ইপিবি
সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬.৭৮ শতাংশ: ইপিবি
পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২০ মিলিয়ন ডলার বেশি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে রপ্তানি আয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ব্যাংক আলফালাহর অধিগ্রহণ শুরু করেছে ব্যাংক এশিয়া
তিনি বলেন, এনবিআর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের মতে রিয়েল টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে তারা তথ্য প্রস্তুত করেছেন।
তিনি বলেন, 'এখন থেকে আমরা প্রতি মাসের রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরব।’
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে ১১ দশমিক ৩৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি ২০২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
২ মাস আগে
রপ্তানি তথ্যে অসঙ্গতির জন্য এনবিআর ও ইপিবিকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের রপ্তানি আয়ের হিসাব থেকে শত শত কোটি ডলারের তথ্য মুছে ফেলার ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, রপ্তানি তথ্যের হিসাবে অসঙ্গতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দায়ী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেরিফিকেশন সিস্টেমে গত দুই অর্থবছরে ২০ মাসে আনুমানিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের গরমিল পাওয়া গেছে।
সরকারকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে এ ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, এই বিশাল ঘাটতির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যান উল্টে গেছে।
আরও পড়ুন: সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে চলে গেছে। আর রপ্তানির বিপরীতে রেমিট্যান্স আসার লক্ষ্যমাত্রা কমে যাওয়ায় রাজস্ব খাতে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে।
ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এক বৈঠকে এনবিআরের প্রতিনিধি ইতোমধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, একই পণ্য রপ্তানির জন্য একাধিক রপ্তানি হিসাব রয়েছে, যা সার্ভারে নতুন করে ইনপুট দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকের শাখা থেকে রপ্তানি আয়ের তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে ডাটা ও প্রকৃত রপ্তানির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগ্রহ করা এবং ইপিবি প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতির কারণ চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, একই রপ্তানি তথ্য এবং পণ্যের এইচএস কোড একাধিকবার ইনপুট করা হয়েছে।
পণ্যের কাটিং, মেকিং ও ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং চার্জ দিতে হয়। তবে কাপড়সহ সব অংশের হিসাব রেখেছে ইপিবি। ইপিবি অনেক সময় নমুনা পণ্যের দামও ইনপুট করেছে, যা নমুনা পণ্যের মূল্য হিসেবে আসার কথা নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
৫ মাস আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, উল্লিখিত সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এ সময় তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৩৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালিতে বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগানোর আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
নিটওয়্যারের রপ্তানি হয়েছে ২২ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ওভেন (বুনন জাতীয়) পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের এপ্রিলে পোশাক রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের এপ্রিলের তুলনায় ১ দশমিক ০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চ মাসের বেতন-ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে সব কারখানা: বিজিএমইএ সভাপতি
'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' চালু করল বিজিএমইএ
৭ মাস আগে
মার্চে ৫১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ: ইপিবি
চলতি বছরের মার্চে ৫১০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায় যায়, গত চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ মাসে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি এখন পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ফলে সার্বিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৭৯ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) মোট ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও মার্চ মাসের শেষে পণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পিছিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
৮ মাস আগে
এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টের সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানি বছরে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বছরের ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাত ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবি এর তথ্য অনুযায়ী, নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৫৮বিলিয়ন ডলার, যেখানে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
১ বছর আগে
জুলাইতে বাংলাদেশের অপ্রচলিত বাজারে আরএমজি রপ্তানি ২৩.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরএমজি রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৭২৯ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের জুলাইতে ছিল ৬৮৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইইউ অঞ্চলের কিছু বড় বাজারে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে স্পেনে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইতালিতে ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং পোল্যান্ডে ১৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
এক চিঠিতে মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি বছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে এবং তা ৫১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ফিনল্যান্ড, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভাকিয়াতে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ অর্থ-বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য বছরে রপ্তানি ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইভাবে কানাডায় বছরে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ভারতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
১ বছর আগে
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
বাংলাদেশ মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে ২০২২ সালের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে রপ্তানি খাত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।
রবিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়, কারণ হঠাৎ করেই রপ্তানি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। তবে মে মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৮৯০ মিলিয়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪৭ দমমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৭ বিলিয়ন ডলার: প্রধানমন্ত্রী
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের তুলনায় ১০ দমমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত পণ্য হল ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হোম টেক্সটাইল পণ্য। এ খাতের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
১ বছর আগে
রপ্তানি কমেছে সেপ্টেম্বরে: ইপিবি
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৩ মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।
রবিবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে কৃষিপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্প, বাইসাইকেল ও আসবাবপত্রের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবি’র প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ গত মাসে (সেপ্টেম্বর) তিন দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বিজিএমইএ’র
যাইহোক, চলতি অর্থবছর ২০২২-২০২৩ এর প্রথম তিন মাসে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে যার মূল্য ছিল ১১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার।
মূলত পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ায় গতমাসে সামগ্রিক রপ্তানি কমেছে। আগের মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে তিন দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের। যা গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় সাত দশমিক ৫২ শতাংশ কম। গত মাসে বোনা ও নিট উভয় পোশাকের রপ্তানি কমেছে।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পোশাক রপ্তানিতে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানকার মানুষ গাড়ি এবং মুদির জন্য জ্বালানি ছাড়া অন্য সব কেনাকাটা বন্ধ করে দিয়েছে।
সে কারণে বিদেশি ক্রেতারা দুই থেকে তিন মাস কম অর্ডার দিচ্ছেন। অনেক কোম্পানি ক্রয় আদেশের পণ্য প্রস্তুত হওয়ার পরও চালানের অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানান তারা।
বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল রবিবার বলেছেন যে বিজিএমইএ ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে প্রবৃদ্ধি মন্দার প্রাথমিক ইঙ্গিত শেয়ার করেছে, যা সেপ্টেম্বরের রপ্তানি ডেটাতে স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খুচরা বাজার কোভিড-পরবর্তী কনটেইনার ফ্রেইট এবং সাপ্লাই চেইন সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং তারপরে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত মন্দা থেকে শুরু করে অনেক চ্যালেঞ্জের দ্বারা ব্যাহত হয়েছে, যা খুচরা বিক্রয় এবং পোশাকের চাহিদাকে স্থগিত করছে।
রুবেল বলেন, ক্রেতারা তাদের ইনভেন্টরি এবং সাপ্লাই চেইনকে সর্বোত্তম করার জন্য সতর্ক পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনকি উৎপাদন ও অর্ডার আটকে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এটি বেশ নরম এবং দুর্বল পরিস্থিতি হয়েছে, যেখানে আমাদের স্থায়িত্ব এবং প্রতিযোগিতামূলক অগ্রগতির কারণে আমাদের বেড়ে ওঠার সমস্ত শক্তি এবং সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ২০২২ সালের শেষ সময়ের জন্য আশানুরূপ কিছু অনুমান করা কঠিন করে তোলে’।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বেতন না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধ, বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও
২ বছর আগে
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩.৯৮ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে ঘাটতি এবং পরিশোধের ভারসাম্যের ব্যবধান বাড়ার মধ্যে মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই মাসে ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ছিল। এতে দেখা যায় রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
সরকার জুলাইয়ের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন। মাস শেষে রপ্তানি ৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রপ্তানি প্রায় এক দশমিক শুন্য বিলিয়ন কমেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য অনুসারে, নিট এবং বোনা পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
গত বছরের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সেবা খাত থেকে বাংলাদেশ অর্থবছরে ৭ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যের বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমকি ৬৭ শতাংশ বেশি।
সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ শতাংশ ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং ৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
২ বছর আগে
মে মাসে রপ্তানি আয় ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩. ৮৩ বিলিয়ন ডলার
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর রপ্তানি আয়ও কমল।
দেশের সামগ্রিক আয়ের ওপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানি আয় কমে গেলেও বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ৪০ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এটি ২০২১ অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয়ের ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: ২৬ দিনে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাল প্রবাসীরা
এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, দেশে এই অর্থবছরে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হবে। কারণ পশ্চিমা বিশ্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতির পর রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
কিন্তু ইউক্রেনে-রাশিয়ার যুদ্ধের পর রপ্তানি আদেশে পতন ঘটে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি না করলেও যুদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
পশ্চিমা দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আরেকটি মন্দার আশঙ্কা করেছেন।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাকার মান আরও কমল, ডলার প্রতি নতুন বিনিময় হার ৮৯ টাকা
২ বছর আগে