দাবা
দাবাগুরু রাণী হামিদ: আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশি নারীদের অনন্য অনুপ্রেরণা
আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের ভূমিকার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার শতাব্দী ২১ শতক। সেখানে বাংলাদেশি নারীদের উপস্থিতি অনেকটাই সীমিত। এরপরেও বিস্তৃত এই মঞ্চে অল্প যে দুয়েকটি পদচিহ্ন পড়ছে তা অনেকখানি এগিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বর্ষিয়ান দাবাড়ু রাণী হামিদ। ৮০ বছর বয়সেও এই দাবাগুরু নিজের সপ্রতিভার সাক্ষর রেখে বিশ্ব দরবারে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে চলেছেন। ৪০ বছরের সুদীর্ঘ ক্রীড়া জীবনে দাবা খেলাকে ঘিরে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একাধিক বিশেষণ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী মাস্টার, কমনওয়েলথের শীর্ষ দাবা খেলোয়াড় এবং ব্রিটিশ নারী দাবা চ্যাম্পিয়ন। চলুন, রাণী হামিদের একজন সফল দাবাড়ু হয়ে ওঠার গল্প এবং তার অর্জনগুলো সম্বন্ধে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
দাবাগুরু রাণী হামিদের ব্যক্তিগত জীবন
ভালো নাম সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন, পরিজনদের কাছে যিনি পরিচিত রাণী নামে। তার জন্ম ১৯৪৪ সালের ১৪ জুলাই ব্রিটিশ ভারতীয় শাসনামলে আসাম প্রদেশে (বর্তমান সিলেট)। বাবা সৈয়দ মমতাজ আলী ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা মোসাম্মাৎ কামরুন্নেসা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।
শৈশবে রাণীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ১৯৫২ সালে চট্টগ্রামের নন্দনকানন গার্লস হাইস্কুলে। যেখানে তিনি সরাসরি দ্বিতীয় শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে কয়েক বার স্কুল বদলের পর অবশেষে ১৯৬০ সালে সিলেট বালিকা বিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ডিগ্রি পরীক্ষা দেন।
১৯৫৯ সালে তার বিয়ে হয় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং ক্রীড়া সংগঠক এম এ হামিদের সঙ্গে। সেই থেকে তিনি হয়ে যান রাণী হামিদ এবং পরবর্তীতে এই নামেই সবার কাছে পরিচিত হন।
হামিদ দম্পতির জ্যেষ্ঠ ছেলে কায়সার হামিদ ছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের একজন ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে তিনি অধিনায়কত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। মেজো ছেলে সোহেল হামিদ ছিলেন জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়ন। কনিষ্ঠ ছেলে শাজাহান হামিদ ববি ছিলেন জাতীয় হ্যান্ডবল এবং ফার্স্ট ডিভিশন ফুটবল লীগ খেলোয়াড়। সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান একমাত্র মেয়ে জাবিন হামিদ।
দাবাড়ু হিসেবে রাণী হামিদের পথচলা
১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কোয়ার্টারে থাকার সময় হামিদদের প্রতিবেশী ছিলেন জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন ড. আকমল হোসেন। তার সহযোগিতায় ১৯৭৬ সালে মহসিন দাবা প্রতিযোগিতায় নাম লেখান রাণী। এটিই ছিলো তার জীবনে প্রথমবারের মতো বড় কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
১৯৭৭ সালে নারীদের জন্য প্রথম পৃথক দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নবদিগন্ত সংসদ দাবা ফেডারেশন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সংগঠনটি ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালেও একই আয়োজন করে, আর তিনবারই তাতে চ্যাম্পিয়ন হন রাণী।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত টানা ৬ বছর জাতীয় শিরোপা ছিল রাণীর দখলে। ১৯৭৯ সালে তিনি ঢাকার একটি ওপেন কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। আর তার জন্য এটিই খুলে দিয়েছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুয়ার। দেশের বাইরে তার প্রথম পা রাখেন ১৯৮১ সালে ভারতের হায়দারাবাদে অনুষ্ঠিত এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ১৯৮৩ সালে তিনি হেলেন মিলিগানের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রিটিশ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন। ইউরোপের প্রসিদ্ধ দাবা প্রতিযোগিতাটিতে এটি ছিল প্রথম এক বাংলাদেশি নারীর শিরোপা জয়। এরপরের ১৯৮৫ এবং ১৯৮৯-এর বৃটিশ শিরোপা তিনি এককভাবেই জিতেছিলেন।
১৯৮৪ সালে তিনি যোগ দেন বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন দাবা প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড দাবা অলিম্পিয়াডে। গ্রীসে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ওপেন সেকশনে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের থেকে আগত বিশ্বের ৪র্থ গ্র্যান্ডমাস্টারের। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই খেলাটি রাণীর দাবা ক্যারিয়ারে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেখানে তাকে এক মজার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রথম দর্শনে তাকে দেখে খেলার মূল প্রাঙ্গনে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাকে বলা হচ্ছিল যে, এই জায়গাটি শুধুমাত্র পুরুষ খেলোয়াড়দের জন্য। মূলত এই পুরুষ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধেই যে তিনি ওপেন সেকশনে খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে এই বিষয়টি বোঝাতে যেয়ে তার অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল।
রাণী ছিলেন দাবা অলিম্পিয়াডের ৫ম মহিলা, যিনি তার নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিয়াডে জাতীয় পুরুষ দলে স্থান পেয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় ওমেন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার (ডব্লিউআইএম) খেতাব।
১৯৮৯-এ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় কাসেদ আন্তর্জাতিক মহিলা দাবা, যেখানে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেন রাণী। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ স্পোর্ট্স প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নারীদের ক্রীড়াঙ্গনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে দিল্লিতে আয়োজিত কমনওয়েল্থ দাবা’য় দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য তিনি লাভ করেন স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর রাশিয়ায় দাবা বিশ্বকাপ ২০১৮-তে জোনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিনি ‘জার্নালিস্ট চয়েস অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হন।
২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে ২০ বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা শিরোপা জিতেন রাণী। এটি এখন পর্যন্ত অর্জিত দেশের সর্বাধিক নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়।
দাবা অলিম্পিয়াড ২০২৪-এ রাণী হামিদের সাফল্য
বিশ্বের তুখোড় তুখোড় দাবাড়ুদের স্বর্গরাজ্য হলো দাবা অলিম্পিয়াড, যে প্রতিযোগিতা প্রতি দুই বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের সংগঠক আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন, যার ফরাসি ভাষায় সংক্ষিপ্ত রূপ ফিদে। এই ফিদে অলিম্পিয়াড টুর্নামেন্ট পরিচালনা এবং খেলাগুলো কোন দেশে হবে তা নির্ধারণ করে থাকে। বিভিন্ন দেশের ফিদে-স্বীকৃত দাবা সংস্থা থেকে কেবল একটি দল অলিম্পিয়াডে প্রবেশ করতে পারে। প্রতিটি দলে চারজন নিয়মিত এবং একজন রিজার্ভ খেলোয়াড় নিয়ে মোট পাঁচ সদস্য থাকে।
ফিদের অধীনে নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা প্রতিযোগিতা, যেটি ওমেন্স চেস অলিম্পিয়াড নামে পরিচিত। বিভিন্ন দেশের জাতীয় মহিলা দলগুলোর কৃতিত্ব স্বরূপ দাবাড়ুদের ভূষিত করা হয় স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদকে। চূড়ান্তভাবে বিজয়ী দলের জন্য থাকে বিশেষ ট্রফি, যার নাম ‘ভেরা মেনচিক কাপ’।
৪৫তম দাবা অলিম্পিয়াডের আসর বসে ২০২৪ সালের ১০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। টুর্নামেন্টের ৩য় রাউন্ডের ম্যাচে বার্বাডোসের লিশে স্প্রিংগারকে পরাজিত করেন রাণী। ম্যাচ জয়ী বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ দশমিক ৫, অপরদিকে পরাজিত বার্বাডোসের পয়েন্ট ছিলো শূন্য দশমিক ৫।
এছাড়াও টুর্নামেন্টে পরপর ৬টি ম্যাচে একটানা জয় পান রাণী। অবশ্য গত শুক্রবার নবম রাউন্ডে বাংলাদেশ নারী দাবা দল হার মানে আর্জেন্টিনার কাছে। রাণী এককভাবে সারকিস মারিয়া বেলেনকে হারালেও বাকি তিন ডুয়েলে আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে সুবিধা করে উঠতে পারেনি বাংলাদেশিরা।
এই আসরে দ্বীপরাষ্ট্র গার্নসির ৮৩ বছর বয়সী পোলিন উডওয়ার্ডের পরে রাণী ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষিয়ান দাবাড়ু। তাই চেস কমিউনিটি থেকে তাকে ভালবেসে ‘দাদু’ সম্বোধন করা হয়।
এই অর্জনের নেপথ্যে রাণী হামিদের মূল শক্তি
দাবা খেলায় যাত্রার শুরু থেকেই প্রতিটা মুহূর্তে দাবার প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ ছিল রাণীর। বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, বরং সবসময় খেলে গেছেন আনন্দ নিয়ে। খেলার প্রতি নিগূঢ় ভালোবাসার কারণে বয়সের বিষয়টি একদমি আমলে নেন না এই বয়স্ক দাবাড়ু। বরং প্রতিটি চাল দেওয়ার সময় তার উদ্দীপনা থাকে একদম তরুণদের মতোই। প্রতিপক্ষ কতটা শক্তিশালী বা অভিজ্ঞ তা নিয়ে কখনোই কোনো চিন্তা কাজ করে না তার মাঝে। তার ভাষ্যমতে, এমনও সময় গেছে যে, তিনি তার প্রতিপক্ষকে ঠিক করে চেনেনই না।
এই অর্জনগুলোর মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকজন তারকা দাবাড়ুদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠেছে রাণীর। এদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন সুসান ক্যাথরিন এবং হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার সুসান পোল্গারসহ আরও অনেকে। সম্প্রতি পোল্গার তার সঙ্গে একটি ছবি তুলে তা তার এক্স প্রোফাইলে শেয়ার করেন।
পরিশিষ্ট
স্থানীয় মহসিন দাবা প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে ২০ বার জাতীয় নারী শিরোপা জয়। তারপর একে একে ব্রিটিশ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিয়াড, এবং কমনওয়েলথ স্বর্ণপদকপ্রাপ্তি। সব মিলিয়ে রাণী হামিদের এই দীর্ঘ যাত্রায় মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে দাবা খেলার প্রতি তার অগাধ ভালবাসা এবং অসামান্য দক্ষতা। এই অর্জনগুলোর উপরি পাওনা হিসেবে তিনি পেয়েছেন বিশ্বখ্যাত দাবা তারকাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক; বিশেষ করে দাবা কমিউনিটিতে ‘দাদু’ সম্বোধন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের নারী দাবা উৎসাহীদের জন্য তার এই অভাবনীয় সাফল্য নিঃসন্দেহে এক বিরাট অনুপ্রেরণা।
আরো পড়ুন: শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
১ মাস আগে
আন্তর্জাতিক রেটিং দাবাতে শীর্ষস্থানে ৪ খেলোয়ার
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের পর চারটি করে পয়েন্ট নিয়ে ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল রেটিং দাবা টুর্নামেন্টে যৌথভাবে চারজন খেলোয়াড় শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের হলরুমে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলোয়াড়রা হলেন জিএম জিয়াউর রহমান, সিএম মানন রেজা নীর, এফএম মেহেদী হাসান পরাগ ও এফএম সুব্রত বিশ্বাস।
আইএম মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, এফএম তাহসিন তাজওয়ার জিয়া, এফএম খন্দকার আমিনুল ইসলাম, সিএম নাঈম হক, শ. রাশেদুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন এবং মো. শরীয়তুল্লাহ সাড়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
আজকের খেলায় জিএম জিয়াউর রহমান এফএম মোহাম্মদ জাভেদকে, সিএম মানন রেজা নীরকে মো. মাসুম হোসেনকে, এফএম খন্দকার আমিনুল ইসলামকে আইএম মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, এফএম মেহেদী হাসান পরাগ রুবেল হোসেনকে, এফএম সুব্রত বিশ্বাস মো. আবু হানিফকে, এফএম তাহেল হোসেনকে পরাজিত করেন। তাজওয়ার জিয়া মোহাম্মদ ও এনায়েত হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন ও সিএম চঞ্চল কুমার ঘোষ, সিএম মাহতাবউদ্দিন আহমেদ ও ডব্লিউসিএম আহমেদ ওয়ালিজার সঙ্গে ড্র করেন এবং মো. মাহবুবুর রহমানকে পরাজিত করেন মো. শরীয়তুল্লাহ।
শুক্রবার একই ভেন্যুতে দুপুর ২টা থেকে পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
দেশে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা ২০২৩’ শুরু হচ্ছে কক্সবাজারের লাবণী সমুদ্র সৈকতে।
শুক্রবার দেশে প্রথমবারের মতো এই আন্তর্জাতিক দাবার আসরটি উদ্বোধন করা হবে।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত আসরে দুইজন গ্রান্ডমাষ্টারসহ প্রায় ১০০ জন জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ু অংশগ্রহণ করবেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দু’জন গ্রান্ডমাষ্টার হলেন- গ্রান্ডমাষ্টার জিয়াউর রহমান এবং গ্রান্ডমাষ্টার এনামুল হোসেন রাজিব।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক মাষ্টার, ফিদে মাষ্টারসহ জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ র্যাংকিংয়ে থাকা খেলোয়াড়, তরুণ উদিয়মান দাবাড়ৃরাও এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো-কক্সবাজারসহ সারাদেশে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে দাবা খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলা।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন। অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন উপস্থিত থাকবেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
১ বছর আগে
শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে শেখ রাসেল চেস একাডেমি আয়োজিত প্রথম শেখ রাসেল যুব র্যাপিড চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ শুরু হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এই বুদ্ধির খেলার আসরটি।
ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন হল রুমে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র ২০ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
একই দিন বিকালে চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন অনূর্ধ্ব-২৩ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ব দাবা ফেডারেশন (এফআইডিই) জোন ৩.২ -এর সভাপতি সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম।
প্রতিযোগিতাটি সাত রাউন্ডের সুইস লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা মোট ২০ হাজার টাকা নগদ প্রাইজমানি পাবেন।
আরও পড়ুন:ইবি শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
১ বছর আগে
মুজিব শতবর্ষ: শেরপুরে দাবা লীগ শুরু ২০ সেপ্টেম্বর
শেরপুরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের অনুপ্রেরণায় এবং জেলা পুলিশের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-কমিটির আয়োজনে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা দাবা লীগ শুরু হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-কমিটির সম্পাদক হাকিম বাবুল জানান, প্রথমবার আয়োজিত এ মুজিব শতবর্ষ শেরপুর জেলা দাবা লীগ-২০২১ এ জেলার পাঁচটি ক্লাব বা সংস্থার দল অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ দাবা প্রতিযোগিতা শুরু শনিবার
তিনি জানান, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি পুলিশের মহাপরিদর্শক দেশে দাবা খেলার বিপ্লব ঘটাতে প্রথমবারের মতো তৃণমূলে অর্থাৎ জেলা দাবা লীগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা পুলিশের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে শেরপুর জেলাতেও দাবা লীগের আয়োজন করা হয়।
জেলা দাবা লীগ-২০২১ প্রতিটি দলে পাঁচ জন করে দাবা খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিদিন চারটি বোর্ডে চারজন করে খেলোয়াড় খেলায় অংশ নেবে। ম্যাচ পয়েন্টের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন: ফসল কাটার প্রতিবাদে শেরপুরে বাগাছাসর বিবৃতি
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামের মিলনায়তনে লীগের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। খেলায় দলগুলোর জন্য প্রাইজমানি ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও নগদ অর্থ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে খেলোয়াড় ও ক্লাব কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে ছয়টি দলকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জেলা দাবা লীগ আয়োজনের প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা লীগ আয়োজনে পুলিশ পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ইতোমধ্যে জেলা দাবা লীগের জন্য স্থানীয়ভাবে স্পন্সর সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথমবার হলেও জেলা দাবা লীগ বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনের ২০ হাজার ৮শ ডোজ টিকা পেল শেরপুর
৩ বছর আগে
মুজিববর্ষ দাবা প্রতিযোগিতা শুরু শনিবার
মুজিববর্ষ আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে শনিবার। বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনের নিচ তলার সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
৩ বছর আগে