অপরাধী
অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে পাক হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে, তা কোটা আন্দোলনের ঘটনার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, এই হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে মানুষ হত্যা, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
মন্ত্রী বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিল বিএনপি-জামায়াত রাজাকারের দল। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে শক্তি। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্ডার গ্রাউন্ডে গেলে জামায়াত-শিবির মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপি, শিবির ও ছাত্রদল এত শক্তি কোথা থেকে পেল। এটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। যেখান থেকেই হোক, যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। তিনি দেশি ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র আর নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
মানববন্ধন শেষে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে একটি মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একইরকম হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
৩ মাস আগে
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যেয়ে তিনি বলেন, ‘এই ভয়ংকর অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি জানান, দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।
পরিদর্শনকালে তারা শনিবার ঢাকায় বিএনপি আয়োজিত সমাবেশের নামে হামলায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: আহত পুলিশ ও সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান আ.লীগের প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ‘সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াতের নৃশংস হামলায় আহত সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য, দলীয় নেতা-কর্মীসহ চিকিৎসাধীন সকলকে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে আমরা এখানে এসেছি।’
তারা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও যাবেন বলে সে সময় জানান তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সাংবাদিকরা নিউজ কাভার করতে গিয়েছিল, পুলিশ তার ডিউটিতে ছিল, সাধারণ মানুষ তার কাজে যাচ্ছিল, কিন্তু তারা আক্রমণের শিকার হন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা বিএফইউজে’র
এই নৃশংস হামলা ক্ষেত্রবিশেষে বিএনপির ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দোষীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।
পরে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ডিক্যাবের
১ বছর আগে
অপরাধীরা ভালো পথে আসতে চাইলে সুযোগ দেওয়া হবে: আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে যে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে, এর আলোকে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, যদি কোনো অপরাধী ভালো পথে ফেরত আসতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। এ কারণে আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করতে পেরেছেন।
এছাড়া যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে কেউ কি অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা আমরা তাদের প্রতি দৃষ্টি রেখেছি।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: আইজিপি
বুধবার (৩ মে) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয় প্রাঙ্গনের সাংবাদিকদের এক প্রেসব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় কক্সবাজার পুলিশ সুপার ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন’র তিন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ দেশে নানা অপরাধ বিষয়ে আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সব আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সকলে মিলে দেশে ভাল কাজগুলো করছি।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ যেখানে সংগঠিত হচ্ছে সেখানে পুলিশ পৌছে যাচ্ছে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। যে যত বড় অপরাধী হউক না কেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে অপরাধীদের তালিকা করি। যদি ওই অপরাধের প্রমাণ মেলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এছাড়া কোন ঘটনা যদি সংঘটিত হলে কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাসমান ট্রলার থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আইজিপি বলেন, মহেশখালী ট্রলারের যে ১০ জনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটা যাই হোক না কেন ১০টি প্রাণহানি তো হয়েছে। ঘটনাটি আমি শুনার পর আমি ডিআইজিকে দ্রুত তদন্ত করতে বলেছি। এবং সিআইডি টিম পাঠিয়েছি।
এই ঘটনায় সকল ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আসামি ধরা পরছে। তারা ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি এই তদন্তে ভালো কিছু আসবে।
সম্প্রতি সময়ে টেকনাফ অপহরণের বিষয়ে আইজিপি বলেন, কোন ঘটনা ঘটলে সেটা আমরা কাজ করছি। এই ঘটনায় তদন্তে আমাদের বেশ সফলতাও এসেছে। এই ঘটনা গুলো যারা ঘটাচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এই ঘটনায় যে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো, প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে আমাদের জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি
১ বছর আগে
প্রাণীদের সুরক্ষায় চিড়িয়াখানা বিলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার প্রস্তাব
চিড়িয়াখানার যে কোনও দর্শনার্থী প্রাণীদের বিরক্ত এবং আঘাত করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের বিধান রেখে প্রস্তাবিত চিড়িয়াখানা বিল-২০২৩ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এই বিল উত্থাপন করা হয়।
এই ধরনের দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ক্ষিপ্ত প্রাণীদের জন্য ২০০০ টাকা প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা ও তাদের দুই মাসের কারাদণ্ড এবং পূর্বানুমতি ছাড়া তাদের আহত বা খাবার দেওয়ার জন্য ৫০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম বিলটি উত্থাপন করেন এবং পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়।
কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিলটি পাস হলে দেশের সব সরকারি চিড়িয়াখানা এর অধীনে পরিচালিত হবে। বর্তমানে, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা একটি উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কোনো দর্শনার্থী এন্ট্রি ফি ছাড়া চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করলে তাকে প্রবেশ মূল্যের সমপরিমাণ টাকা নেওয়া হবে।
অবস্থান বিবেচনায় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ২০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা যেতে পারে।
এই আইন পাশ হলে, কোনো দর্শনার্থীর জন্য কোনো চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে কোনোভাবে আঘাত করা বা আহত করা বা কোনো কিউরেটরের নির্দেশ অমান্য করা বা অনুমতি ছাড়া খাবার দেওয়া অপরাধ হবে।
এ জন্য দুই মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অপরাধের বিচার করা যাবে।
বিলটি বয়সজনিত শারীরিক অক্ষমতা বা সংক্রামক রোগের কারণে অন্য প্রাণীর জীবন বাঁচাতে বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে একটি প্রাণীর অসহনীয় দুর্ভোগ রোধ করতে চিড়িয়াখানায় একটি প্রাণীর বেদনাহীন মৃত্যুর অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি আফ্রিকার ২ সিংহ ও ৮ ওয়াইল্ড বিস্ট
বিলে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া একই প্রজাতির একই লিঙ্গের কোনো প্রাণীকে চিড়িয়াখানায় রাখা যাবে না।
ভেটেরিনারি অফিসারের নির্দেশনা ব্যতীত প্রাকৃতিক কারণে দলবদ্ধভাবে রাখা প্রাণী থেকে কোনো প্রাণীকে আলাদা বা একা রাখা যাবে না।
প্রাণীর প্রকৃতি বিবেচনা করে, এটিকে ন্যূনতম প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সুবিধা সহ খাঁচায় আবদ্ধ বা মুক্ত রাখতে হবে।
প্রাণীদের স্বাভাবিক আচরণ, পশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পশুর খাঁচার অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য সরকার এক বা একাধিক চিড়িয়াখানা নির্ধারণ করতে পারে।
বিল অনুসারে, প্রতিটি প্রাণীর নিয়মিত পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো চিড়িয়াখানার প্রাণীদের দেহে প্রাণী থেকে প্রাণীতে বা মানুষের দেহে সংক্রামিত রোগ-জীবাণু বা পরজীবীর মাত্রা বা মাত্রা নির্ধারণের জন্য প্রযোজ্যতা অনুসারে নিয়মের মাধ্যমে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতিটি প্রাণীর জন্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো চিড়িয়াখানায় কোনো বিদেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী কেনা, বিনিময়, উপহার দেওয়া বা অন্য কোনোভাবে সংগ্রহ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু
১ বছর আগে
অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হত্যার রহস্য উদঘাটন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে হত্যা মামলার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তরের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের পুলিশের ফুল-চকোলেট উপহার
সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলা পর্যায়ের পুলিশ সুপাররা (এসপি) ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নেন।
এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে এআইজি (ক্রাইম অ্যানালাইসিস) সুনন্দা রায় চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, ডাকাতি, খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী নির্যাতনের তথ্য এবং শিশু, ধর্ষণ, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি তুলে ধরেন।
বিভিন্ন মামলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে সভায় জানানো হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবরে এ ধরনের অপরাধে মোট নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা কমেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের সার্জেন্ট পদে চাকরি: জনবল নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ
শেরপুরে বিএনপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ আহত ২১, আটক ১৬
১ বছর আগে
অপরাধীদের একটি ডেটাবেস হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, অপরাধীদের একটি ডেটাবেস হয়েছে। সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। এ সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সুযোগ্য নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পুজা শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এর আগে ঈদুল আজহাও আল্লাহর রহমতে সফলভাবে শেষ হয়েছে। অতীতের মতো এবারও তেমন যানজট ছিল না।
তবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে উৎকণ্ঠ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, কারণ সীমান্ত এলাকায় তাদের অপতৎপরতা নিয়ে সরকার সচেতন আছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল লোক আছে। যারা মাদক কারবারে জড়িত। মাদক আনা, পাচার করা বা সরবরাহ করছে তারা। সেগুলোর ওপর আরও বেশি কঠোর নজরদারি রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রাত্রিকালীন টহল আরও বাড়াতে ও মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহনীয় হতে বলা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে মাদক আসা বন্ধে কঠোর হতে হবে। যাতে মাদক দেশের ভিতরে আসতে না-পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়াদের নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, কিছু লোক এরমধ্যে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। ধর্মের নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মতৎপরতা ও উন্মাদনা সৃষ্টিতে জড়িত সংগঠনের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে যাদের ধরা হচ্ছে, তারাও স্বীকার করে নিয়েছে। সেগুলোর উৎস খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে। এরমধ্যে অনেকটা শনাক্ত হয়েছে।
যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ভেজাল ওষুধপত্র কিংবা খাদ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষ করে সাইবার অপরাধীরা বিদেশে বসে অপপ্রচার করছে। মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব অপরাধী দেশের বাইরে থাকে বলে তাদের সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায়, কীভাবে তাদের শনাক্ত করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টা আমরা গভীরভাবে দেখবো।
বিএনপি মাঠে নামছে, সামনের দিনগুলোতে তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা হবে; জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি দিবেই। তারা মিটিং, মিছিল ও জনসভা করবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গুরুত্ব দেয়ারও কিছু নেই। কিন্তু আমাদের সেক্রেটারি বলেছেন, আপনারা মিছিল মিটিংয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে আসেন, তা ভালো কথা। জাতীয় পতাকার যদি নিয়ম মতো কোনো লাঠির মাথায় বেঁধে আনা হয়, তা ঠিক আছে। কিন্তু তা যদি গজারি কিংবা মোটা বাঁশের মাথায় বেঁধে নিয়ে আসেন, তখন তা মানানসই মনে হবে না, মনে হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও র্যাব অভিযান চালাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে; তা নিয়ে আপনাদের কিছু জানানো হয়েছে কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। তারা কারা-কোত্থেকে এসেছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না। আনুমানিক কোনো কথা বলার সুযোগ নেই।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয় না: মোজাম্মেল হক
২ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘থানা হাজত পাঠাগার’
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানায় ‘শাস্তি নয় সংশোধন, বসে বসে জ্ঞানার্জন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘থানা হাজত পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সম্প্রতি পীরগঞ্জ থানায় পাঠাগারটি উদ্বোধন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। পীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আহসান হাবিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিকভাবে পাঠাগারটি শ’খানেক বই নিয়ে যাত্রা করেছে। তিন তাকে কাঠের ফ্রেমে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে বইগুলো রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে শুল্ক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি
এ বিষয়ে এএসপি আহসান হাবিব বলেন, ‘অপরাধী হয়ে আমরা কেউই জন্মাই না। পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে আমরা অনেক সময় ভুল করে বসি। হয়ে যাই মামলার আসামি। আবার কখনও সঠিক পথ প্রদর্শনের অভাবে অনেকে ভুল পথে পা বাড়াই। অপরাধ করার পর এমন অনেকে আছেন, যাদের আফসোসের সীমা থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষণিক ভুল বা ছোট অপরাধে প্রতিদিন কিছু মানুষ থানার হাজতে আটক থাকেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ থাকেন। আটক থাকা অবস্থায় নিজেদের অপরাধী না ভেবে বরং শুধরে নেয়ার নতুন প্রতিজ্ঞা নিয়ে যেতে পারেন, সে লক্ষ্যে পীরগঞ্জ থানায় “থানা হাজত পাঠাগার” করা হয়েছে।’
তিনি জানান, শ’খানেক বই নিয়ে এ পাঠাগারটি শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলা: ৭ আসামি কারাগারে
সিলেটে অপরাধ দমনে গঠিত হচ্ছে নতুন ৩ থানা
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
দেশে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন নাগরিক সমাজ।
দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
'সম্প্রীতি বাংলাদেশ' এর আয়োজনে সোমবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত হন এবং দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সাত দফা দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
এ সময় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে সুশীল সমাজের কর্মীরা দেশ থেকে ‘মৌলবাদের নির্মূলে’ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানান।
‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
৩ বছর আগে
কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ধরনের সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার জন্য খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লার ঘটনাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পুর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। এই সময়টি প্রযুক্তির যুগ, যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করব।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে, তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন।
তিনি বলেন, দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে। আমরা অতীতেও তাই করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমরা এমন শাস্তি চাই যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন করতে না পারে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত তদন্তের দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতৃত্বদানকারী মুহিবুল্লাহ (৪৬),গতকাল রাতে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে তার কার্যালয়ে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন,শীর্ষস্থানীয় রোহিঙ্গা কর্মীর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের সমগ্র সম্প্রদায়ের মাঝে নাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের গভীর শোক
হাম্মাদি বলেন,আমরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে শরণার্থী,নাগরিক সমাজকর্মী,রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের মানবাধিকার কর্মীসহ শিবিরগুলোতে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করুন,যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে সহিংসতা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
তিনি বলেন,মাদকের কার্টেল পরিচালনাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মানুষকে হত্যা করেছে এবং জিম্মি করেছে। আরও রক্তপাত রোধে কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুহিবুল্লাহ ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
হাম্মাদি বলেন, মহিব উল্লাহ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একজন প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন, যিনি ক্যাম্পে সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকার ও শরণার্থীদের সুরক্ষার পক্ষে কথা বলেছিলেন।
তিনি মিয়ানমারের সামরিক শাসকের হাতে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্যও প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
৩ বছর আগে