বেপজা
সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তাদের আওতাধীন আটটি শিল্প অঞ্চল (ইপিজেড) ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড উচ্চ কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় এবং বিনিয়োগ দেখেছে। বুধবার এই তথ্য জানায় বেপজা।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইপিজেড থেকে রপ্তানি ২০২২ অর্থবছরে আট হাজার ৬৬৫ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ বছরে রপ্তানি ৩০ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
এর আগে ২০১৯ অর্থবছরে এটির কাছাকাছি পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৫২৪ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার।
ইপিজেডের মোট রপ্তানির ৫৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছিল পোশাকের চালান। বাকিটুকু ছিল গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, টেক্সটাইল, তাঁবু, ক্যাপ, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
এছাড়াও, বেপজা ২০২২ অর্থবছরে ৪০৯ দশমিক ৮০ মিলিয়ন বিনিয়োগ রেকর্ড করেছে। যা আগের সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বছরে বিনিয়োগ ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার মতে, আগের ২০১৫ অর্থবছরে রেকর্ড ছিল ৪০৬ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিনিয়োগ কারখানায় ৬৪ হাজার ১৬০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যা সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন(তাইওয়ান এবং হংকং), জাপান, ভারত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশসহ ৩৭টি দেশের বিনিয়োগকারীরা ইপিজেডে ছয় হাজার ৪০ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত, আটটি ইপিজেডের ৪৫৬টি অপারেশনাল এন্টারপ্রাইজ থেকে মোট রপ্তানি ৯৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ দুই হাজার ৩৬৫ জনের।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন
২ বছর আগে
মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের জন্য চারটি কোম্পানি ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
শনিবার রাজধানীতে কোম্পানিগুলোর সাথে জমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর করে বেপজা। এর মধ্যে তিনটি বিদেশি এবং একটি দেশীয় কোম্পানি।
কোম্পানিগুলো গার্মেন্টস, গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ, ক্যাম্পিং আইটেম, জুতার অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং টুলস তৈরি করবে। এর মাধ্যমে ২৩ হাজার ৪৫৩ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
চারটি কোম্পানি হলো-শ্রীলঙ্কান কোম্পানি ইউনিভোগ গার্মেন্টস, মার্কিন কোম্পানি ক্যাম্পেক্স (বিডি) লিমিটেড, চীনা কোম্পানি ফেংকুন কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশি কোম্পানি টেক্সট্রিম লেবেলস (বিডি) লিমিটেড।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে হচ্ছে দেশের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির কারখানা
সম্ভাবনাময় আগামীর মিরসরাই: উন্নয়নের মোহনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর
২ বছর আগে
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন রবিবার শুরু
বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) গন্তব্য হিসেবে উন্নীত করা এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ তুলে ধরার লক্ষ্যে দুই্ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন, ২০২১ রবিবার থেকে শহরের একটি হোটেলে শুরু হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই সম্মেলনের স্লোগান দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ ডিসকভার লিমিটলেস অপরচুনিটিস’।
সিরাজুল ইসলাম জানান, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৃজনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করার সময় মন্ত্রী,দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি ও এই খাতের বিশেষজ্ঞরা সরাসরি যোগ দিবেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ),ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এবং ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করবে বিডা।
এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নিবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদরাও সম্মেলনে অংশ নিবেন বলে জানান বিডা চেয়ারম্যান।
বিডা প্রধান বলেন, নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ১১টি সম্ভাব্য খাতের সম্ভাবনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।এছাড়া দ্বিতীয় দিনে একটি প্রযুক্তিগত অধিবেশন হবে।
আরও পড়ুন: ফরাসি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ টাকার প্রবাহ আবশ্যক
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সচল রাখতে ঋণ নয় মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছে দিতে হবে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে অভিমত দেন আলোচকরা।
কানাডার টিভি মেট্রো মেইল (টিএমএম) আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ অভিমত দেন আলোচকরা।
আলোচকরা আরও বলেন, বৈশ্বিকভাবে করোনা মহামারি দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তিগুলোকে প্রভাবিত করছে। এ জন্যে আনুষ্ঠানিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতকে গুরুত্ব দিয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
টিভি মেট্রো মেইল কানাডার নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হকের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন, এপেক্স ফুটওয়্যার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী নাসিম মনজুর, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি'র (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম এবং জি টিভির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা।
'করোনাকালে বাংলাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্য কেমন চলছে' শীর্ষক এক আলোচনায় বর্তমান মহামারির ফলে বিরাজমান সংকট ও আসন্ন সংকটের বিভিন্ন আঙ্গিক ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বক্তারা কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
টিএমএম এর চিটচ্যাট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারি বর্তমানে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কিনা বা দাঁড়ালেও নিকট ভবিষ্যতে এ অর্থনীতির চেহারা কেমন হবে, ভারত ও চীনের সাথে ঋণচুক্তি এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থিনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো নেই বলে মনে করেন এবং বলেন, "উৎপাদনশীল কাজের কারণে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু তা কীভাবে হচ্ছে? তা কি অন্তর্ভুক্তিমূলক? প্রবৃদ্ধির গুণগত মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। নিম্ন আয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই সময়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, নতুন দরিদ্র জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ পড়ছে।"
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
করোনার প্রভাব বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছরে মহামারির প্রথম পর্যায়ে আমাদের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত চাঙ্গা হয়ে উঠছিল, ঘুরে দাড়াচ্ছিল যখন অনেক বড় অর্থনীতিতে ও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে নাসিম মনজুর বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান, আয়, দারিদ্র্য, অসাম্যের বিষয়টিকে এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে হবে। সংখ্যাগত প্রবৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য না রেখে অন্তর্ভুক্তির দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে হবে। প্রবৃদ্ধি ছাড়াও অন্যান্য সূচক, যা দেশের মানুষের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরে, সেগুলো বিবেচনায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, "কর কতটা আদায় করতে পারল এমন অসুস্থ মানসিকতা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বেরিয়ে আসতে হবে, তাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। কর্মসংস্থান তৈরি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতেও তাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।"
তিনি আরও মনে করেন যে শিল্পের বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং রপ্তানি খাতের পণ্যে বর্তমানের বৈষম্যমূলক কর ব্যবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।
মহামারিকালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "মহামারিকালেও বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, নতুন বিনিয়োগে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি আমরা। এমন বিনিয়োগ আমাদের অর্থনীতিকে করোনা পরবর্তীকালে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।"
বিশ্ব বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ যখন হ্ৰাস পেয়েছে ৪২% তখন বাংলাদেশে হ্রাস পেয়েছে মাত্র ১৯.৫%, এই বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো পর্যায়ে আছে।
সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বাংলাদেশ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষি খাত, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স, ও ব্যক্তি খাতের রেসিলিয়েন্স বা সহনশীলতার প্রশংসা করে বলেন, "কর কাঠামো যদি অতিমাত্রায় নিবর্তনমূলক হয় এবং ব্যবসায়ীদের গলায় চাপ দিয়ে যদি কর আদায়ের টার্গেট পূরণ করতে হয় তাহলে একসময় বড় ব্যবসায়ীরাও মুখ থুবড়ে পড়বে।"
চলতি আয় যখন কমাতে পারছে না সরকার তখন সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, "আয়ের সাথে সঙ্গতি না রেখে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।"
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টির সাথে সাথে সামাজিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকেও সমান্তরালভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, "আমাদের সক্ষমতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। অতিমারীর সময় সাধারণত বাজেটে ভর্তুকির পরামর্শ দেয়া হয়, কিন্তু আমরা দেখছি বরাদ্দকৃত বাজেটই আমরা খরচ করতে পারছি না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের হাতে নগত অর্থ প্রয়োজন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ প্রয়োজন।"
করোনা পরবর্তীকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ প্রণোদনার পাশাপাশি অন্য বিকল্পগুলোও ভাবা প্রয়োজন বলে বক্তারা মনে করেন।
৩ বছর আগে
শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হলে কঠোর ব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী
দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করা হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা অবশ্যই বাংলাদেশ ও মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাচ্ছে না। সরকার কোন ক্ষুদ্রগোষ্ঠীরও বক্তব্য দিতে বাধা দেবে না কিন্তু জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করা হলে, আইন অমান্য করে ভাঙচুর ও আক্রমণ চালানো হলে সরকার সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
রবিবার রাজধানীর গ্রিনরোডে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আয়োজিত ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ‘নতুন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ’। ভৌগোলিক অবস্থান, সহজলভ্য, উৎপাদনশীল ও সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি এবং পরিমিত উৎপাদন ব্যয়ে এশিয়া এমনকি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষনীয় ক্ষেত্র।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অধিক পরিমাণে বিনিয়োগ অর্জনের জন্য শ্রম ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বর্তমান সরকার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন। বিশেষ করে, শ্রমিক ভাই-বোন যারা বাংলাদেশের বিনিয়োগের মূল চালিকাশক্তি, বর্তমান সরকার তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
তিনি বলেন, এটা খুবই প্রশংসনীয় যে বেপজা সব সময় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেয়। ইপিজেডগুলোতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক যেমন শ্রমিক-মালিক-ব্যবস্থাপনা ঐকতানই এর প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে ইপিজেডে ও ইপিজেডের বাইরের শ্রমিকদের বেতন তিন বার বৃদ্ধি করেছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘ইপিজেডের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুসারে সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ ও পৃথক ‘বাংলাদেশ ইপিজেডশ্রম আইন ২০১৯’ প্রণয়ন করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুসরণ করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দেশেরবিভিন্ন অঞ্চলে ইপিজেড স্থাপন করা হয়েছে। ইপিজেডের কর্মীদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা চালু একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ ইপিজেডের শ্রমিকদের পক্ষে খুব সহায়ক হবে এবং অভিযোগ মোকাবিলার মাধ্যমে সহজতর কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বের সাথে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশের গর্ব হিসাবে বেপজা তার বিকাশ অব্যাহত রাখবে এবং সুষ্ঠ ও সুন্দর কর্মক্ষেত্র বজায় রাখবে যা এসডিজির সাথে সঙ্গতি রেখে শিল্পে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি বাড়িয়ে তুলবে।
এর আগে মন্ত্রী বেপজা হেল্পলাইন ফোন নম্বর ১৬১২৮ উদ্বোধন করেন এবং এতে ফোন করে প্রাপ্য সুবিধাদি সম্পর্কে জানতে চান।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো.নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনু্ল কবির, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশে নিযুক্ত আইএলও’র কান্ট্রি ডাইরেক্টর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন কিছুদিনের মধ্যে: আইনমন্ত্রী
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে কারখানা বন্ধ, মালিক উধাও, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখান এলাকায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।
৩ বছর আগে
ইপিজেড কারখানা বন্ধের সময় বাড়ল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত
করোনাভাইরাস সংক্রমণ সীমিত রাখতে দেশের আট রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) সব কারখানার ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।
৪ বছর আগে
খাদ্য উৎপাদনকে আক্রান্ত না করে শিল্পায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
দেশে খাদ্য উৎপাদন না কমিয়ে দ্রুত শিল্পায়নের প্রতি মঙ্গলবার জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৫ বছর আগে