বছরের খরার অর্থনৈতিক প্রভাবে ভুগছে, তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, আফগানিস্তান এমন একটি দেশ যা জলবায়ু পরিবর্তনের ধরন মোকাবিলায় সবচেয়ে কম প্রস্তুত। এ জন্য ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রয়োজন।
এর আগে গত এপ্রিলে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও প্রায় দুই হাজার বাড়ি, তিনটি মসজিদ এবং চারটি স্কুল ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৩ শতাধিক: জাতিসংঘ
৬ মাস আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অফিস
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, নওগাঁ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে পারে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলা, ফেনী ও কক্সবাজারে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের সম্মুখীন হওয়ায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে দিনমজুর, শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
১০ মাস আগে
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে যাত্রীবাহী বাসে গুলি, নিহত ৯
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি বাসে জঙ্গিদের গুলিতে দুই সেনাসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আজমত শাহ জানান, শনিবার রাতে উত্তর গিলগিট বালতিস্তান অঞ্চলের কারাকোরাম হাইওয়েতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আন্দামান সাগরে দুর্ঘটনাকবলিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আঞ্চলিক উদ্যোগের আহ্বান ইউএনএইচসিআরের
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সংযোগ স্থাপনকারী মহাসড়ক এটি। এ ছাড়া এই মহাসড়কটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। আগে পাকিস্তানি তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই এলাকা।
বাসটি যাত্রীদের নিয়ে গিলগিট থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহরে যাচ্ছিল। এ সময় গুলি করলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয় এবং আগুন লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই চালক নিহত হন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় আলেম মুফতি শের জামানসহ অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গিলগিট বালতিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামস লোন এই ঘটনাকে 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' বলে অভিহিত করেছেন।
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গিলগিট বালতিস্তানের শান্তি বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না।’
গিলগিট বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী গুলবার খান জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের ধরতে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এদিকে রবিবার এক বিবৃতিতে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি এই হামলার পেছনে তার দল জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন।
টিটিপি একটি পৃথক গোষ্ঠী, তবে আফগান তালেবানের মিত্র। তারা গত ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানে বিদ্রোহ চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের পরিবর্তে পিটিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচিত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
১১ মাস আগে
ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ
নাটোরের লালপুরে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন সিগন্যাল পয়েন্টে ঢাকাগামী চালবোঝাই মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঝড়ে রেললাইনে ভেঙে পড়ল গাছ, ঢাকা থেকে চট্টগাম-সিলেটগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ
অসীম কুমার বলেন, চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী ‘রকেট মেইল’ ট্রেন এবং রাজশাহীগামী ‘বরেন্দ্র এক্সপ্রেস’ ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর নাটোর স্টেশনে আটকে পড়ে। যার ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশি ডিভিশনানাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ এর নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন বিকাল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহী রেল স্টেশনে ককটেল, আতঙ্কিত যাত্রীরা
ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেল মন্ত্রণালয়ের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
১১ মাস আগে
ইসরায়েলের স্থল হামলার হুমকিতে অনেক ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়েছে
ক্ষমতাসীন হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর আকস্মিক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের আগে অবরুদ্ধ গাজার ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এরপর অনেক ফিলিস্তিনি শুক্রবার গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে গেছেন।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার জনবহুল জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে সরিয়ে নেওয়া কঠিন হবে এবং ইসরায়েলকে এই নজিরবিহীন নির্দেশনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। সারাদিন ধরে ওই এলাকায় বিমান হামলা চালানো হলে গাড়ি, ট্রাক ও গাধার গাড়িতে করে পরিবারগুলো গাজা শহরের বাইরে একটি প্রধান সড়কে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
হামাসের গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা গাড়িগুলোতে হামলা চালিয়ে ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গাজায় অস্থায়ী অভিযান চালিয়েছে এবং প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অপহৃত প্রায় ১৫০ জনের সন্ধান পেয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা সিটির আশেপাশে হামাসের আন্ডারগ্রাউন্ড আস্তানালক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি ও কিছু মিশরীয় কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন যে, ইসরায়েল শেষ পর্যন্ত মিশরের সঙ্গে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে গাজার জনগণকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
হামাস জনগণকে সরে যাওয়ার আদেশ উপেক্ষা করতে বলেছে এবং গাজার পরিবারগুলো কোথাও কোনও নিরাপদ জায়গা না থাকায় চলে যাওয়া বা থাকার সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখেছিল। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা রোগীদের ছেড়ে যেতে পারবেন না।
গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি অবিরাম হামলায় গাজার আশেপাশের বিশাল এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। এতে গাজায় দুর্ভোগ বেড়ে গেছে, যা খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং কার্যত বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
গাজা সিটিতে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেন,‘খাবারের কথা ভুলে যান, বিদ্যুতের কথা ভুলে যান, জ্বালানির কথা ভুলে যান- আপনি এটি করতে পারবেন কিনা, এখন একমাত্র উদ্বেগ হচ্ছে আপনি বেঁচে থাকবেন কিনা।’ এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, গাজার এক সপ্তাহের যুদ্ধে প্রায় এক হাজার ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ১৮ বছরের কম অথবা নারী।
ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, গত শনিবার হামাসের হামলায় এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় দেড় হাজার হামাস সদস্য মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
১ বছর আগে
গাজার উত্তরাঞ্চলের ১ মিলিয়ন মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের
হামাসের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণ শুরুর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বলেছে। এই নির্দেশ পাওয়ার পর শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিরা সরে যেতে শুরু করেছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছে। এত বেশি মানুষ একত্রে স্থানান্তরিত হলে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।
সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর লক্ষাধিক ফিলিস্তিনির আবাসস্থল গাজা সিটির বেসামরিক নাগরিক এবং ত্রাণ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েল অবরুদ্ধ এ অঞ্চলের সমস্ত খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
গাজা শহরের প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেন, ‘খাবারের কথা ভুলে যাও, বিদ্যুতের কথা ভুলে যাও, জ্বালানির কথা ভুলে যাও। এখন একমাত্র উদ্বেগের বিষয় হলো আপনি পালাতে পারছেন কিনা। যদি পারেন, তাহলে আপনি বাঁচতে পারবেন।’
যুদ্ধে ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং পুরো অঞ্চল জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোর উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরায়েল
সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’: জাতিসংঘের মুখপাত্র
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জিম্মি নিহত: আল-কাসাম ব্রিগেড
১ বছর আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষেরই নাগালের বাইরে ইলিশ। তবে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় তারা শুকনো, নোনা (লবণ দেওয়া) ইলিশের স্বাদ নিতে পারে।
প্রতি বছর চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য ঘাটের শ্রমিকরা অবিক্রীত ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাত করেন। তারা এখন মাছ কেটে তাতে লবণ দিতে ব্যস্ত।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় শুকনো লবণাক্ত ইলিশ বা ‘নোনা ইলিশ’পাওয়া যাচ্ছে এবং এর চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
মৎস্য ঘাটে মৌসুমে নরম হয়ে যাওয়ায় অনেক ইলিশ অবিক্রীত থেকে যায়। কিছু ব্যবসায়ী এগুলো অল্পদামে কিনে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে। শুকনো লবণযুক্ত মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া শ্রমিকরা মাছ থেকে আলাদা করা ডিম বিক্রি করছেন আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। গত বছর প্রতি কেজি ইলিশের ডিম বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
রমজান বেপারী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এবং প্রতি বছর ইলিশ মৌসুমে ময়মনসিংহ থেকে এসে এই এলাকায় থাকেন।
পাইকারি বাজার থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে ৭০০-১০০০ গ্রাম ওজনের অবিক্রিত ইলিশ কিনেছেন তিনি।
এ বছর ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার মণ ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তিনি। এই শুকনো নোনা ইলিশ আগামী ৬ মাস খাওয়ার উপযোগী থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।
রমজানের মতো আনোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, চারি গাজীসহ অনেক ব্যবসায়ী একই উদ্দেশ্যে চাঁদপুরে এসেছেন।
প্রায় ১০০ জন নারী ও ১৫০ জন পুরুষ ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দৈনিক মজুরি পান তাতেই খুশি।
চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিসুর রহমান বলেন, লবণ দিয়ে ইলিশ ছয় মাস সংরক্ষণ করা যায়।
রেফ্রিজারেটরে সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ইলিশের ডিমও একইভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ এখন ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত এবং তারা মুনাফা করছে।
আরও পড়ুন: মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
১ বছর আগে
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগুন লেগে নিহত শতাধিক
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এক খ্রিস্টান বিয়ের আয়োজক হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ জন নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশের হামদানিয়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এটি রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৩৩৫ কিলোমিটার (২০৫ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে মসুল শহরের ঠিক বাইরে এটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের হলের ওপর দিয়ে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ছে।
বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে তাদের অক্সিজেন ও ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে সামরিক বিমানবন্দরে হামলায় নিহত ৩
নিনেভেহ প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ মৃতের সংখ্যা ১১৪ জনে উন্নীত করেছে। ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল-বদর এর আগে ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কে আহতের সংখ্যা ১৫০ বলে জানিয়েছিলেন।
আল-বদর বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।’
অনলাইনে এক বিবৃতিতে তার কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দেশটির স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ত্রাণ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।
নিনেভেহ প্রদেশের গভর্নর নাজিম আল-জুবরি বলেন, আহতদের কয়েকজনকে আঞ্চলিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আগুনে হতাহতের কোনো চূড়ান্ত সংখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি। যা মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: ইরাকে তীর্থযাত্রী বহনকারী বাস উল্টে নিহত ১৮
ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত : আঙ্কারা
১ বছর আগে
ঢাকার যেসব অঞ্চলে বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা মহানগরীর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: জুরাইনে গ্যাস বিস্ফোরণে বাবা-মায়ের পর মেয়ের মৃত্যু
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোনারগাঁ-জনপথ রেলক্রসিং এলাকায় জরুরি লাইন স্থানান্তরের কাজে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর এবং উত্তরা সেক্টর ৮-এ সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে যে, এ সময়ে আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ অল্প থাকবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মাঝে কাতার চ্যারিটির গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ
১ বছর আগে