ইপিবি
এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টের সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানি বছরে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বছরের ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাত ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবি এর তথ্য অনুযায়ী, নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৫৮বিলিয়ন ডলার, যেখানে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
জুলাইতে বাংলাদেশের অপ্রচলিত বাজারে আরএমজি রপ্তানি ২৩.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরএমজি রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৭২৯ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের জুলাইতে ছিল ৬৮৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইইউ অঞ্চলের কিছু বড় বাজারে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে স্পেনে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইতালিতে ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং পোল্যান্ডে ১৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
এক চিঠিতে মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি বছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে এবং তা ৫১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ফিনল্যান্ড, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভাকিয়াতে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ অর্থ-বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য বছরে রপ্তানি ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইভাবে কানাডায় বছরে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ভারতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
বাংলাদেশ মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে ২০২২ সালের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে রপ্তানি খাত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।
রবিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়, কারণ হঠাৎ করেই রপ্তানি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। তবে মে মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৮৯০ মিলিয়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪৭ দমমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৭ বিলিয়ন ডলার: প্রধানমন্ত্রী
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের তুলনায় ১০ দমমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত পণ্য হল ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হোম টেক্সটাইল পণ্য। এ খাতের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
রপ্তানি কমেছে সেপ্টেম্বরে: ইপিবি
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৩ মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।
রবিবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে কৃষিপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্প, বাইসাইকেল ও আসবাবপত্রের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবি’র প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ গত মাসে (সেপ্টেম্বর) তিন দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বিজিএমইএ’র
যাইহোক, চলতি অর্থবছর ২০২২-২০২৩ এর প্রথম তিন মাসে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে যার মূল্য ছিল ১১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার।
মূলত পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ায় গতমাসে সামগ্রিক রপ্তানি কমেছে। আগের মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে তিন দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের। যা গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় সাত দশমিক ৫২ শতাংশ কম। গত মাসে বোনা ও নিট উভয় পোশাকের রপ্তানি কমেছে।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পোশাক রপ্তানিতে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানকার মানুষ গাড়ি এবং মুদির জন্য জ্বালানি ছাড়া অন্য সব কেনাকাটা বন্ধ করে দিয়েছে।
সে কারণে বিদেশি ক্রেতারা দুই থেকে তিন মাস কম অর্ডার দিচ্ছেন। অনেক কোম্পানি ক্রয় আদেশের পণ্য প্রস্তুত হওয়ার পরও চালানের অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানান তারা।
বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল রবিবার বলেছেন যে বিজিএমইএ ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে প্রবৃদ্ধি মন্দার প্রাথমিক ইঙ্গিত শেয়ার করেছে, যা সেপ্টেম্বরের রপ্তানি ডেটাতে স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খুচরা বাজার কোভিড-পরবর্তী কনটেইনার ফ্রেইট এবং সাপ্লাই চেইন সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং তারপরে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত মন্দা থেকে শুরু করে অনেক চ্যালেঞ্জের দ্বারা ব্যাহত হয়েছে, যা খুচরা বিক্রয় এবং পোশাকের চাহিদাকে স্থগিত করছে।
রুবেল বলেন, ক্রেতারা তাদের ইনভেন্টরি এবং সাপ্লাই চেইনকে সর্বোত্তম করার জন্য সতর্ক পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনকি উৎপাদন ও অর্ডার আটকে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এটি বেশ নরম এবং দুর্বল পরিস্থিতি হয়েছে, যেখানে আমাদের স্থায়িত্ব এবং প্রতিযোগিতামূলক অগ্রগতির কারণে আমাদের বেড়ে ওঠার সমস্ত শক্তি এবং সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ২০২২ সালের শেষ সময়ের জন্য আশানুরূপ কিছু অনুমান করা কঠিন করে তোলে’।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বেতন না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধ, বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩.৯৮ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে ঘাটতি এবং পরিশোধের ভারসাম্যের ব্যবধান বাড়ার মধ্যে মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই মাসে ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ছিল। এতে দেখা যায় রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
সরকার জুলাইয়ের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন। মাস শেষে রপ্তানি ৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রপ্তানি প্রায় এক দশমিক শুন্য বিলিয়ন কমেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য অনুসারে, নিট এবং বোনা পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
গত বছরের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সেবা খাত থেকে বাংলাদেশ অর্থবছরে ৭ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যের বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমকি ৬৭ শতাংশ বেশি।
সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ শতাংশ ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং ৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
মে মাসে রপ্তানি আয় ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩. ৮৩ বিলিয়ন ডলার
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর রপ্তানি আয়ও কমল।
দেশের সামগ্রিক আয়ের ওপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানি আয় কমে গেলেও বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ৪০ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এটি ২০২১ অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয়ের ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: ২৬ দিনে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাল প্রবাসীরা
এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, দেশে এই অর্থবছরে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হবে। কারণ পশ্চিমা বিশ্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতির পর রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
কিন্তু ইউক্রেনে-রাশিয়ার যুদ্ধের পর রপ্তানি আদেশে পতন ঘটে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি না করলেও যুদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
পশ্চিমা দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আরেকটি মন্দার আশঙ্কা করেছেন।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাকার মান আরও কমল, ডলার প্রতি নতুন বিনিময় হার ৮৯ টাকা
রবিবার থেকে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু: বাণিজ্যমন্ত্রী
আগামী ২০ মার্চ (রবিবার) থেকে দেশব্যাপী এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূলে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারস্থ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দেশের নিম্নআয়ের এককোটি পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুই কিস্তিতে এ এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হবে। প্রথম কিস্তি বিক্রয় করা হবে ২০-৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় কিস্তি বিক্রয় করা হবে ৩-২০ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলভাবে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের সুবিধার জন্য দেশব্যাপী এ সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড দেয়া সম্ভব হয়নি। ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে তাদের কাছে টিসিবি’র এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্রের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে করে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। পণ্যের মধ্যে রয়েছে দুই লিটার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে, দুই কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে, দুই কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে, দুই কেজি ছোলা ৫০ টাকা দরে এক প্যাকেটে বিক্রয় করা হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়াকে পাম অয়েলের দাম কমানোর আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
পূর্বাচলে অত্যাধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কেন্দ্রটি সারা বছর বিভিন্ন পণ্য-ভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
ঢাকা ও বেইজিংয়ের যৌথ অর্থায়নে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) পূর্বাচল নিউ সিটি প্রজেক্ট এরিয়ায় বৃহৎ এ প্রকল্পটি গ্রহণ করে।
চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএসসিইসি)’ ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গাজুড়ে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।
কেন্দ্রটির ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার স্কয়ার মিটার। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪১৮ স্কয়ার মিটারের একটি প্রদর্শনী হল রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর সভাপতিত্বে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রদর্শনী কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: জমি সংকট থাকায় কূটনৈতিক এলাকা হতে পারে পূর্বাচলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়: প্রধানমন্ত্রী
শিশুদের ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী
মার্চে পূর্বাচলের অত্যাধুনিক ভেন্যুতে হবে বাণিজ্য মেলা
করোনাভাইরাসের কারণে জানুয়ারিতে শুরু হয়নি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। তবে আগামী মার্চে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবর্তে পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে নব নির্মিত বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) অনুষ্ঠিত হবে মাসব্যাপী এ মেলার ২৬তম আসর।
রপ্তানির নিম্নমুখী প্রবণতা এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে: বিজিএমইএ সভাপতি
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রপ্তানির নিম্নমুখী প্রবণতা সম্ভবত আগামী এপ্রিল পর্যন্ত বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।