সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও নগরীতে বাড়ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
রবিবার (২ জুন) রাত থেকে বৃষ্টির কারণে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত ১২ ঘণ্টায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ২২৮ জন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
সূত্র জানায়- অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সুরমার নদীর পানি বেড়ে ছড়া, খালগুলো দিয়ে নগরে ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। ফলে নগরীর উপশহর, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপার, কুশিঘাট, চালিবন্দর, কামালগড়, যতরপুর, সুবহানীঘাট, দক্ষিণ সুরমা, কাজিরবাজার, তেররতন, বরইকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে বাসা-বাড়িতে পানি উঠেছে।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদের সামনেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক জলাবদ্ধতার কারণে নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলা সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
নগরীর বাসিন্দারা জানান, এক রাতের বৃষ্টিতে নগরীর অনেক এলাকায় পানি ঢুকেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং বর্ষণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব আহমদ বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরও ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিলেট মহানগরীতেও দুইটি আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার অবস্থান করছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, ধীরে কমছে নদীর পানি