মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করতে এবং নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আপনি বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস রবিবার চিঠিটি প্রকাশ করেছে, যা মূলত গত ২১ মার্চ পাঠানো হয়েছিল।
চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়েছে এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া এই বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাইডেন তাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাইডেন চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশিরা মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে বোঝে, কারণ তারা ১৯৭১ সালে তাদের নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব চান রাজা চার্লস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি মনে করিয়ে দিতে চান যে দুই জাতির জন্যই ‘গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ ‘গভীর মূল্য’ রাখে।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ আয়োজনের জন্য যা বৈশ্বিক মহামারি শেষ করার রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করেছে।
বাইডেন বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছে। যেমন-অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা করা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদার করা এবং একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত: শি জিনপিং