সাত জাতি সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর বাঘিনীদের রাজসিক বরণ করে নিলো ঢাকা। প্রিয় খেলোয়াড়দের ধুমধামে সংবর্ধনা দিলো ঢাকাবাসী। বুধবার বিকালে নেপাল থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় তারা।
সোমবার সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে (রঙ্গশালা) ফাইনালে বাংলাদেশ চারবারের রানার্সআপ এবং স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে ২০০৬ সালের পর তাদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মতো সাফ মহিলাদের মুকুট জয় করল বাঘিনীরা।
দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাঘিনী দলকে স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এসময় বিমানবন্দরে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানানোর পর কেক কাটা হয়। নারী ফুটবলারদের গৌরবময় কৃতিত্বের জন্য স্বাগত জানাতে হাজার হাজার ফুটবল-পাগল ও ভক্ত ঢাকা বিমানবন্দরে ভিড় করেন।
বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তার।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকাল সাড়ে ৩টায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে সুসজ্জিত ওপেন-ডেক বিআরটিসি বাসে ওঠেন জাতীয় বীরাঙ্গনারা। মতিঝিলে বাফুফে অফিসে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দল
ফাইনালের আগে, বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের সদস্য সানজিদা আক্তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন, তারা জয় উদযাপন করার জন্য একটি খোলা ডেক বাস নাও পেতে পারে। তবুও তারা টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফাইনালে সাবিনা আক্তারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের হয়ে দু’টি গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার এবং অপর গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
ফ্লাইটটি ঢাকায় আসার আগেই হাজার হাজার ভক্ত দলে দলে এসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের
বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়