বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর রপ্তানি আয়ও কমল।
দেশের সামগ্রিক আয়ের ওপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানি আয় কমে গেলেও বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ৪০ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এটি ২০২১ অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয়ের ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: ২৬ দিনে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাল প্রবাসীরা
এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, দেশে এই অর্থবছরে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হবে। কারণ পশ্চিমা বিশ্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতির পর রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
কিন্তু ইউক্রেনে-রাশিয়ার যুদ্ধের পর রপ্তানি আদেশে পতন ঘটে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি না করলেও যুদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
পশ্চিমা দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আরেকটি মন্দার আশঙ্কা করেছেন।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাকার মান আরও কমল, ডলার প্রতি নতুন বিনিময় হার ৮৯ টাকা