পুতিন
পুতিন কি রাজি হবেন এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে?
যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মতি দেওয়ার পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কী যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সুযোগটি কাজে লাগাবেন, নাকি প্রত্যাখ্যান করবেন?
সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। এরপরে রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানিয়েছেন, শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেনকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এরইমধ্যে ইউক্রেন এ প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, যদি রাশিয়াও শান্তির হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এতদিনের চলমান যুদ্ধ বন্ধ হতে খুব বেশি দেরি নেই। কিন্তু রাশিয়া যদি এ প্রস্তাব মেনে না নেয়, তাহলে শান্তি আলোচনায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে বলে মত দেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বিরতিতে রাশিয়ার রাজি হওয়া না-হওয়া বহুমুখী হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করছে।
চলতি বছর জানুয়ারি অবধি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে এসেছেন, কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগ্রহ তার নেই। যদি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতেই হয়, সেটি হতে হবে স্থায়ী সমাধান।
বর্তমানে যুদ্ধে অনেকটাই কোণঠাসা ইউক্রেন, রাশিয়ার সেনারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া পুতিন বারংবার বলেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। এই পরিস্তিতিতে পুতিন কি ট্রাম্পের মন রাখবেন, নাকি যুদ্ধ চালিয়ে ইউক্রেনে জয়ের পথেই হাঁটবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
মূলত, জানুয়ারির ২০ তারিখ ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একান্ত ফোনালাপ এবং এরপর একের পর এক রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিনিদের বৈঠকই চলমান যুদ্ধের আশু সুরাহার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন কূটনীতিবিদরা।
তবে রাশিয়ার পদক্ষেপ এখনও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা। সৌদিতে বৈঠকের পর বেশ কৌশলের সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য জানানো হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বলেই রাশিয়া এমন কৌশলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন, চলছে প্রস্তুতি
রুশ-মার্কিনিদের সাপে-নেউলের সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ট্রাম্প-পুতিন সখ্য কিন্তু বিশ্ব পাড়ায় মোটেই অজানা নয়। তবে এই সখ্যই সব নয়: এর বাইরে আছে ইউক্রেনের খনিজের প্রতি ট্রাম্পের চোখ আর কিয়েভের ভূমির ওপর পুতিনের লোভ।
শেষ কদিনের যুদ্ধে ভালোই এগিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর কুরুস্কের বেশিরভাগ এলাকা এখন রাশিয়ার দখলে। দর কষাকষিতে কুরুস্ককে নিজেদের হাতে রাখতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে দিনদিন তা কঠিন হয়ে উঠছে তার সৈন্যবাহিনীর জন্য।
আবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভেন্স এবং খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা ত্যাগের মতো ঘটনা এতদিন জেলেনস্কিকে ভালোই ভুগিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, শান্তি চুক্তির প্রতি যতদিন না আগ্রহ দেখাবে ইউক্রেন, ততদিন বন্ধ থাকবে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে জেলেনস্কির।
কিন্তু পুতিন কেন আপস করবে? বাইডেন প্রশাসনের সময়ে হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞার ভারেও নতজানু না হওয়া পুতিন কেন এত সহজে রাজি হবে যুদ্ধবিরতিতে?
এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি এস পেশকভের সাক্ষাৎকারে। পেশকভ জানিয়েছেন, জেদ্দার আলোচনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো। এখনি হলফ করে কিছু বলা না গেলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আরেক দফা ফোনালাপের পর রাশিয়া নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।
প্রথমবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে রাশিয়ার ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনের ভূমি নিয়ে ফয়সালা, কোনোভাবেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান করতে না দেওয়ার ওয়াদা এবং পূর্ব-মধ্য ইউরোপে ন্যাটোর হম্বিতম্বি কমিয়ে আনার ব্যাপারে পুতিন জোরালো দাবি তুলেছেন বলে জানা যায়।
চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আবারও পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন তিনি। বার্তাসংস্থা এপির নিশ্চিত করা এই তথ্য থেকেই চূড়ান্ত দর কষাকষির আভাস পাচ্ছেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।
এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার তার বক্তব্যে আভাস দিয়েছেন, এই চুক্তিতে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে। এতদিন ইউক্রেন ছাড় দিতে রাজি না থাকলেও এবার বাধ্য হয়েই আপসের পথে হাঁটতে হতে পারে দেশটি।
রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিয়া গ্রাশ্চিনেকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাদা চোখে এই চুক্তিতে কারও বিজয় হয়নি মনে হলেও রাশিয়া কৌশলগত বিজয় নিশ্চিত করেই চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেবে।’
রাশিয়া কৌশলগত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এ কথা উঠে এসেছে মস্কোর সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও। বলা হয়েছে, রুশ প্রতিনিধিরা জেদ্দায় না থাকলেও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জন র্যাটক্লিফ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রুশ প্রশাসনের সঙ্গে।
উপরন্তু ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গত মাসেও রাশিয়ায় পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন এবং আগামীতেও তার রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।
এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো তা হলো, এই পুরো আলোচনায় ইউরোপকে তোয়াক্কাই করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।
ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। ন্যাটো নিয়েও ট্রাম্প খুশি না; শপথ নিয়েই দাবি জানিয়েছেন ন্যাটোর বাজেট বাড়ানোর। আবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ওভালকাণ্ড: পুতিনের পৌষমাস, জেলেনস্কির সর্বনাশ!
এদিকে ডেনমার্কের থেকে গ্রিনল্যান্ড আদায় চেষ্টার ইস্যুতেও ইউরোপের সঙ্গে কয়েক দফা মন কষাকষি হয়েছে ট্রাম্পের। সব মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ভেঙে রাশিয়ামুখী হওয়াকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কংগ্রেস সদস্য ভালো চোখে না দেখলেও, এটাই এখন বাস্তব।
এই বাস্তবতার ভিতকে পুঁজি করেই রুশ কূটনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল শ্যারাপ বলেন, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে বর্তমানে মস্কোর সম্পর্ক যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যকার উষ্ণতার বিচার-বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে তা মস্কো মেনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
শুরুতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের পথ রচিত হলেও পরবর্তীতে হয়তো এই এক মাসের যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের সূচনা করবে এবং তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাতের অবসান হবে বলে মত আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।
৬ দিন আগে
ওভালকাণ্ড: পুতিনের পৌষমাস, জেলেনস্কির সর্বনাশ!
কারো পৌষমাস, কারো সর্বনাশ—বাংলা ভাষার অতি প্রচলিত এই প্রবাদটির অর্থ এই ভাষাভাষী মোটামুটি সবাই জানে, যার অর্থ— এক পক্ষ সমস্যায় পড়লে অন্য পক্ষের সুবিধা হওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির অপদস্ত হওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের স্বার্থ ব্যাখ্যায় এই প্রবাদটিই হয়ে উঠেছে অতি প্রাসঙ্গিক।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডায় জড়ান ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। ওই ঘটনার পর রুশ মিডিয়াগুলোকে নানাভাবে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
অবশ্য দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউক্রেন নিয়ে নিজের যে অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন ট্রাম্প, তাতে এরকম কিছু যে ঘটতে চলেছে—তা অনেকটাই ছিল অনুমেয়।
জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের এই বিবাদ রাশিয়ার জন্য আর্শীবাদ হয়ে এসেছে। একদিকে, এতদিন ধরে যে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনে ও সামরিক সহায়তায় ইউক্রেন দেশটির আক্রমণ প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা করে আসছিল, ইউক্রেনের মাথা ওপর থেকে সহায়তার সেই হাত সরে গিয়েছে। অন্যদিকে, খনিজ চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বাগিয়ে নিতে কিয়েভের যে আশার প্রদীপ নিভু নিভু করে হলেও জ্বলছিল, তাও নিভে গেছে দপ করে।
আরও পড়ুন: মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন, চলছে প্রস্তুতি
তাই রাশিয়া এবং দেশটির গণমাধ্যগুলো ট্রাম্পের প্রশংসায় হয়ে উঠেছে পঞ্চমুখ, ট্রাম্পের মাধ্যমে তারাই যেন এক হাত নিয়েছে জেলেনস্কিকে!
ট্রাম্প–জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই উন্মাদের (জেলেনস্কি) মুখের ওপর একদম সত্যি কথা বলেছেন যে, কিয়েভের শাসনকাঠামো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে খেলছে।’
ট্রাম্পের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) ঠিক কাজই করেছেন। তবে এটিই যথেষ্ট নয়, কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়াও বন্ধ করতে হবে।’
ইউক্রেনের মিত্র দেশ পোল্যান্ড, ফ্রান্স ও ব্রিটেন সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফর করায় বেশ খানিকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল মস্কো।
ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প ইউক্রেনে ইউরোপের শান্তিরক্ষীদের সহায়তা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন; এতে চিন্তা বাড়ছিল মস্কোতে। তবে শুক্রবারের ওভাল অফিসে যে কাণ্ড হলো, তাতে নিশ্চয়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ক্রেমলিন।
ওভাল অফিসের ঘটনার পর রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘ট্রাম্প ও ভ্যান্স যেভাবে এই জঘন্য ব্যক্তিকে (জেলেনস্কি) আঘাত করা থেকে নিজেদের বিরত রাখলেন, সেটি সংযম প্রদর্শনের এক অলৌকিক ঘটনা।’
এ ঘটনায় ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে কিছু না বললেও রুশ প্রেসিডেন্ট যে খুশি হয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছে, ‘নিঃসন্দেহে প্রেসিডেন্ট এই তামাশা উপভোগ করেছেন। তিনি এখন ইউক্রেন থেকে আরও বেশি কিছু দাবি করতে পারেন বলে বিশ্বাস করেন।’
এছাড়া ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন ফোনালাপ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ওই সূত্র। ফোনালাপে (ইউক্রেনের ক্ষমতায়) জেলেনস্কির বিকল্প নিয়ে কথা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক: শূন্যহাতে ফিরলেও প্রশংসায় ভাসছেন জেলেনস্কি
সম্প্রতি জেলেনস্কির ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার বৈধতা নিয়ে একই সুরে কথা বলতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে।
মূলত জেলেনস্কিকে সরিয়ে রুশ-সমর্থিত কাউকে ইউক্রেনের মসনদে বসানোর বাসনা পুতিনের নতুন নয়। বেশ আগে থেকেই তিনি এই ইচ্ছার কথা জানিয়ে এসেছেন। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রই এই ধারণার অন্যতম প্রধান বিরোধী হিসেবে ভূমিকা পালন করলেও আশ্চর্যজনকভাবে এবার পুতিনের সুরে সুর মেলাতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে শিগগিরই আলোচনার টেবিলে বসতে জেলেনস্কিকে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।
সে সময় জেলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত স্বৈরশাসক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘শান্তি নিশ্চিত করতে হয় তাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, অথবা তার দেশকে হারানোর ঝুঁকি নিতে হবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে ট্রাম্প আগেই যেহেতু প্রশ্ন তুলেছেন, তাই শুক্রবারের ঘটনা পুতিনকে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে অব্যশই সুবিধা দেবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্য অ্যালেক্সি পুশকভ এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, হোয়াইট হাউসও এখন জেলেনস্কিকে সরিয়ে ইউক্রেনের ক্ষমতায় নতুন কাউকে বসানো নিয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করবে বলে তার বিশ্বাস।
তবে ট্রাম্প-জেলেনস্কি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়কেই চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে না দেখে রাশিয়াকে কৌশলের সঙ্গে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক ফিওদর লুকানভ। ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত স্বভাবের কারণে তিনি এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ভর্ৎসনার শিকার হওয়ার পর যুক্তরাজ্যে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র সহায়তার হাত সরিয়ে নিলেও ইউক্রেনকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।
এর আগে, জেলেনস্কির প্রশংসা করে এক এক্স পোস্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন লিখেছিলেন, ‘আপনার এই ব্যক্তিত্ব ইউক্রেনের জনগণের সাহসিকতাকে সম্মানিত করেছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে রাজকীয় অভ্যর্থনা ও পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন জেলেনস্কি
জেলেনস্কিকে সাহসী ও নির্ভীক থাকতে অনুপ্রেরণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি একা নন, আমরা রয়েছি আপনার পাশে।’
তবে শুধু আশ্বাস নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় এখন ইউরোপ কিয়েভকে ঠিক কতটা সহায়তা দেবে কিংবা ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে কি না—এর ওপর নির্ভর করছে ইউক্রেনের ভাগ্য।
অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপের হাত ধরে ইউক্রেন জয় পাবে না কি যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেন জয় করবে রাশিয়া—তা-ই এখন দেখার অপেক্ষা।
১৭ দিন আগে
যুদ্ধ বন্ধে এক টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্যতা বিশ্ব রাজনীতিতে সর্বজনবিদিত। এই সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এক দিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব—নির্বাচনী প্রচারণায় এমন কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। শপথের পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকেও ট্রাম্পও বলেন, পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের আয়োজন চলছে।
তবে কখন এই বৈঠক হবে, সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। ফ্লোরিডায় মার-আ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি (পুতিন) বসতে চেয়েছেন, আমরা আয়োজন করছি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা দেশগুলো ঠেকাতে পারবে না: পুতিন
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত এবং আগ্রহীও বটে পুতিন। আলোচনার টেবিলে বসতে কোনো ধরণের শর্ত আরোপ করা হবে না। এটি হবে নিঃশর্ত এবং পরিচ্ছন্ন আলোচনা।’
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ জানুয়ারি শপথের পর পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প। সেখানে মস্কো-কিয়েভ সংঘাত নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করা হবে।
সমস্যা সমাধানে পুতিন আগ্রহী জানিয়ে পেশকভ বলেন, দুপক্ষের সদিচ্ছাই এ আলোচনা হবে। পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলমান সমস্যা নিরসনের পথ বের হয়ে আসবে।
এর আগে চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, শপথের ৬ মাসের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভকে শান্তি চুক্তিতে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কিলোগ বলেন, ১০০ দিনের একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব হবে।
যদিও কোন প্রক্রিয়ায় যুদ্ধ বন্ধ হবে—তেমন কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি ট্রাম্প। এদিকে পুতিনের ভাষ্য, রাশিয়ার দখল করা ভূমি থেকে ইউক্রেন নিজেদের বাহিনী সরিয়ে নিলে ও ন্যাটো যুদ্ধে প্রভাব খাটানো বন্ধ করলে ত্বরিৎ গতিতে সমাধান সম্ভব।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ‘প্রস্তুত’ পুতিন
৬৮ দিন আগে
ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
ক্রেমলিনের প্রধান শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা ক্ষোভের প্রতি কান দিচ্ছেন না। কারণ তিনি আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তার ২৪ বছরের শাসনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং রাশিয়াজুড়ে পুলিশ যেকোনো প্রতিবাদ প্রচেষ্টা দমন করছে।
নাভালনির মৃত্যু ও ইউক্রেনে ক্রেমলিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা কংগ্রেসে আটকে রয়েছে এবং ইউরোপে ন্যাটো মিত্ররা শূন্যস্থান পূরণের জন্য লড়াই করছে। তাই অনেকে ভাবছেন যে পশ্চিমারা ক্রেমলিনের নির্মম নেতাকে থামাতে আসলে কী করতে পারবে? কারণ এর আগে একাধিক বার তাকে শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
লন্ডনভিত্তিক মায়াক ইন্টেলিজেন্স কনসালটেন্সি ফার্মের প্রধান মার্ক গালিওটি ইউটিউব মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো বড় মূল্য নেই।’ কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশগুলোর একটি দেশ হলো রাশিয়া।
গালিওত্তি বলেন, এর পরিবর্তে পশ্চিমাদের উচিত নাভালনির মিত্রদের সঙ্গে কাজ করা এবং ক্রেমলিনের প্রচারণা মোকাবিলায় সাধারণ রুশদের তথ্য চ্যানেলে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করা।
নাভালনির মৃত্যুকে পুতিনের 'হাইব্রিড কর্তৃত্ববাদ' থেকে 'নৃশংস ও ধ্বংসাত্মক স্বৈরতন্ত্র'তে রূপান্তরের আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন গালিওত্তি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্ররা ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোরদার করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যেখানে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী চার মাসের ভয়াবহ লড়াইয়ের পরে ইউক্রেনীয় সেনাদের মূল পূর্বাঞ্চলীয় শক্ত ঘাঁটি আভদিভকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। মিত্ররা রাশিয়ার কাছে যুদ্ধের ব্যয় বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে যাতে পুতিনকে পিছু হটতে বাধ্য করা যায়।
তবে ৭১ বছর বয়সী নেতা তার কোনো অর্জন ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গত সপ্তাহে ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক টাকার কার্লসনের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পশ্চিমারা তার শর্তে 'আজ হোক বা কাল হোক' কোনো না কোনো চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে বাধ্য হবে।
বেলারুশে সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ও লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের রাশিয়া ও ইউরেশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ফেলো নাইজেল গোল্ড-ডেভিস বলেন, নাভালনির মৃত্যু পুতিনের 'সম্পূর্ণ নির্মমতা ও অবজ্ঞা... পশ্চিমা ও আন্তর্জাতিক উভয় পরিপ্রেক্ষিতে।’
শুক্রবার মিউনিখে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে পশ্চিমা নেতারা জড়ো হওয়ার পর নাভালনির মৃত্যুর ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
গোল্ড-ডেভিস বলেন, পুতিন ‘পশ্চিমাদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আমরা যখন (ইউক্রেন) যুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে আছি, তিনি আবারও পশ্চিমা সংকল্পের পরীক্ষা নিচ্ছেন।’
গোল্ড-ডেভিস বলেন, নাভালনির মৃত্যু কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার বিরোধিতা করা মার্কিন রিপাবলিকানদের জন্য "জেগে ওঠার আহ্বান" হিসেবে কাজ করা উচিত। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ন্যাটো মিত্রদের ইউক্রেনকে তাদের সহায়তা জোরদার করতে উৎসাহিত করা উচিত।
তিনি বলেন, 'শেষ পর্যন্ত এটা নির্ভর করছে পশ্চিমারা কী শিক্ষা নেয় তার ওপর।’
কিন্তু নাভালনির মৃত্যু শুক্রবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারকে ইউক্রেনের জন্য প্রস্তাবিত ৬১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিতে উদ্বুদ্ধ করেনি, যা ইউক্রেনের বিজয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সোভিয়েত একনায়ক জোসেফ স্ট্যালিনের পর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রুশ নেতা পুতিন ক্রেমলিনবান্ধব দলগুলোর মনোনীত তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। আরও ছয় বছরের জন্য ক্ষমতায় আসছেন তিনি। উদারপন্থী রাজনীতিবিদ বরিস নাদেজদিন, যিনি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানকে তার প্রধান নির্বাচনি স্লোগান বানিয়েছিলেন, নির্বাচনি কর্মকর্তারা তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করেছিলেন।
‘নির্বাচনে পুতিনের জয় নিয়ে সংশয় না থাকলেও নাভালনির মৃত্যু প্রমাণ করে 'তিনি নাভালনিকে কতটা হুমকি হিসেবে দেখছেন', বলেন গোল্ড-ডেভিস।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেমলিন এখন পর্যন্ত যেভাবে নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছে তাতে বোঝা যায় যে তারা আত্মবিশ্বাসী নয়। এমনকি কারাগার থেকেও নাভালনি তার কণ্ঠস্বর বের করতে সক্ষম হয়েছেন।’
গোল্ড-ডেভিস বলেন, ১৫-১৭ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নাভালনির মৃত্যু সম্ভবত ভোটের আগে 'রাশিয়ার বিরোধীদের যেকোনো চিহ্নকে মুছে ফেলা ও চূর্ণ করার চূড়ান্ত কাজ' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।
কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ফেলো তাতিয়ানা স্তানোভায়া বলেন, আগামী মাসে নিশ্চিত বিজয় সত্ত্বেও পুতিন এখনও নির্বাচনে পশ্চিমা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন এবং নাভালনিকে 'জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার জন্য পশ্চিমাদের দ্বারা চালিত প্রতিপক্ষ' হিসেবে দেখেন।
একটি মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেন যে পশ্চিমারা স্থিতিশীলতা হ্রাস করতে এবং তার প্রচারের রাজনৈতিক ক্ষতি করতে এই মুহূর্তটি ব্যবহার করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি তাকে যেকোনো প্রতিকূল প্রকাশের বিরুদ্ধে আরও কঠোর, আরও দমনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে বাধ্য করবে, যা তিনি এসব হস্তক্ষেপের বহিরাগত প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। এটি বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে।’
৪৭ বছর বয়সি নাভালনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুতিনের জন্য বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ২০১১-২০১২ সালে মস্কোতে পুতিনের শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সরকারের দুর্নীতি উন্মোচন করার জন্য সফল প্রচার চালিয়েছিলেন।
গালেওত্তি বলেন, অনেক রুশ নাগরিকের কাছে নাভালনি ছিলেন আশার প্রতীক। এমনকি প্রত্যন্ত আর্কটিক কারাগার থেকেও “ভবিষ্যতের সুন্দর রাশিয়ার” একটি দর্শন পৌঁছে দিয়েছিলেন। রাশিয়ানদের প্রতি ক্রেমলিনের বার্তা "কেবল বেঁচে থাকুন, কেবল আপনার মাথা নিচু রাখুন” অগ্রাহ্য করে এটি একটি স্লোগান ছিল।
২০২০ সালে নাভালনি সাইবেরিয়ায় নার্ভ এজেন্টের বিষক্রিয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন, যার জন্য তিনি ক্রেমলিনকে দায়ী করেছিলেন। তিনি জার্মানিতে সুস্থ হয়ে উঠলেও ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেশে ফেরার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি কারাগারে ছিলেন, চরমপন্থার অভিযোগে তিনবার দোষী সাব্যস্ত হন এবং ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওেয়া হয় তাকে।
নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে পুতিন কোনো মন্তব্য করেননি এবং ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ক্রেমলিনকে দায়ী করে পশ্চিমা নেতাদের বিবৃতিকে 'জঘন্য ও অগ্রহণযোগ্য' বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কিন্তু পশ্চিমা নেতারা ক্রেমলিনের এ ধরনের যেকোনো মন্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। যেমন সন্দেহের চোখে দেখছেন ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে সৈন্যদের সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহের দুই মাস পর ভাড়াটে সেনাপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার বিষয়টি। গত আগস্টের এই দুর্ঘটনাকে ব্যাপকভাবে বিদ্রোহের জন্য ক্রেমলিনের প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হয়েছিল। ২০০০ সালে তার প্রথম নির্বাচনের পর থেকে পুতিনের শাসনের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল এটি।
গোল্ড-ডেভিস বলেন, ‘প্রিগোজিনের মৃত্যুর মতোই নাভালনির মৃত্যুও প্রমাণ করে পুতিন কত নির্মম।’
৩৯৫ দিন আগে
ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিতে প্রস্তুত, পুতিনের জন্য ধাক্কা
ফিনল্যান্ড ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিয়েছে। যা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের ফলে মহাদেশের ঐতিহাসিক পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাশিয়াকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে।
মঙ্গলবার নথি হস্তান্তরের মাধ্যমে নর্ডিক জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা জোটে প্রবেশ করেছে।এতে রাশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত দ্বিগুণ হয়েছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ ইউরোপের নিরাপত্তা ভৌগলিক একটি বড় পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েতদের কাছে পরাজয়ের পর দেশটি নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে আগ্রাসন মস্কোর প্রতিবেশীদের মধ্যে ভয়ের কাঁপুনি ওঠার কয়েক মাস পর দেশটির নেতারা জোটে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যতদিন দরকার ততদিন সাহায্য করবে ন্যাটো
এই পদক্ষেপটি পুতিনের জন্য একটি কৌশলগত এবং রাজনৈতিক আঘাত। দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবং আংশিকভাবে এটিকে আক্রমণের ন্যায্যতা হিসাবে ব্যবহার করেছেন। জোট বলেছে যে তারা মস্কোর জন্য কোনো হুমকি নয়।
রাশিয়া সতর্ক করেছে যে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় এটিকে ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য করা হবে। এটি সতর্ক করেছে যে এটি ফিনল্যান্ডের কাছে বাহিনীকে শক্তিশালী করবে যদি ন্যাটো তার ৩১তম সদস্য দেশটিতে অতিরিক্ত সেনা বা সরঞ্জাম পাঠায়।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জোট এড়িয়ে যাওয়া প্রতিবেশী দেশ সুইডেনও আবেদন করেছে। কিন্তু ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ও হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে প্রক্রিয়াটি আটকে আছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ আনুষ্ঠানিক হয়ে ওঠে যখন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে তার যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নথি হস্তান্তর করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট হলো সদস্যপদ সংক্রান্ত ন্যাটো পাঠ্যের ভান্ডার।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
৭১৫ দিন আগে
বিতর্ক এড়াতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন
আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রুপ অব ২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে তার যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে সম্ভাব্য মুখোমুখি অবস্থা এড়াতে তার এই সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
জানা গেছে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বালিতে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও অন্যান্য বিশ্ব নেতারা। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এই প্রথম বাইডেন ও পুতিন কোনও সমাবেশে একসঙ্গে মিলিত হবেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
জি-২০ আয়োজনের প্রধান লুহুত বিনসার পান্দজাইতান ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসারে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
পান্ডজাইতান বলেন, ‘ইন্দোনেশীয় সরকার রাশিয়ান সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই এর আগে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে একটি খুব বন্ধুত্বপূর্ণ টেলিফোন কথোপকথনে ব্যাখ্যা করেছিলেন।’
বাইডেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি যদি এই সম্মেলনে যোগ দিতেন, তাহলে তিনি রুশ নেতার সঙ্গে একমাত্র আলোচনা করতে পারতেন, তা হবে রাশিয়ায় কারাবন্দী আমেরিকানদের মুক্ত করার চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন যদি ব্যক্তিগতভাবে বা ভার্চুয়ালি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা বৈশ্বিক সমকক্ষদের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। তারা বয়কট বা অন্যান্য নিন্দা প্রদর্শন নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অনুশোচনা নেই পুতিনের
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
৮৬১ দিন আগে
জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে এক সপ্তাহে তিনটি দেশ সফর করবেন। তিনি একটি সম্মেলনের চতুর্থভাগে যোগ দেবেন। এসময় তিনি সম্ভাব্যভাবে চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের শুক্রবার জানিয়েছেন, বাইডেন দক্ষিণ-পূর্বের ইউএস-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কম্বোডিয়ার নমপেনে যাওয়ার আগে ১১ নভেম্বর প্রথম কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য মিশরের শার্ম আল-শেখ যাবেন। পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এরপর তিনি বিশ্বের বেশিরভাগ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের নেতাদের একটি সমাবেশ গ্রুপ অব-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরে প্রেসিডেন্টের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হবে। যেটি নির্ধারণ করবে কোন দল হাউস এবং সিনেট নিয়ন্ত্রণ করবে।
বাইডেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একইসঙ্গে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গেও তিনি মিলিত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ায় জিতলেন জো বাইডেন
তবে পুতিন, শি এবং এমবিএস এখনও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি।
বাইডেন এবং শি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে একসঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন যখন উভয়ই ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন৷ কিন্তু মার্কিন ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে৷
যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের কণ্ঠস্বর রোধ করা, জবরদস্তিমূলক বাণিজ্যের অনুশীলন, গণতান্ত্রিক, স্বশাসিত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক উস্কানি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আট মাস ধরে চলমান যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিচারের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শির সরকার তাইওয়ানের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতির সমালোচনা করেছে। এবং বেইজিং শেষ পর্যন্ত চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করার নামান্তর উল্লেখ করে তাইওয়ানকে কমিউনিস্ট মূল ভূখণ্ড চীনের সঙ্গে একত্রিত করতে উৎসাহিত করেছে।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে মার্কিন ও চীনের কর্মকর্তারা নেতাদের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। তবে এটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
বুধবার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বাইডেন ‘চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান তীব্র প্রতিযোগিতা পরিচালনা করার দায়িত্ব’-এর ওপর জোর দিয়েছিলেন।
বাইডেন বলেন, ‘যেমনটি আমি বলেছি, আমাদের যে সামরিক সুবিধা তা আমাদের অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তবে আমরা এটি স্পষ্ট করছি যে আমরা সংঘাত চাই না।’
বাইডেন পুতিন বা এমবিএসের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংগঠিত করেছে। যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত ইউক্রেন ও এর প্রতিবেশীদের সহায়তার জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করার কয়েক মাস আগে বাইডেন এবং পুতিন ২০২১ সালের জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন। তারা ফেব্রুয়ারিতে ফোনে শেষ কথা বলেছিল, বাইডেন পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে রাশিয়া আক্রমণের জন্য অগ্রসর হলে ‘গুরুতর মূল্যের’ সম্মুখীন হবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন যে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন ওপেক + জোট তেল উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরে সৌদি আরবের জন্য ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে। হোয়াইট হাউস আরও বলেছে যে এটি তেল উৎপাদন হ্রাসের আলোকে রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করছে যে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন যে রাশিয়া, অপর ওপেক + সদস্য, ইউক্রেনে প্রায় আট মাসের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়াকে সাহায্য করবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন লিডারদের বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আলাদাভাবে ভ্রমণ করবেন। তারপরে ফিলিপাইনের ম্যানিলা যাবেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা 'বিব্রতকর': জো বাইডেন
প্রথমেই যেসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন
৮৭৩ দিন আগে
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অনুশোচনা নেই পুতিনের
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য পাঠানো সেনাদের একত্রিকরণের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, এর ফলে অজনপ্রিয় ও বিশৃঙ্খল অবস্থার অবসান হবে।
ক্রমবর্ধমান উন্নত পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় পুতিন রাশিয়ার অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও সামরিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারপরও শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সংঘাত শুরু করার জন্য অনুশোচনা করেন না এবং প্রায় আট মাস আগে যখন তিনি রুশ সৈন্যদের আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন তিনি ইউক্রেনকে ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
কাজাখস্তানের রাজধানীতে কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার পর তিনি বলেন, ‘আজ যা ঘটছে তা অপ্রীতিকর, বাস্তবতা আরও খারাপ। কিন্তু আমাদের জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতিতে এই সবকিছু একটু পরেই হত, এইতো।’
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
গত মাসে পুতিন যে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে অবৈধভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ড বলে দাবি করেছিলেন তার মধ্যে একটিতে রাশিয়ার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে এর অসুবিধাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রগতির আশঙ্কায় খেরসন অঞ্চলে মস্কো নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি পুতিনের নিজস্ব সমর্থকদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রেমলিনের যুদ্ধ পরিচালনা ও সৈন্য একত্রিকরণের সমালোচনা করেছেন। রাশিয়ার পক্ষে মোড় ঘুরিয়ে দিতে আরও কিছু করার জন্য তার ওপর চাপ বাড়ছে।
সৈন্য একত্রিকরণ সম্পর্কে পুতিন বলেন যে গত মাসে তিনি যে পদক্ষেপের আদেশ দিয়েছিলেন তাতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে তিন লাখের মধ্যে দুই লাখ ২২ হাজার সৈন্য নিবন্ধিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে মোট ৩৩ হাজার জন সামরিক ইউনিটে যোগ দেয় এবং ১৬ হাজার জনকে যুদ্ধের জন্য মোতায়েন করা হয়।
পুতিন এক হাজার ১০০ কিলোমিটার ফ্রন্ট লাইনে লড়াইকে জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণ মস্কোর সামরিক প্রতিপত্তিতে ব্যাহত করছে। একটি দেশে ৬৫ বছরের কম বয়সী প্রায় সকল পুরুষই সংরক্ষিত হিসেবে নিবন্ধিত। যেখানে কে খসড়া তালিকার জন্য যোগ্য তা নিয়ে বিভ্রান্তির সঙ্গে সৈন্য একত্রিকরণ শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ে।
আদেশটির বিরোধিতা বেশ শক্তিশালী ছিল। এতে হাজার হাজার পুরুষ রাশিয়া ছেড়ে চলে যায় এবং অন্যরা রাস্তায় প্রতিবাদ করে। সমালোচকরা সন্দেহ করেন যে খসড়া তালিকাটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।
১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী পুরুষদের জন্য রাশিয়ার বছরের শেষ অংশে খসড়া চলাকালীন তালিকাভুক্ত অফিসগুলোকে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া করার অনুমতি দেয়ার জন্য তারা শুধুমাত্র একটি বিরতির পূর্বাভাস দিয়েছে। যা ১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
অধিগ্রহণ করা অঞ্চলগুলোকে রক্ষায় সব উপায় ব্যবহার করবে রাশিয়া: পুতিন
৮৮৬ দিন আগে
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এ কাজ ঘটিয়েছে উল্লেখ করে একে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন।
রুশ বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট হিসেবে পরিচিত ক্রিমিয়া সেতু বা কের্চ সেতুতে শনিবার একটি ট্রাক বিস্ফোরণে এর কিছু অংশ নদীতে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সেতুতে সড়ক ও রেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়ার তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় রবিবার পুতিন বলেছেন, ‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে এটি রাশিয়ান ফেডারেশনের সমালোচনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি সন্ত্রাসী কাজ ছিল। এবং যারা এটির আদেশ দিয়েছেন তারা ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর সদস্য।’
ব্যাস্ট্রিকিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এবং রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা এই হামলায় অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
ব্যাস্ট্রিকিন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ট্রাকের রুট স্থাপন করেছি, এটি বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, উত্তর ওসেটিয়া এবং দক্ষিণ রাশিয়ার একটি অঞ্চল ক্রাসনোদর পর্যন্ত ছিল।’
এদিকে কিয়েভে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক পুতিনের অভিযোগকে ‘রাশিয়ার জন্যও খুব নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুতিন ইউক্রেনকে সন্ত্রাসবাদের জন্য অভিযুক্ত করেছেন? এখনও ২৪ ঘণ্টা হয়নি যেখানে রাশিয়ার বিমানগুলো জাপোরিঝিয়ায় একটি আবাসিক এলাকায় ১২টি রকেট নিক্ষেপ করেছে, এতে ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এটি একমাত্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী এবং সারা বিশ্ব জানে সে কে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
ইউক্রেনের ৪টি অঞ্চলে গণভোটের বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো
৮৯২ দিন আগে
অধিগ্রহণ করা অঞ্চলগুলোকে রক্ষায় সব উপায় ব্যবহার করবে রাশিয়া: পুতিন
আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ক্রেমলিনের সেন্ট জর্জ হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলকে অধিগ্রহণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেনসহ গোটা পশ্চি দুনিয়া রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে।
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণ করার চুক্তি-সাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে দেয়া এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এ অঞ্চলগুলোকে অধিগ্রহণ করতে এক আইনে সাক্ষর করবেন এবং নতুন অধিগ্রহণ করা এই অঞ্চলগুলোক রক্ষায় ‘সমস্ত সম্ভাব্য উপায়’ ব্যবহার করবেন তিনি।
বক্তব্যে পুতিন সতর্ক করে বলেন, তার দেশ কখনই অধিগ্রহণ করা এলাকা ছেড়ে দেবে না এবং তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে এগুলোকে তারা রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় স্কুলে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩, আহত ২১
এসময় তিনি ইউক্রেনকে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি অধিগ্রহণ করা অঞ্চল সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা জানান।
রাশিয়াকে ‘উপনিবেশ’ ও ‘দাসত্বে’ পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শত্রুতা বৃদ্ধিতে ইন্ধন দেয়ার জন্য পশ্চিমাদেরকে তিনি অভিযুক্ত করেন।
রাশিয়ায় যোগদানের বিষয়ে ক্রেমলিনের করা ‘গণভোট’ শেষ হওয়ার তিন দিন পরেই এ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হয়।
যদিও কিয়েভ ও পশ্চিমারা এটিকে বন্দুকের মুখে অনুষ্ঠিত এবং মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত নির্লজ্জভাবে জমি দখল হিসেবে আখ্যায়িত করে পুতিনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে।
সাত মাস ধরে তীব্র যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে যোগদানের জন্য পুতিন ওইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের প্রধানদের চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান হলো।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণ করার কয়েক সপ্তাহ পর ২০১৪ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলগুলো মস্কোর সমর্থন পেয়ে আসছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর পরই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া দখল করে রাশিয়া।
ক্রেমলিন-নিয়ন্ত্রিত রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ আগামী সপ্তাহে রাশিয়ায় যোগদানের জন্য অঞ্চলগুলোর চুক্তিগুলোকে চূড়ান্ত করার জন্য বৈঠক করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পুতিনের কাছে পাঠাবে।
রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের কথা উল্লেখ করে পুতিন এবং তার লেফটেন্যান্টরা এ অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে কোনো রকম আক্রমণ করার ব্যাপারে ইউক্রেনকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন।
তারা বলেছেন যে রাশিয়া এটিকে তার সার্বভৌম ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখবে এবং প্রতিশোধের জন্য ‘সমস্ত সম্ভাব্য উপায়’ ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না।
লুহানস্ক ও খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ, ডোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় ৬০ ভাগ এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি বড় অংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন যে মস্কোর লক্ষ্য সম্পূর্ণ ডোনেৎস্ক অঞ্চলকে ‘মুক্ত করা’।
ইউক্রেনের এই অঞ্চলগুলো অধিগ্রহণ করার ঘোষণার মধ্য দিয়ে জন্য গত সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধের একটি বিপজ্জনক নতুন পর্বের সূচনা হলো বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
রাশিয়া শুক্রবারও ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র,রকেট ও আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে। এমনকি একটি হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্রেমলিন শুক্রবার তার নির্ধারিত অধিগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে ইউক্রেনকে আরেকটি সতর্কবাণী দিয়েছে।
যাতে বলা হয়েছে, ওই চারটি অঞ্চল ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ইউক্রেনের লড়াই করা উচিত নয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মস্কো দখলকৃত ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলাকে দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখবে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ইতালিতে ভোট: ঐতিহাসিক জয়ের পথে কট্টর ডানপন্থী মোলোনি
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত
৯০১ দিন আগে