নগরী
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ চাঁদপুর নগরী
মুষলধারের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুর নগরীতে। শহরের নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল কমে গিয়েছে, বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবীরা।
এদিকে শহরের নাজির পাড়া, মাদরাসা রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, মোল্লাবাড়ি রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় মুষলধারের বৃষ্টিতে সড়কে প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে আছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম নগরী, বিপাকে কর্মজীবীরা
মোহাম্মদ হোসেন গাজী নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘মুষলধারের বৃষ্টিতে দিনমজুর ও শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া একান্ত প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা থেকে বের হচ্ছে না।’
পুরান বাজারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেক দোকান দেরিতে খুলেছে। যারা নির্মাণশ্রমিক তারাও কাজে যেতে পারেনি।’
মাদরাসা রোডের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের সড়কে পানি। এখন পর্যন্ত একই অবস্থা। মসজিদ ও বাসা বাড়িতেও পানি উঠে গেছে।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
রহমতপুর আবাসিক এলাকাল বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বাবু বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে এলাকার সড়ক ডুবে গেছে। তবে সকালে কিছুটা পানি কমেছে।’
৩ মাস আগে
সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু কিছু ওয়ার্ডে এখনো পানি রয়েছে। ওইসব এলাকাসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনো ত্রাণ সেবা অব্যাহত রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৪ দিন টানা বর্ষণ না হলে সুরমা নদীর পানি আরও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
গত সোমবার সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঠেছিল এবং ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
কাউন্সিলররা জানিয়েছে, সিসিকের বেশির ভাগ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নেওয়া মানুষ অনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে সিসিকের পক্ষ থেকে এখনো আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবারসহ ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিলেট মহানগরীর প্রায় ২৮টি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে বেশকয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। সেখানে নিয়মিত রান্না করা খাবার ও ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, ধীরে কমছে নদীর পানি
ধীরগতিতে হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা
৫ মাস আগে
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কমলেও নগরীতে বাড়ছে
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও নগরীতে বাড়ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
রবিবার (২ জুন) রাত থেকে বৃষ্টির কারণে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত ১২ ঘণ্টায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ২২৮ জন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
সূত্র জানায়- অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সুরমার নদীর পানি বেড়ে ছড়া, খালগুলো দিয়ে নগরে ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। ফলে নগরীর উপশহর, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপার, কুশিঘাট, চালিবন্দর, কামালগড়, যতরপুর, সুবহানীঘাট, দক্ষিণ সুরমা, কাজিরবাজার, তেররতন, বরইকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে বাসা-বাড়িতে পানি উঠেছে।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদের সামনেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক জলাবদ্ধতার কারণে নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলা সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
নগরীর বাসিন্দারা জানান, এক রাতের বৃষ্টিতে নগরীর অনেক এলাকায় পানি ঢুকেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং বর্ষণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব আহমদ বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরও ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিলেট মহানগরীতেও দুইটি আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার অবস্থান করছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, ধীরে কমছে নদীর পানি
ধীরগতিতে হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা
৫ মাস আগে
খুলনায় ভোটের আগে-পরে নগরীর নিরাপত্তায় ৩ হাজার পুলিশ
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে মহানগরীতে দায়িত্ব পালন করবে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে তথাকথিত হরতাল-অবরোধেও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল এবং এখনো স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ল্যাব এইড ক্লিনিক ভাঙচুর
শুক্রবার দুপুর ১২টায় খুলনা থানা কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, যদি ভোট দানে কেউ বাধা, প্রতিবন্ধকতা অথবা নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়, সেক্ষেত্রে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: নাটোরে লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগের সংঘর্ষে ৭ জন আহত
তিনি আরও বলেন, খুলনা মহানগরীতে সর্বমোট ৩১০টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন আরও সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসব মুখর পরিবেশে করার জন্য নির্বাচন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন থাকবে। অন্য সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মেট্রোপলিটন এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
১০ মাস আগে
সিলেট নগরীতে রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর রাস্তার পাশ থেকে এক রিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত রিকশা চালক নাম বাচ্চু মিয়া (৫৫) নরসিংদীর মাইজের চর এলাকার আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে। নগরীর বরইকান্দি ১ নাম্বার রোডের একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, বাচ্চু মিয়া প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি রিকশা চালিয়ে হুমায়ুন রশিদ চত্বরে আসলে চলন্ত অবস্থায় রিকশা থেকে পড়ে যান। এ সময় রিকশায় যাত্রী ছিল না। পরে পথচারীসহ স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশে সরিয়ে নিলে সেখানেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার
এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রিকশা চালক বাচ্চু মিয়া স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
১১ মাস আগে
হাঁটু পানিতে ভাসছে বরিশাল নগরী
টানা বর্ষণে বরিশাল নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি জমে যাওয়ায় জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
চলতি মাসের সাত দিন টানা বর্ষণের পর শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের দুই ঘণ্টার অতি ভারী বৃষ্টিপাতে নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলিও পানির নিচে রয়েছে। ভোগান্তি এড়াতে কর্মজীবী ও জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাইরে বের হননি।
এছাড়া, নগরীর নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ টিনের ঘর, অর্ধপাকা ও পাকা ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে থাকায় দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ সড়ক প্লাবিত হয়েছে। নগরীর বটতলা থেকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা সড়ক, বটতলা আদম আলী হাজির গলি, অক্সফোর্ড মিশন রোড, করিম কুটির, কলেজ এভিনিউ, গোরস্থান রোড, বগুড়া রোড, বিএম স্কুল সড়ক, রূপাতলী হাউজিং, ধান গবেষণা সড়কের খ্রিস্টান কলোনি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা কলোনি, পার্শ্ববর্তী শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টার, কালুশাহ সড়ক, কাজিপাড়া এবং কাউনিয়া এলাকার বেশ কিছু সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে
এ ছাড়া, বগুড়া রোড, বটতলা, কলেজ এভিনিউ ও গোরস্থান রোড এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানি বিরাজ করছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, চলতি মাসের সাত দিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বজ্রসহ অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই দুই ঘণ্টায় ৪৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
চলতি মাসে বরিশালে স্বাভাবিক ১৭৬ মিলিমিটারের স্থলে আবহাওয়া বিভাগ থেকে ১৬০-২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ১ অক্টোবর সকাল থেকে ৭ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবলভাবে মৌসুমি বায়ু এখনও সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে ভারী বা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
১ বছর আগে
বরিশালে শপথ গ্রহণের ৫ দিন আগে কাউন্সিলরের মৃত্যু
বরিশাল নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদার (৫৯) মৃত্যুবরণ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ব্রেইন স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকে চাচার সঙ্গে সাঁতার কাটতে নেমে ভাতিজার মৃত্যু
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় আসলে বুধবার ভোর ৬টার দিকে মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় বাসিন্দা ও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান জানান, শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশালের চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে অ্যাম্বুলেন্সে করে রওয়ানা দেন স্বজনরা। পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন জানিয়ে কামরুল আহসান বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন হওয়ার পূর্বে ১৯৯১ সালের বরিশাল পৌরসভার কমিশনার ছিলেন তিনি।
আর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ২০০৩ সাল থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একাধারে কমিশনার-কাউন্সিলর রয়েছেন তিনি। এ নিয়ে মোট ৬ বার তিনি নির্বাচিত কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির মৃত্যু
দিনাজপুরে বালতির পানিতে পড়ে ১৫ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
ঢাকাকে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রাজধানী ঢাকাকে আর কোনোভাবেই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরকে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অবাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করতে পারি না। সকল আর্থ-সামাজিক শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজন, জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও মৌলিক বিষয়গুলো এবারের ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, পেশাজীবী, পরিবেশবাদী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরসহ সকল পক্ষের সাথে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক আয়োজিত খসড়া বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একই সাথে ড্যাপ চূড়ান্ত করার পর তা বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, নগর পরিকল্পনাবিদ, আবাসন ব্যবসায়ী, স্থপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম।
এছাড়া, পরিকল্পনা তৈরির সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উচ্চপর্যায়ে নীতিমালার পরিকল্পনাগুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ঢাকাকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন, বসবাসযোগ্য করতে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব শহর তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পনায় অনেকগুলো বৃহত্তম, জলকেন্দ্রিক ও ইকো পার্ক, খেলার মাঠ বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ এবং রিং রোডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।আরও পড়ুন: করোনার মহাসংকটে শেখ হাসিনার কৌশল বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা কেউ সুউচ্চ ভবনের বিপক্ষে নই। এমনকি আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেও উঁচূ ভবনের পক্ষে। কিন্তু এটি করার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে ইউটিলিটি সার্ভিস, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্রসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, পাঁচ-সাত কাঠা জমির উপর উচু ভবন এবং যেগুলো নিয়ে অসামঞ্জস্য রয়েছে সেগুলো নিয়ে রিভিউ করা হবে। আর এ পরিমাণ জায়গাতে কতটুকু ভবন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। আমরা শহরটাকে বসবাসের অযোগ্য বানাতে পারি না।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, যে সব আবাসিক এলাকায় আগেই শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠেছে সেগুলো যদি পরিবেশবান্ধব হয়, জনমানুষের ভোগান্তির কারণ না হয় তাহলে সেই এলাকাকে মিশ্র এলাকা হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হবে। শুধু তাই নয় এসব এলাকায় অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী
তিনি বলেন, ড্যাপ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আজকের এই সেমিনারে সকল পক্ষের এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমরা বসবো এবং যৌক্তিক বিষয়গুলো অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসব পরামর্শ ও মতামত আমাদেরকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে এবং কাজ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের সকল গুণী মানুষের মেধা-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা অসম্ভব নয়।আরও পড়ুন: ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেন পরিকল্পনা করা সহজ। বাস্তবায়ন অনেক কঠিন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পরিকল্পনা করা খুব সহজ নয়। পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন দুটিই চ্যালেঞ্জিং কাজ। সবার হাতকে একত্র করতে পারলে সকল চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সম্ভব।তাজুল ইসলাম বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে তারা দেশকে নিয়ে ভাবেনি। তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা ছিল না। তাদের শাসনামলে দেশটাকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার জন্য ২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন।পরে, গাজীপুরের মেয়র বরখাস্ত হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে দলীয় সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি মেয়র পদে থাকবেন কি থাকবেন না সেটা আইন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম।গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন।এছাড়া, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা, ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দেশের শীর্ষস্থানীয় নগর পরিকল্পনাবিদ, আবাসন ব্যবসায়ী, স্থপতি, পরিবেশবিদ, প্রকৌশলী, এফবিসিসিআই সভাপতি সেমিনারে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
আবর্জনার স্তুপ থেকেই খাবার জোটে বৃদ্ধের
খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে যে নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলে যান, সেই আবর্জনার স্তুপকে ঘিরে জীবন সংগ্রামে চালিয়ে যাচ্ছেন রহমান নামের এক বৃদ্ধ।
৩ বছর আগে