স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বলা হয়েছে, দেশের এক হাজার ৪০০ টিকাদান কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০ হাজার টিকা দানের সক্ষমতা রয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন ২৩ লাখ ৮ হাজার ১৫৭ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন এবং নারী সাত লাখ ৮৯ হাজার ৪৪২ জন।
এদিকে, রাজধানী ঢাকার ৪৭টি টিকাদান কেন্দ্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৯ হাজার ৪৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৬ হাজার ১৮৩ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৩ হাজার ৩৪৯ জন পুরুষ এবং এক লাখ ২ হাজার ৮৩৪ জন নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৬
বিশ্বব্যাপী কোভিডে মৃত্যু বেড়ে ২৪.৬৫ লাখ ছাড়াল
এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে।
ভারতের উপহার হিসেবে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার ২০ লাখ ডোজ গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এরপর ২৫ জানুয়ারি সেরাম থেকে বাংলাদেশের ক্রয় করা কোভিশিল্ডের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ নিরাপদে ঢাকায় আসে। করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়।
দেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন সাতজনসহ মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৩৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন বিতরণে ইউনিসেফের সাথে কাজ করবে এমিরেটস
টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়ার পরামর্শ
জরুরি ব্যবহারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন
করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪টি পরীক্ষাগারে ১১ হাজার ৫১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ১০৩টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩.৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৯২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমকি ৫০ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।