ঢাকার উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি)-এর সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শরিফুজ্জামান ওরফে মিন্টু ওরফে ওবায়দুল্লাহ ওরফে মাহি শরিফ (৩৫) রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার মেহেরচন্ডী গ্রামের সাহাদাৎ হোসেনের ছেলে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটিইউর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) ওয়াহিদা পারভীন বলেন, ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর আশুলিয়ার বাইপাইল রোডে অভিযান চালিয়ে হুজিবির সংগঠক খলিলুর রহমান শাহরিয়ার (৩২), মো. আ.কাদের মুয়াক্ষের (৫০),শরিফুজ্জামান ওরফে মিন্টু ওরফে ওবায়দুল্লাহ ওরফে মাহি শরিফ এবং মো. মাকছুদুর রহমানকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে আটক ৫
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান শাহরিয়ার হুজিবি’র পলাতক কেন্দ্রীয় নেতা ও হুজিবির পরিবর্তিত সংগঠন তামিরুত-আত-দ্বীন এর প্রধান সংগঠক ছিলেন। এটিইউ এর হাতে গ্রেপ্তার আসামি শরিফুজ্জামান হুজিবির পরিবর্তিত সংগঠনে অর্থ সম্পাদক হিসেবে কাজ করতো। জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের সংগঠকদের মধ্যে বিতরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এনেছিল। এসময় তুরাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।
তিনি জানান, আসামিদের মধ্যে শরিফুজ্জামান আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালত তাকে ১০ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড দেয়।
তিনি আরও জানান, পলাতক অবস্থায় তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে এবং ফ্রি-ল্যান্সিং করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।
গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত আসামি শরিফুজ্জামানকে তুরাগ থানার মামলায় আদালতে সোপর্দ করার কাজ প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শীর্ষ জঙ্গি সালেহীনের ফাঁসি বহাল