বৌদ্ধ বিহার
সমৃদ্ধির জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক: বিএনপি
স্বার্থান্বেষী মহল কখনও কখনও ধর্মকে ব্যবহার করে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং এর সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সব বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রায় শূন্য। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আছে যারা মাঝে মাঝে ধর্মকে ব্যবহার করে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার বাসাবোতে বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী
তিনি বলেন, সবার ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন চিন্তা থাকতে পারে। এটাই জিয়াউর রহমানের দর্শন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় ঐক্যের রাজনীতি করি। বাংলাদেশকে যদি সমৃদ্ধ ও এগিয়ে নিতে হয়, তাহলে সকল বাংলাদেশিদের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য থাকতে হবে।
বৌদ্ধধর্ম শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের সর্বত্র একটি বড় প্রভাব সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নেতা।
এর আগে, ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও তার শেষকৃত্যে যোগ দিতে বাসাবোর বৌদ্ধ বিহারে যান।
উল্লেখ্য,২০২০ সালের ৩রা মার্চ, ৮৭ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
২ বছর আগে
খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়িতে ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান হচ্ছে।
শুক্রবার য়ংড বৌদ্ধ বিহারের দায়ক দায়িকাদের আয়োজনে সকাল থেকে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। এই উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে পূণ্য সঞ্চয় করার জন্য শতশত পূণ্যার্থীরা বিহারে সমাগম হয়েছে।
কঠিন চীবর দান উপলক্ষে বিহারে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, পানীয়, কল্পতরু দানসহ সকল দানীয় বস্তু দান করা হয়। এসময় ধর্মীয় গুরুরা পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে য়ংড বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত কেমাসারা থের ধর্ম দেশনা দেন। এসময় জগতের সকল প্রাণীর সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রবারণা পূর্ণিমা: পাহাড়ে সম্প্রীতির কল্প জাহাজ ভাসলো
অনুষ্ঠানে মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, মারমা সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাইথোই অং মারমা, মারমা ঐক্য পরিষদ নেতা ম্রাসাথোয়াই মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দায়ক দায়িকারা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফুল-ফল, ছোয়াইং (খাবার) বৌদ্ধসহ ভান্তিদেরকে দান করেন। সন্ধ্যায় ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশে আকাশে প্রদীপ (ফানুস) উড়িয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রাঙ্কফুর্ট ৭৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলা: বাংলাদেশ স্টলের উদ্বোধন
একইভাবে জেলা সদরের ধর্মপুর আর্য্য বন বিহারে দু’দিন ব্যাপী দানোত্তাম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান শেষদিন শুক্রবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। খাগড়াছড়ি সদরের কল্যাণপুর মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে দায়ক দায়িকা ও উপাসক উপাসিকাদের আয়োজনে ২৯তম দানরাজা দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
প্রসঙ্গত, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তার প্রধান সেবিকা মহা পূণ্যবর্তী বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে সুতাগুলো রং করে বয়ন করে সেলাই শেষে চীবর বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র দান কার্য সম্পাদন করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহা যঙ্গ সম্পাদন করার কারণে বৌদ্ধরা এই ধর্মীয় উৎসবকে কঠিন চীবর দান বলে থাকে।
৩ বছর আগে
রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের মূর্তিটি ৮০০ বছরের পুরনো
বান্দরবানের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে রক্ষিত বুদ্ধমূর্তিটি ৮০০ বছরের পুরনো বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
৪ বছর আগে