সকাল থেকেই মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নানা শ্রেণি-পেশার ঘরমুখো মানুষের ভিড় রয়েছে এবং যানবাহনেরও চাপ রয়েছে অনেক বেশি। যদিও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো রয়েছে।
মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়, বোর্ড বাজার, স্টেশন রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনসহ নানা পরিকল্পনা করে সার্বক্ষণিক সড়ক মনিটরিং করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত সংখ্যক যাত্রীর তুলনায় কোনো কোনো রুটের যানবাহন কম রয়েছে। তাই নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে অনেকেরই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর এই সুযোগে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: আইজিপি
তারা বলছেন, নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই সুযোগে পরিবহন শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোণাসহ বিভিন্ন রুটে প্রায় দেড় গুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ২০০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা।
বেশি ভাড়া দিতে রাজি না হয়েও অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভাড়া দামাদামি করতে দেখা গেছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন যে এবারের ঈদ যাত্রায় এই মহাসড়কের যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিন শিফটে এক হাজার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্য ও রোভার স্কাউট মোতায়েন রয়েছে। আনফিট গাড়ি যাতে না চলাচল করতে পারে সেজন্য বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি টো-ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনো গাড়ি অচল হয়ে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সারানোর জন্য ব্যবস্থা রয়েছে।
ভাড়া বেশি নেওয়ার খবর পেলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।