সাফ
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪: শিরোপাজয়ী বাংলাদেশি তারকাদের কথা
গত ৩০ অক্টোবর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। এটি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের মেয়েদের দ্বিতীয়বারের মতো সাফ জয়। এর আগে ২০২২-এর ১৯ সেপ্টেম্বর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে একই ভেন্যুতে একই দলকে ৩-১ গোলে পরাস্ত করেছিলেন বাংলার বাঘিনীরা।
এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের ৩ খেলায় একটি জয় ও একটি ড্র নিয়ে সেমিফাইনালে যায় বাংলাদেশ। সেখানে ভুটানকে ৭-১-এর বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। তারপর কাঙ্ক্ষিত শিরোপা জয় লাল-সবুজের পতাকাবাহীদের।
চলুন, তাদের মধ্যে সেরা কয়েকজন নারী ফুটবল তারকার কথা জেনে নেওয়া যাক।
২০২৪ সাফ নারী ফুটবল শিরোপাজয়ী বাংলাদেশি তারকারা
.
ঋতুপর্ণা চাকমা
২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির কাউখালীতে জন্ম ঋতুপর্ণার। ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই খেলে আসছেন মিডফিল্ডার হিসেবে। সাফের এবারের আসরের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় ৮১-তম মিনিটে তার গোলটিই বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেয়।
মাঠের বামপ্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার হাওয়ায় ভাসানো শটটি ছিল দুর্দান্ত। আপ্রাণ চেষ্টার পরেও তা ধরতে পারেননি নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুম্বাপো। তার হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে গোললাইনে গন্তব্য খুঁজে নেয় ঋতুপর্ণার শট। এই মোড় ঘোরানো পারফর্মেন্সের জন্য তাকে ম্যাচের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭ গোলের বিধ্বংসী পারফর্মেন্সেও একটি গোল রয়েছে ঋতুপর্ণার। ২০২২-এর সাফ তথা গতবারের মতো এবারও তার সংগ্রহে মোট গোলসংখ্যা দুইটি।
উষ্ণ অভ্যর্থনায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে বরণ
রুপনা চাকমা
দলের দুর্গসম গোলরক্ষক রুপনা চাকমার জন্ম ২০০৪ সালের ২ জানুয়ারি। তার নিবাস রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের ঘিলাছড়ি পাহাড়ে অবস্থিত ভূইয়োদম গ্রাম। এবারের সাফে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের খেতাব পেয়েছেন। এ নিয়ে পরপর দু’বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা গোলরক্ষের ট্যাগ যুক্ত হলো তার নামের সঙ্গে।
বর্তমান টুর্নামেন্টে মাত্র চারটি গোল রুপনার প্রহরা এড়াতে সক্ষম হয়েছে। ফাইনালে কয়েকটি শট তার হাত ফসকালেও দলের জন্য সেগুলো খুব একটা বিপর্যয় হয়ে আসেনি। বরং সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু বড় বড় গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। বিগত টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলো যথেষ্ট বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। যার কারণে শট নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ অধিকাংশ সময় খুব একটা সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে ছিল না।
বিগত সাফে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তার দৃঢ় প্রহরা ভেদ করে শুধু একবার (ফাইনালে) বল জালে প্রবেশ করেছিল। তার আগের চারটি ম্যাচেই তিনি ছিলেন দুর্ভেদ্য, যা স্বভাবতই এবারের প্রতিপক্ষদের বার বার দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
সাবিনা খাতুন
দলের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এবং অধিনায়ক সাবিনার জন্ম ১৯৯৩-এর ২৫ অক্টোবর খুলনার সাতক্ষীরায়।
ফরোয়ার্ডে খেলা এই ফুটবলার এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলদাতা। এবারের টুর্নামেন্টে তিনি মোট তিনটি গোল করেছেন।
এর আগের সাফে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের খেতাবটি যুক্ত হয়েছিল তার নামের সঙ্গে। তাছাড়া তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরারও (৮ গোল) হয়েছিলেন।
মনিকা-ঋতুপর্ণার গোলে আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
তহুরা খাতুন
ময়মনসিংহের কলসিন্দুর নিবাসী তহুরার জন্ম ২০০৩ সালের ৫ মে। দলের প্রতিভাবান এই ফরোয়ার্ড এবার সেমিফাইনালে ভূটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। গোটা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ১৩টি গোলের মধ্যে তার গোল সংখ্যা ৫টি।
পূর্বে ২০১৬-এর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ গালস রিজিওনাল (সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল) চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড ছিল তার দখলে। সেখানে ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ মাত্র ৪ ম্যাচে মোট ১০টি গোল করেছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে তার একটি হ্যাটট্রিক আছে। এছাড়া ২০১৮ সালের চার জাতি টুর্নামেন্ট জকি সিজিআই অনূর্ধ্ব-১৫’তে তিনি ৩ ম্যাচে ৮ গোল করে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করেন।
মাসুরা পারভিন
সেন্টার ব্যাকে খেলা সাতক্ষীরার মেয়ে মাসুরার জন্ম ২০০১-এর ১৭ অক্টোবর। এখন পর্যন্ত ফুটবল ক্যারিয়ারে খুব কমই গোলের দেখা পেয়েছেন মাসুরা। তবে ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে নেপালের বিপক্ষে চরম সংকটপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলের। এমন জরুরি অবস্থায় মাসুরার একটি গোল যেন সোনার হরিণ পাইয়ে দিয়েছিল সাবিনাদের। এই একটি গোল নিয়েই সেবার জয় পায় বাংলার বাঘিনীরা।
মনিকা চাকমা
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ির অন্তর্গত সুমন্তপাড়া গ্রামের মেয়ে মনিকা খেলেন মিডফিল্ডার হয়ে। তার জন্ম ২০০৩-এর ১৫ সেপ্টেম্বর।
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের বাংলাদেশ বনাম মঙ্গোলিয়ার সেমিফাইনালটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল থাইল্যান্ডে। সেখানে মঙ্গোলিয়া ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায়। এই ৩টি গোলের মধ্যে একটি ছিল মনিকার, যেটি ফিফা ‘জাদুকরী গোল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই সঙ্গে মনিকার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ‘ম্যাজিকাল চাকমা’ উপাধিটি। বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সেরা গোলগুলোর তালিকায় যুক্ত আছে এই নজরকাড়া পারফর্মেন্সটি।
২০২৪-এর সাফে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পুরো প্রথমার্ধটাই ছিল গোলশূন্য। অতঃপর দ্বিতীয়ার্ধের সূচনা হয় মনিকার গোল দিয়ে, যা গোটা দলের জন্য অনেকটা স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছিল।
সাবিনাদের রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
মারিয়া মান্দা
মিডফিল্ডার মারিয়ার জন্ম ২০০৩ সালের ১০ মে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার মন্দিরঘোনা গ্রামে। সাবিনার মতো এই ফুটবলারেরও রয়েছে নেতৃত্বের গুণাবলি। বাংলাদেশ তার সহ-অধিনায়কত্বে তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল। ২০১৭ সালে তার অধিনায়কত্বে গোটা অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে অপরাজেয় হিসেবে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ দল। অতঃপর জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে ভারতকে হারিয়ে তারা শিরোপা নিশ্চিত করে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ কোয়ালিফায়ারেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের সহঅধিনায়ক ছিলেন মারিয়া। এমনকি অনূর্ধ্ব-১৮ সাফেও তার দল ছিল অপ্রতিরোধ্য। অনূর্ধ্ব-১৯-এও তিনি অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু সেবার একটানা শিরোপা জয়ে বাধা পড়ে।
শামসুন্নাহার সিনিয়র
ময়মনসিংহের কলসিন্দুর থেকে আগত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের মধ্যে শামসুন্নাহার নামে রয়েছেন দু’জন। তন্মধ্যে শামসুন্নাহার সিনিয়র খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে, যার জন্ম ২০০৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পজিশনে খেললেও শেষ পর্যন্ত লেফ্ট-ব্যাকেই তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। দক্ষিণ রাণীপুর গ্রাম নিবাসী এই ফুটবলার ২০২২-এর সাফে ডিফেন্ডে নিজের জাত চিনিয়েছেন।
ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ
শামসুন্নাহার জুনিয়র
অপর শামসুন্নাহারের জন্ম ২০০৪-এর ৩০ মার্চ কলসিন্দুরের মুক্তাগাছা গ্রামে। তিনি সর্বদাই খেলেন ফরওয়ার্ডে। এবারের সাফ টুর্নামেন্টের বাংলাদেশের প্রথম গোলটি আসে তার পক্ষ থেকে।
২০২৩ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেখানে মোট চার ম্যাচে তার সংগ্রহ এক হ্যাটট্রিকসহ মোট পাঁচটি গোল। এই অবদানের জন্য তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান।
পূর্বে ২০১৮’তে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত জকি ক্লাব চার জাতি টুর্নামেন্টেও তিনি সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন।
সানজিদা আক্তার
কলসিন্দুর নিবাসী সানজিদার জন্ম ২০০১ সালের ২০ মার্চ। এই মিডফিল্ডার অর্থনীতি বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে।
২০১৯ সালে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে তিনি টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিতেন। খেলাধুলার বাইরে তাকে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে। মিডিয়া পাড়ায় তিনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পোস্টার গার্ল হিসেবে পরিচিত।
শেষাংশ
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথে এক সফল অগ্রযাত্রা। যে পথে হেটে দেখালেন ঋতুপর্ণা, রুপনা, সাবিনা, তহুরা, সানজিদা, মারিয়া, মনিকা, মাসুরা, এবং শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র প্রত্যেকেই স্বনৈপূণ্যে উজ্জ্বল। তারা সম্মিলিতভাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন নতুন এক বাংলাদেশের। চিত্তাকর্ষক এই ফলাফলের নেপথ্যের যাত্রাপথ খুব একটা ফুলেল ছিল না বৈকি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী; সেই সঙ্গে একজন নারী হওয়াটা কোনোভাবেই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তাদের সামনে। বরং যোগ্যতা ও ফুটবলের প্রতি অদম্য আবেগের বলে নিজেদের দেশকে তারা পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের সম্মানজনক পর্যায়ে।
নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
১ মাস আগে
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ: ২০ আগস্ট শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ
ছয় জাতির আঞ্চলিক যুব ফুটবল আসর সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
আগামী ২০ আগস্ট নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
এর আগে ১৮ আগস্ট উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
'এ' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক নেপাল।
২২ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
'বি' গ্রুপে ভুটান ও মালদ্বীপের সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত ১৯ আগস্ট একই সময় ও ভেন্যুতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে।
গ্রুপের ম্যাচগুলো শেষে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল দশরথ স্টেডিয়ামেই সেমিফাইনালে খেলবে।
২৫ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রথম সেমিফাইনালে 'বি' গ্রুপ রানার্সআপ এবং ২৬ আগস্ট দ্বিতীয় সেমিফাইনালে 'বি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা 'এ' গ্রুপের রানার্সআপের মুখোমুখি হবে।
২৮ আগস্ট একই সময় ও ভেন্যুতে শিরোপা বিজয়ের লড়াইয়ে নামবে দুই ফাইনালিস্ট দল।
৫ মাস আগে
রাঙামাটিতে সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলারকে উষ্ণ সংবর্ধনা
সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়ন দলের পাঁচ সদস্য আনাই মগিনি, আনুচিং মগিনি, রূপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে ফিরলে তাদের উচ্চ বিদ্যালয়ে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
রাঙামাটির ঘাগড়া বাজারে পৌঁছলে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাঁচ ফুটবলারকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য উল্লাসে মেতে ওঠে।
একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ও আতশবাজির মাধ্যমে তাদের বিদ্যালয়টিতে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠার প্রাথমিক শিক্ষা তারা পান।
জেলা প্রশাসন দুপুর আড়াইটা থেকে শহর প্রদক্ষিণকারী ফুটবলারদের জন্য একটি উন্মুক্ত-ডেক গাড়ির ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন: আইফোন ও টাকা পেলেন সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন দলের তিন ফুটবলার
বিকাল ৪টার দিকে তারা রাঙামাটি স্টেডিয়ামে পৌঁছালে সেখানে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের বীর সংবর্ধনা দেয়া হয়।
মগছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীর সেন চাকমা অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে এই খেলোয়াড়দের মমতায় বড় করেছেন। পরবর্তীতে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শান্তি মনি চাকমা তাদের পুরো দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নদের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা সেনাবাহিনীর
সাফ জেতার মধ্য দিয়ে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে সমালোচনা জয় করেছি: সাবিনা
২ বছর আগে
বাঘিনীদের রাজসিক বরণ
সাত জাতি সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর বাঘিনীদের রাজসিক বরণ করে নিলো ঢাকা। প্রিয় খেলোয়াড়দের ধুমধামে সংবর্ধনা দিলো ঢাকাবাসী। বুধবার বিকালে নেপাল থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় তারা।
সোমবার সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে (রঙ্গশালা) ফাইনালে বাংলাদেশ চারবারের রানার্সআপ এবং স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে ২০০৬ সালের পর তাদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মতো সাফ মহিলাদের মুকুট জয় করল বাঘিনীরা।
দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাঘিনী দলকে স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এসময় বিমানবন্দরে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানানোর পর কেক কাটা হয়। নারী ফুটবলারদের গৌরবময় কৃতিত্বের জন্য স্বাগত জানাতে হাজার হাজার ফুটবল-পাগল ও ভক্ত ঢাকা বিমানবন্দরে ভিড় করেন।
বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তার।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকাল সাড়ে ৩টায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে সুসজ্জিত ওপেন-ডেক বিআরটিসি বাসে ওঠেন জাতীয় বীরাঙ্গনারা। মতিঝিলে বাফুফে অফিসে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দল
ফাইনালের আগে, বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের সদস্য সানজিদা আক্তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন, তারা জয় উদযাপন করার জন্য একটি খোলা ডেক বাস নাও পেতে পারে। তবুও তারা টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফাইনালে সাবিনা আক্তারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের হয়ে দু’টি গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার এবং অপর গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
ফ্লাইটটি ঢাকায় আসার আগেই হাজার হাজার ভক্ত দলে দলে এসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের
বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়
২ বছর আগে
বাঘিনীদের বিজয়যাত্রা: ছাদখোলা বাস যে রুট দিয়ে যাবে
দেশের মাটিতে বিজয়ীরা পা রাখার পর ২০২২ সালের সাফ উইমেনস ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের বিজয় উদযাপন করার জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ছাদখোলা বাসে করে ঢাকার কিছু অংশ প্রদক্ষিণের আয়োজন করেছে।
বিজয়ীদের যেভাবে গ্রহণ করা হবে
জাতীয় এই বীরদের স্বাগত জানানোর জন্য একটি বিশদ পরিকল্পনা তৈরি করতে মঙ্গলবার বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন।
আরও পড়ুন: রূপনা ও রিতুকে বরণ করতে প্রস্তুত নানিয়ারচরবাসী
২ বছর আগে
সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল লাইভ স্ট্রিমিং: কখন, কোথায় বাংলাদেশ-নেপাল ফাইনাল দেখা যাবে
সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল ২০২২ এর ফাইনালে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায়। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দলই শিরোপা জয়ের কথা জানিয়েছে।
কখন, কোথায় ও কীভাবে বাংলাদেশ বনাম নেপাল সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ এর ফাইনাল ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পাবেন তা জেনে নিন।
আরও পড়ুন: সাফ মহিলা চ্যাম্পস: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে সোমবার নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
যেখানে ম্যাচটি সরাসরি দেখবেন
বাংলাদেশ-নেপাল মধ্যকার ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে এলেভেন স্পর্টস ডটকম (Elevensports.com) ও লাইভ সকার টিভি ডটকম (livesoccertv.com) এই ওয়েব ঠিকানায়।
বাংলাদেশি ফুটবল ভক্তরা ইলেভেন স্পোর্টসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে ম্যাচটি উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া, বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলও ফাইনাল ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
শুক্রবার দশরথ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের ৬ষ্ঠ শিরোপায় ফাইনালে উঠে নেপাল।
এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
২০১৬ সালের পর এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে। সেবারের শিরোপার দৌড়ে স্বাগতিক ভারতের কাছে ফাইনালে ১-৪ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
বাসসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, তার দল এখন সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের ৬ষ্ঠ আসরের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়, সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
আবারও ভারতের কাছে হারে স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামলেই যেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা স্নায়ু চাপে ভোগেন। হোক সেটা ফুটবল অথবা ক্রিকেট।
৫ বছর আগে
সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলের ফাইনালে বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- কাঠমান্ডুর এপিএফ স্টেডিয়ামে শুক্রবার সেমিফাইনালে ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
৫ বছর আগে