তিনি বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশকে ধবংস করে দিয়েছে। এখন নতুন করে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শনিবার কুষ্টিয়াতে আমাদের বিএনপির অফিস ভাংচুরের করে সন্ধ্যার পরে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’
এক আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, ‘এটা সরকারের গভীর চক্রান্তের নীল নকশার অংশ। বাংলাদেশে তারা আবার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, আবারও উদোর-পিন্ডি বুদোড় ঘাড়ে চাপিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদেরকে পিছনে ফেলে দিতে চায়, নির্যাতন করতে চায়।’
নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে গণতন্ত্র দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মুখে এইদিনে সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ পদত্যাগ করেন বলে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি।
এদিকে, গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীকারীরা। তারা ভাস্কর্যটির মুখ এবং হাত ভেঙে দেয়।
এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, এখন এই সময়ে যত অপকর্ম এটা আপনারা (আওয়ামী লীগ) ছাড়া কে করতে পারে। আপনারাই করতে পারেন। ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য আপনারা এটি তৈরি করছেন।’
বিএনপির নেতা-কমীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের এগুতে হবে। আপনাদের কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না আবার হঠকারীও হওয়া যাবে না। ধর্য্য ধরে এগুতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মুহুর্তের মধ্যে গণতন্ত্র হয়ে যাবে না। এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। নব্বই সালে যে বিজয় এসেছিলো সেই বিজয় আসতে দীর্ঘকাল সময় লেগেছে। এই পথ খুব বন্ধুর পথ, এই পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।’