মিডিয়া
ফ্যাক্ট চেকিং নিয়ে মিডিয়া প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (ডব্লিউজেএনবি) উদ্যোগে গত ২০-২১ জুলাই সাভারের সিসিডিবি হোপ ফাউন্ডেশনে ‘চেক ফ্যাক্ট: স্প্রেড ট্রুথ, মিনিমাইজ হার্ম’ শীর্ষক দু’দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম ফুলব্রাইট কার্যক্রম হামফ্রে ফেলোশিপ কর্মসূচি’র অ্যালামনাই ইম্প্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে ২৫ জন সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. মফিজুর রহমান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা ব্র্যাকের মিডিয়া রিলেশন্স বিভাগে লিড গোলাম কিবরিয়া, এএফপি’র ফ্যাক্ট চেক সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী মাজেদ, ডব্লিউজেএনবি’র সমন্বয়কারী ও দৈনিক কালবেলা’র বিশেষ প্রতিবেদক আঙ্গুর নাহার মন্টি।
প্রশিক্ষণে মিডিয়া লিটারেসি ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে বৈশ্বিক ও বাংলাদেশ পরিস্থিতি, গুজব প্রতিরোধে তথ্য যাচাই, অনলাইনে দ্রুত তথ্য, ছবি ও ভিডিও ফুটেজ যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ও টুলস, সাংবাদিক ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের দায়িত্বশীলতা এবং সাইবার নিরাপত্তা ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: স্কাউটদের আইসিটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
শুক্রবার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার।
ব্রায়ান বলেন, ‘ভুল তথ্য বিস্তার প্রতিরোধে আমাদের অবশ্যই সত্য যাচাইয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। কল্পকাহিনী থেকে সত্যকে আলাদা করতে এবং নাগরিকদের সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে ফ্যাক্ট চেকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। তথ্যের গেটকিপার হিসেবে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ বা শেয়ার করার আগে অবশ্যই উৎসের যথার্থতা যাচাই করার দায়িত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে, সাংবাদিকরা শুধু পেশাদারিত্বই রক্ষা করে না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেও সুসংহত করে।’
অনুষ্ঠানে ব্রায়ান শিলার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।
আরও পড়ুন: দক্ষতা উন্নয়ন, বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর: এইচএসসির ফল প্রকাশকালে শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী
‘রাইডার গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের’ আওতায় ডেলিভারিম্যানদের প্রশিক্ষণ দিল দারাজ কেয়ারস
১ বছর আগে
মিডিয়া: মরিয়ম মান্নান, শাকিব খান, বুবলী...
অনেকেই ক্লিক বাজ খবর পড়ে না যেমন আমি ও আরো কয়েকজন। তবে আমরা বয়স্ক মানুষ তাই চটুল খবরের অজুহাতে এদের এড়িয়ে যাই। কিন্তু প্রায় সবাই পড়ে এবং এটাই স্বাভাবিক কারণ মিডিয়ায় যা আসে তার ভোক্তা আছে বলেই আসে। যে মিডিয়া আউটলেট এদের অস্বীকার করে যাবে, তাকে মূলধারা মিডিয়ায় কি বলা যাবে? তবে এটা ঠিক কিছু মিডিয়ায় থাকবে যাদের পদচারণা বাজারের বাইরে হবে। এদের অর্থায়ন সমস্যা নাই তাই সেটা করতে পারে কিন্তু তারা কি সবল ও প্রভাবশালী? বাকিদের জন্য ওই কয়েকটা নাম কি বাস্তবতার প্রকৃত চেহারার প্রতিচ্ছবি?
২
রাহিমা খাতুন ও মরিয়মের সংবাদটা অন্তর্ধান, অপহরণ, লুকিয়ে যাওয়া কেন্দ্রিক। সেই অর্থে কেলেঙ্কারি বিষয়ক নয়। তবে এক দিক থেকে বিষয়টা তাই। তাদের বিরুদ্ধে চার্জ হচ্ছে তারা মিথ্যাচার করেছে, সাজানো নাটক করে সবাইকে বোকা বানাতে চেয়েছে। এর ফলে কিছু নিরপরাধ মানুষ জেলে গেছে। কিন্তু কে করেছে, কিভাবে করেছে এবং কেন করেছে এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। পুলিশ বলেছে রহিমাকে অপহরণ করা হয়নি। মরিয়ম বলছে সে নিশ্চিত না। তাকে মেয়ে নিয়ে গেছে মানসিক হাসপাতালে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। কিন্তু মিডিয়া জগতে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নেতিবাচক চরিত্রে, হয়তো আরো বেশি কিছু।
৩
শাকিব খান, বুবলী, অপু বিশ্বাস, পূজা চেরি, সবাই সিনেমা জগতের নাম এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে জড়িত। শাকিবের প্রথম গোপন সম্পর্কে-অপু বিশ্বাস থেকে এক সন্তানের জন্ম, দ্বিতীয় গোপন সম্পর্ক-বুবলী-থেকে আর এক সন্তান আর মিডিয়ার অভ্যাস তার থার্ড গোপন সম্পর্ক চলছে পূজা চেরির সাথে, সন্তানও নাকি হতে পারে আবার। বিষয়টা বিষয় নয় কারণ তাবৎ দুনিয়ার এন্টারটেইনমেন্ট জগতে এসব হয়, খবর হয় , পাঠক দর্শক, দেখে পড়ে। কিন্তু এদেরকে বিষয় হিসেবে অস্বীকার করা স্রেফ অদ্ভুত অন্ধ হওয়ার সাধ জাগার মতো মিডিয়ার জন্য। কে কিভাবে এই সব কভার করছে সেটাই বিষয়, কভার করছে কি করছে না, সেটা নয়।
পড়ুন: শেহজাদ খান বীর আমার এবং বুবলীর সন্তান: শাকিব খান
২ বছর আগে
বারিধারায় ৬ তলা ভবনে আগুন
রাজধানীর বারিধারার জে ব্লকে একটি ছয়তলা ভবনে আগুন লেগেছে। রবিবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টা ২৪ মিনিটে ভবনটির চতুর্থ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভাটারায় আগুনে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়েছে ২৯ ঘর
চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন
২ বছর আগে
ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনায় সফলভাবে শেষ হলো ‘লাইকি পার্টনারস মিটআপ ২০২১’
মিডিয়া ও কমিউনিকেশন, মিউজিক লেবেল, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সহ বিভিন্ন শিল্পের সম্ভাব্য অংশীদারদের সম্মিলনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা উন্মোচনে ‘পার্টনারস মিটআপ ২০২১’ আয়োজন করেছে জনপ্রিয় স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ারের অ্যাপ লাইকি।
সম্প্রতি হোটেল বেঙ্গল ক্যানারিতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মাসুদ রানা সহ লাইকি বাংলাদেশের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পোস্ট, সিএমভি মিউজিক, সিএমভি ড্রামা, ঈগল মিউজিক, ঈগল প্রিমিয়ার, ভিজ্যুয়ালসিনবিডি, ফাহিম মিউজিক, বঙ্গ বিডি, সিনেমাওয়ালা, সিডি চয়েস, সাউন্ডটেক বিডি, জাগোনিউজ২৪.কম, লে পয়েন্ট অরিজিনাল, টেন মিনিট স্কুল, এনটিভি, আরটিভি, চ্যানেল আই ও বাংলা টিভি চ্যানেলের মতো বিভিন্ন ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রতিনিধিরা।
এ ব্যাপারে লাইকি বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মাসুদ রানা বলেন, ‘স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি এবং শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি এবং তাদের সবার কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী মাধ্যম হয়ে উঠেছে লাইকি। ইতোমধ্যে, লাইকি’র সাথে অনেকেই অংশীদারিত্ব করেছে এবং এরা সকলেই ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সেসব সম্ভাবনাকে ঘিরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।’
সুপারলাইক ও সুপারফলো সহ লাইকি’র কিছু সাম্প্রতিক ফিচার আপডেট এই অনুষ্ঠানে উন্মোচিত হয়। ক্রিয়েটর ও ব্যবসায়িক পার্টনাররা যাতে তাদের অডিয়েন্সের সাথে আরও ভালোভাবে যুক্ত হতে পারেন, সেজন্য নতুন দুটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে অংশীদারিত্বে লাইকি যেসব কাজ করেছে সেগুলোর ইনসাইট ও ফলাফল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সাথে শেয়ার করা হয়।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে লাইকি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। এর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন শিল্পের ব্যবসায়িক অংশীদাররা ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। আর লাইভ স্ট্রিমিং, সৃজনশীল হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ এবং কেওএল প্রমোশনের জন্য বিভিন্ন প্রকার অংশীদারিত্বে আগ্রহী লাইকি।
এর আগে, লাইকি সিএমভি ও প্র্যাংক কিং এর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘নলেজ মান্থ’ এর মতো উদ্ভাবনী ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছে। সিএমভি’র সাথে অংশীদারিত্বে নতুন নাটকের প্রচারণার জন্য লাইকি হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ #এক্সচেঞ্জ (https://likee.video/hashtag/xchange) চালু করে। একটি ওয়েব সিরিজের প্রচারণার জন্য লাইকি প্র্যাংক কিং (https://likee.video/hashtag/Dhakatokhulna) এর সাথে অংশীদারিত্ব করে। এই প্রচারণার মাধ্যমে ওয়েব সিরিজটি সেই সময় ইউটিউবে বাংলাদেশে ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় স্থান দখল করেছিল।
নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে লাইকি’র সাথে অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ‘সাইবার সেফটি’ ক্যাম্পেইন চালু করল লাইকি
ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
সিনেমাপ্রেমীদের জন্য লাইকি’র ‘ক্রেজি মুভি এডিটরস’ ক্যাম্পেইন
২ বছর আগে
নেশা করা মধ্যবিত্তের ইতিহাস কোন দিকে?
আমাদের সমাজের যে মধ্য পরিসর সেটা ক্রমে ছোট হয়ে আসছে। স্বাধীনতার প্রথম ১০ বছর ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার কাল। কী ধরণের রাষ্ট্র হবে সেটা নিয়ে চলে যুদ্ধ। তবে রাজনীতি ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে যা কিনা একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা। ক্রমেই অর্থনীতি ভিত্তিক রাষ্ট্র- সমাজ গড়ে ওঠে। এই ধারা এখনও চলছে বা প্রতিষ্ঠিত।
আমাদের দেশ বা সমাজ কম বেশি বিত্তবানদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তারাই রাজনীতি, সমাজনীতি করে এবং সংস্কৃতি চর্চার তারাই পৃষ্টপোষক। তারাই ঠিক করে কি হবে, কি চলবে, কি ঘটবে। আর তাদের আজ্ঞাবহ হিসেবে যারা কাজ করে, তারাই এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি। তারা ক্রমেই পরিণত হয়েছে একটি পরনির্ভর শ্রেণিতে। তাদের মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার আগ্রহ কম।
আমাদের ইতিহাসে সমাজ চলে আঁতাতের মাধ্যমে। বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে চলে এই আঁতাত। তাই বড়লোকের সাথে মধ্যবিত্তের এই সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজ আমলে যেমন ছিল, আজও তেমন আছে। যদিও ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত মিডল ক্লাসের দাপট লক্ষ্য করা যায়। সেটা ছিল মধ্যবিত্তের বড়লোক হবার আকাঙ্ক্ষার দাপট। মুক্তিযুদ্ধে তাদের চেয়ে গ্রামের মানুষ, যারা মধ্যবিত্ত নয় তারা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর কিছু মধ্যবিত্ত ওপরে উঠে গেলো। আর ভালো থাকার জন্য বাকি মধ্যবিত্তরা তাদের ওপর নির্ভরশীল হলো। যে মধ্যের অর্থনৈতিক ভিত্তি নাই, তারা বাড়ে কিন্তু সবল হয় না। সেই কারণেই জিজ্ঞাসা করা দরকার এই শ্রেণি কি ইতিহাস ভিত্তিক না পুরাটাই সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল?
গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক ভিত্তি আছে - রেমিট্যান্স ও কৃষি- তাকে কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। কিন্তু মধ্যবিত্ত নাগরিকদের কেউ পাত্তা দেয় না। বড়লোকরা গ্রামের মানুষ নিয়ে চিন্তা করে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মধ্যবিত্ত নাগরিককে পাত্তা দেয় না। এমনকি তাদের আন্দোলনকেও না। কিছু দিন যায়, তারপর শেষ হয়, এটাই বাস্তবতা। তালিকার সন্ধানে মশগুল এই মিডল ক্লাস ক্ষমতাহীন।
মধ্যবিত্ত নাগরিক তার জীবনের মূল্য বিচার করে জীবন যাপনের মাধ্যমে। তার এটা চাই, ওটা চাই, পশ্চিমা বা ভারতীয় রোল মডেলের মতো জীবন চাই। তাদের জীবন নেশা, দেহ আর অস্তিরতা দিয়ে গড়া। সাথে আছে সোশ্যাল মিডিয়া, বেঁচে থাকার আইডি কার্ড। কিছু করার চেয়ে কমেন্ট করতে, লাইক দিতে বেশি দেখা যায়।
যারা মিডিয়ায় আছে তাদের আমরা চিনি বলে ঘটনাগুলো সামনে আসে। কিন্তু এই মিডল অংশের বেশিরভাগই ভোগের বাইরে আর কোনো কিছুর সন্ধান করে না। তাই তাদের কেউ পাত্তা দেয় না। আর তাদের ভেতর যারা উন্নত কিসিমের, তারা চেষ্টা করে বিদেশ যেতে, সেখানে গিয়ে প্রায় বিলীন হয় অভিবাসী শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়ে। তারা নিজের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়।
অতএব মদ খাওয়া আর ‘অনৈতিক’ জীবন নিয়ে এতো যে দুঃখ আর কথা সেটা তারাই করে যাদের ওর ভেতরেই বসবাস। এতো মামুলি কিছু নিয়ে ভাবার মানেই হয় না। এই দেশে যেখানে কম করে হলেও এক কোটি মানুষ মাদকে নেশাগ্রস্ত। আর সাথে মদ্যপায়ীদের যোগ করলে এই সংখ্যা কয় কোটি হবে?
তাহলে ইতিহাস এখন কার কাছে? কারণ ইতিহাস তো চলমান, থেমে নেই। কারা গড়ছে ইতিহাস?
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
৩ বছর আগে
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
বাংলাদেশে করোনা ও ডেঙ্গুর খবর নিয়ে ভারাক্রান্ত মিডিয়া কৃতজ্ঞতার স্মারক হিসেবে পরীমণিকে একটা অ্যাওয়ার্ড দিতে চায়, এরকম শোনা যাচ্ছে! এটি হয়তো গুজব। তবে এটি ঠিক যে তিনি না থাকলে মিডিয়া কী নিয়ে রিপোর্ট করতো? ধন্যবাদ পরীমণি আপা! কতগুলো লোকের চাকরি টিকলো। না হলে করোনার সংখ্যা রিপোর্ট করে আর কতদিন পাবলিক ভুলানো যায়!
সংখ্যা রিপোর্টিং কি?
করোনার অনেকগুলো উপসর্গের একটি এটি। প্রতিদিন কতজন শনাক্ত হলো, কতজন মারা গেলো এবং এটি সপ্তাহ, মাস , তিন মাস বা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিনা। ব্যাস! রিপোর্টিং হয়ে গেলো, আর কিছু লাগে না।
আর যদি আরেকটু উন্নত রিপোর্ট করতে হয় তাহলে দুই এক্সপার্টকে ফোন দেয়া হবে। তারা একটা মতামত দেবেন এবং ওই সংখ্যা রিপোর্ট তখন হালাল রিপোর্ট হয়ে যাবে। ঘর থেকে নড়তেও হবে না।
শুধু বাংলাদেশের মিডিয়ার দোষ কী? গোটা সেক্টরেই চলছে এই সংকট। সাংবাদিকের চেয়ে পত্রিকার সংখ্যা বেশি হলে এটা হতে বাধ্য। যেন পত্রিকা বের করাটাই প্রধান কথা, কী লেখা বা বলা হচ্ছে, সেটা নয়।
লোকদের ইজ্জত রক্ষা অভিযান?
পরীমণিদের সম্পর্কে যে রিপোর্টগুলো হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে ঢাকার বিত্তবান শ্রেণির সন্তানরা অনেকেই এই নারীকুলের বন্ধু-বান্ধব ছিল। তাদের বাসাতেই তারা আসতো, মদ-ইয়াবা সেবন করতো এবং তার ফলে ‘দুর্বল’মুহূর্তে কী সব হতো! যে দৃশ্য ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করা হতো। তাই ধারণা করা যায় যে এটা বড়লোকদের ইজ্জত রক্ষা অভিযান। তবে এটা হতেই পারে। বাংলাদেশের ফিউচার এই সব তরুণদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তিত তো হবেনই!
তবে একটি রিপোর্ট এসেছে যাতে বলা হচ্ছে কোন এক ব্যাংকের প্রধান ওই সব পার্টিতে গিয়ে ‘দুর্বল’ হয়ে যান এবং যথারীতি ছবিসহ দাবিনামা পান। তিনি অভিযোগ দেন এবং তারপরই সিদ্ধান্ত হয় অভিযান চালানোর। তারপরের ঘটনাপ্রবাহ আমরা সবাই জানি।
তাহলে সাংবাদিকের প্রয়োজন কী?
পরীমণির ওপর যত রিপোর্ট হয়েছে, সেটা মিডিয়ার কাটতি বাড়িয়েছে। হিট বাড়ছে মানে ভালো নিউজ পোর্টাল। সেটা না হয় হলো, কিন্তু ‘পরীমণিরা কত খারাপ’ সেটা প্রমাণ করাই যদি রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য হয়, তাহলে বলব পাবলিক খায় নাই। বরং পাবলিক জানতে চায় যারা মনোরঞ্জিত হতে এই মেয়েদের কাছে যেতেন তারা কারা?
একটি পত্রিকায় ৮টি রিপোর্ট পাওয়া গেলো। মানুষ গিলছে কারণ তার মধ্যে আছে ‘যৌনতার সুড়সুড়ি’, নিষিদ্ধ জীবনের সংবাদ এবং নেশার মাল-মশলা। এতে কি খুব একটা খাটতে হচ্ছে? পুলিশ বা অন্য যারা, তারাই তো সব তথ্য দিচ্ছে, তাদের ভাষ্যই তো কোন রকম ক্রসচেক ছাড়াই গণমাধ্যমে দেদারছে প্রকাশ হচ্ছে। তাহলে সাংবাদিকের প্রয়োজন কী?
আমাকে আজ একজন ফোন করে জানতে চাইলো, ‘পরীমণি নিয়ে যা হচ্ছে সেটা সম্পর্কে আপনার কী মত?’ উত্তরটাই এখানে লিখলাম। তাই বলছি পরীমণিকে একটা মেডেল দেয়া উচিত, আমাদের সাংবাদিকদের কাজটা আরও অনেক সহজ করে দেয়ার জন্য। মাঠে যাবার কী দরকার, যখন সব খবর বাসায় আসে!
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
কিছু দিন আগেও হেলেনা জাহাঙ্গীর নামটা কেউ কেউ জানতেন, আজ সবাই জানেন। তার বাসায় র্যাব তল্লাশি করেছে, কী সব পেয়েছে - মদ, হরিণের চামড়া, জুয়ার সামগ্রী ইত্যাদি। এরপর তার পরিচালিত জয়যাত্রা টিভি অফিসে অভিযান চালানো হয়, বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় বলছে র্যাব। এটির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে তারা জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল’ করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রিমান্ডে আছেন, মামলা হয়ে গেছে, আগামী কয়েক মাস তার জেলে থাকার আশঙ্কাই বেশি। অথচ ক’দিন আগেও আওয়ামী লীগ নেত্রী/কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এখন তিনি একজন গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধী।
পাবলিক কী ভাবছে?
পাবলিক কিছু ভাবছে না, তারা মজা পাচ্ছে কারণ তাদের ভাবাভাবিতে কিছু এসে যায় না। তিনি সরকারি দলের লোক, এটাই সবাই জানে, তাই তার পরিণতিতে অনেকেই আশ্চর্য। তাদের ধারণা, তিনি এমন কোনো বড় নেতা বা বড়লোক নন যে তার গ্রেপ্তার বা বাড়িতে অভিযান জাতীয় নিউজ হতে হবে। তাই সবার ধারণা, তিনি হয়তো বড় কাউকে খেপিয়েছেন, যার মাশুল দিতে হচ্ছে। সবার হয়তো মনে আছে তিনি তারকা পরিমনির বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলেছিলেন সেই ঘটনার সময়। তখন তিনি বোট ক্লাবের মেম্বার ছিলেন। ওপর তলার বাসিন্দা। আজ তিনি জেলে, প্রায় মুরুব্বীহীন।
আঙ্গুলটা তাই তার জয়যাত্রা টিভির দিকে। র্যাব ইঙ্গিত করেছে যে ওই টিভি ব্ল্যাকমেইলিং করতো এবং এখানেই আসল বিপদ। এর আগেও জনৈক হোটেলবাসিনী ব্ল্যাকমেইলিং ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন, সহজে বের হবেন বলে মনে হচ্ছে না। তার সহযোগীরাও যথেষ্ট ‘রাষ্ট্রীয় খাতির’ উপভোগ করেছেন। অতএব বোঝা দরকার, খুচরা পয়সা বাজে বেশি, কিন্তু শেষ কথা বলে হাজার টাকার নোট।
সেটা কি তার চাকরি বাকরি লীগ?
মনে হচ্ছে কথায় কথায় এই লীগ ওই লীগ করা কিছুটা কমবে এবার। তবে যে কারণে এগুলা হয় তার কারণ হচ্ছে লীগ ব্যবহার করে সুবিধা গ্রহণ, চাঁদাবাজি বা অন্য কিছু করা সহজ। সরকারি দলের ভাবমূর্তি এতে ক্ষুণ্ণ হয়। আর বিরোধী দল তো মাঠেই নেই , কেউ তাদের সিরিয়াসলিও নেয় না। সেফুদার সঙ্গে হেলেনার যোগাযোগটাও একটু হাস্যকর, কারণ তিনি একজন হাসির পাত্র, কেউ সিরিয়াসলি নেয় না।
তাহলে যে শিক্ষাটা পাওয়া গেলো তা হচ্ছে সুবিধার জন্য কে কী করতে পারবেন তার একটা সীমারেখা আছে, সেটা দল করেন আর নাই করেন। যারা এই লাইনের তারা জেনে নিন। কী ও কেন করবেন সেটা আপনাদের বিষয়। আমরা শাহেদ, সম্রাট, সাবরিনা ও অন্য নাম দেখে এটা বুঝি।
মিডিয়ার কালো ব্যবসা যারা করেন তারা সাবধান। আপনারা আজ সুখে আছেন কিন্তু কার গায়ে যে কখন হাত পড়ে এটা বুঝে করেন। ক্ষমতাধররা যখন ক্ষেপে যায় তখন কী হয় তার প্রমাণ দেখেন। উপরে উঠতে চাওয়া ভালো কিন্তু রাস্তা চেনা থাকা দরকার।
ঢাকার যত ক্লাব আছে - যার অনেকগুলোর মেম্বার হেলেনা। এতে এটা প্রমাণ হয় যে সব কিছু হচ্ছে যোগাযোগের তেজারতি। যতদিন এটা থাকবে, ততদিন এদের দেখতে হবে। কেউ ভালো চলছে, কেউ হোঁচট খাচ্ছে। পায়ের নিচে এই ওপরতলার কোনো মাটি নাই।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর তিন দিনের রিমান্ডে
আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
৩ বছর আগে
হংকংয়ের মিডিয়া শিল্পপতি জিমি লাই গ্রেপ্তার
বিদেশি শক্তির সাথে যোগসাজশ থাকার সন্দেহে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে সোমবার সকালে মিডিয়া শিল্পপতি জিমি লাইকে গ্রেপ্তার করেছে হংকং পুলিশ।
৪ বছর আগে