দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
তবে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
অভিযোগ গঠনের পর গত ১৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ২৬ জুন হাইকোর্ট মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনও খারিজ করেন হাইকোর্ট।
তারা দু’জনই পলাতক থাকায় আদালত রিট আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
ওই বছরেই জুবাইদার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুলটি খারিজ করে তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের