প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমু হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী ২৬ বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের হাতে নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন আরও ১১ বাংলাদেশি। ওই ঘটনা এরই মধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশির সন্দেহভাজন খুনি ড্রোন হামলায় নিহত
লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা: দেশের ২০ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার
লিবিয়ায় মানবপাচার মামলা: এক নারী আসামির হাইকোর্টে জামিন
এই ঘটনায় ২ জুন রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং হত্যার অভিযোগে মামলাটি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ফ্লাইওভার ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস লিমিটেডের মালিক দুই ভাই শেখ মো. মাহবুবুর রহমান ও শেখ সাহিদুর রহমান। পরে শেখ মাহবুব ও শেখ সাহিদুর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাদের আবেদনে রুল জারি করে। সেই রুলের শুনানি নিয়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট।
এদিকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আটক হন কাউসার মুন্সী ও মাহবুব মুন্সী। কাউসার মুন্সী ও মাহবুব মুন্সীকে জামিন দিয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তাদের জামিনাদেশ স্থগিত করে। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনগুলো প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে আসে।
রবিবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগ শেখ মাহবুব ও শেখ সাহিদুরকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেছে। আর কাউসার মুন্সী ও মাহবুব মুন্সীর জামিনাদেশ স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ৯ অভিবাসীসহ দেশে ফিরলেন ১৬৪ বাংলাদেশি