পুতিন
ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
ক্রেমলিনের প্রধান শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা ক্ষোভের প্রতি কান দিচ্ছেন না। কারণ তিনি আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তার ২৪ বছরের শাসনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং রাশিয়াজুড়ে পুলিশ যেকোনো প্রতিবাদ প্রচেষ্টা দমন করছে।
নাভালনির মৃত্যু ও ইউক্রেনে ক্রেমলিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা কংগ্রেসে আটকে রয়েছে এবং ইউরোপে ন্যাটো মিত্ররা শূন্যস্থান পূরণের জন্য লড়াই করছে। তাই অনেকে ভাবছেন যে পশ্চিমারা ক্রেমলিনের নির্মম নেতাকে থামাতে আসলে কী করতে পারবে? কারণ এর আগে একাধিক বার তাকে শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
লন্ডনভিত্তিক মায়াক ইন্টেলিজেন্স কনসালটেন্সি ফার্মের প্রধান মার্ক গালিওটি ইউটিউব মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো বড় মূল্য নেই।’ কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশগুলোর একটি দেশ হলো রাশিয়া।
গালিওত্তি বলেন, এর পরিবর্তে পশ্চিমাদের উচিত নাভালনির মিত্রদের সঙ্গে কাজ করা এবং ক্রেমলিনের প্রচারণা মোকাবিলায় সাধারণ রুশদের তথ্য চ্যানেলে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করা।
নাভালনির মৃত্যুকে পুতিনের 'হাইব্রিড কর্তৃত্ববাদ' থেকে 'নৃশংস ও ধ্বংসাত্মক স্বৈরতন্ত্র'তে রূপান্তরের আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন গালিওত্তি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্ররা ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোরদার করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যেখানে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী চার মাসের ভয়াবহ লড়াইয়ের পরে ইউক্রেনীয় সেনাদের মূল পূর্বাঞ্চলীয় শক্ত ঘাঁটি আভদিভকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। মিত্ররা রাশিয়ার কাছে যুদ্ধের ব্যয় বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে যাতে পুতিনকে পিছু হটতে বাধ্য করা যায়।
তবে ৭১ বছর বয়সী নেতা তার কোনো অর্জন ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গত সপ্তাহে ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক টাকার কার্লসনের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পশ্চিমারা তার শর্তে 'আজ হোক বা কাল হোক' কোনো না কোনো চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে বাধ্য হবে।
বেলারুশে সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ও লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের রাশিয়া ও ইউরেশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ফেলো নাইজেল গোল্ড-ডেভিস বলেন, নাভালনির মৃত্যু পুতিনের 'সম্পূর্ণ নির্মমতা ও অবজ্ঞা... পশ্চিমা ও আন্তর্জাতিক উভয় পরিপ্রেক্ষিতে।’
শুক্রবার মিউনিখে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে পশ্চিমা নেতারা জড়ো হওয়ার পর নাভালনির মৃত্যুর ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
গোল্ড-ডেভিস বলেন, পুতিন ‘পশ্চিমাদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আমরা যখন (ইউক্রেন) যুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে আছি, তিনি আবারও পশ্চিমা সংকল্পের পরীক্ষা নিচ্ছেন।’
গোল্ড-ডেভিস বলেন, নাভালনির মৃত্যু কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার বিরোধিতা করা মার্কিন রিপাবলিকানদের জন্য "জেগে ওঠার আহ্বান" হিসেবে কাজ করা উচিত। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ন্যাটো মিত্রদের ইউক্রেনকে তাদের সহায়তা জোরদার করতে উৎসাহিত করা উচিত।
তিনি বলেন, 'শেষ পর্যন্ত এটা নির্ভর করছে পশ্চিমারা কী শিক্ষা নেয় তার ওপর।’
কিন্তু নাভালনির মৃত্যু শুক্রবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারকে ইউক্রেনের জন্য প্রস্তাবিত ৬১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিতে উদ্বুদ্ধ করেনি, যা ইউক্রেনের বিজয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সোভিয়েত একনায়ক জোসেফ স্ট্যালিনের পর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রুশ নেতা পুতিন ক্রেমলিনবান্ধব দলগুলোর মনোনীত তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। আরও ছয় বছরের জন্য ক্ষমতায় আসছেন তিনি। উদারপন্থী রাজনীতিবিদ বরিস নাদেজদিন, যিনি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানকে তার প্রধান নির্বাচনি স্লোগান বানিয়েছিলেন, নির্বাচনি কর্মকর্তারা তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করেছিলেন।
‘নির্বাচনে পুতিনের জয় নিয়ে সংশয় না থাকলেও নাভালনির মৃত্যু প্রমাণ করে 'তিনি নাভালনিকে কতটা হুমকি হিসেবে দেখছেন', বলেন গোল্ড-ডেভিস।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেমলিন এখন পর্যন্ত যেভাবে নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছে তাতে বোঝা যায় যে তারা আত্মবিশ্বাসী নয়। এমনকি কারাগার থেকেও নাভালনি তার কণ্ঠস্বর বের করতে সক্ষম হয়েছেন।’
গোল্ড-ডেভিস বলেন, ১৫-১৭ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নাভালনির মৃত্যু সম্ভবত ভোটের আগে 'রাশিয়ার বিরোধীদের যেকোনো চিহ্নকে মুছে ফেলা ও চূর্ণ করার চূড়ান্ত কাজ' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।
কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ফেলো তাতিয়ানা স্তানোভায়া বলেন, আগামী মাসে নিশ্চিত বিজয় সত্ত্বেও পুতিন এখনও নির্বাচনে পশ্চিমা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন এবং নাভালনিকে 'জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার জন্য পশ্চিমাদের দ্বারা চালিত প্রতিপক্ষ' হিসেবে দেখেন।
একটি মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেন যে পশ্চিমারা স্থিতিশীলতা হ্রাস করতে এবং তার প্রচারের রাজনৈতিক ক্ষতি করতে এই মুহূর্তটি ব্যবহার করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি তাকে যেকোনো প্রতিকূল প্রকাশের বিরুদ্ধে আরও কঠোর, আরও দমনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে বাধ্য করবে, যা তিনি এসব হস্তক্ষেপের বহিরাগত প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। এটি বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে।’
৪৭ বছর বয়সি নাভালনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুতিনের জন্য বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ২০১১-২০১২ সালে মস্কোতে পুতিনের শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সরকারের দুর্নীতি উন্মোচন করার জন্য সফল প্রচার চালিয়েছিলেন।
গালেওত্তি বলেন, অনেক রুশ নাগরিকের কাছে নাভালনি ছিলেন আশার প্রতীক। এমনকি প্রত্যন্ত আর্কটিক কারাগার থেকেও “ভবিষ্যতের সুন্দর রাশিয়ার” একটি দর্শন পৌঁছে দিয়েছিলেন। রাশিয়ানদের প্রতি ক্রেমলিনের বার্তা "কেবল বেঁচে থাকুন, কেবল আপনার মাথা নিচু রাখুন” অগ্রাহ্য করে এটি একটি স্লোগান ছিল।
২০২০ সালে নাভালনি সাইবেরিয়ায় নার্ভ এজেন্টের বিষক্রিয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন, যার জন্য তিনি ক্রেমলিনকে দায়ী করেছিলেন। তিনি জার্মানিতে সুস্থ হয়ে উঠলেও ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেশে ফেরার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি কারাগারে ছিলেন, চরমপন্থার অভিযোগে তিনবার দোষী সাব্যস্ত হন এবং ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওেয়া হয় তাকে।
নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে পুতিন কোনো মন্তব্য করেননি এবং ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ক্রেমলিনকে দায়ী করে পশ্চিমা নেতাদের বিবৃতিকে 'জঘন্য ও অগ্রহণযোগ্য' বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কিন্তু পশ্চিমা নেতারা ক্রেমলিনের এ ধরনের যেকোনো মন্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। যেমন সন্দেহের চোখে দেখছেন ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে সৈন্যদের সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহের দুই মাস পর ভাড়াটে সেনাপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার বিষয়টি। গত আগস্টের এই দুর্ঘটনাকে ব্যাপকভাবে বিদ্রোহের জন্য ক্রেমলিনের প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হয়েছিল। ২০০০ সালে তার প্রথম নির্বাচনের পর থেকে পুতিনের শাসনের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল এটি।
গোল্ড-ডেভিস বলেন, ‘প্রিগোজিনের মৃত্যুর মতোই নাভালনির মৃত্যুও প্রমাণ করে পুতিন কত নির্মম।’
১০ মাস আগে
ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিতে প্রস্তুত, পুতিনের জন্য ধাক্কা
ফিনল্যান্ড ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিয়েছে। যা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের ফলে মহাদেশের ঐতিহাসিক পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাশিয়াকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে।
মঙ্গলবার নথি হস্তান্তরের মাধ্যমে নর্ডিক জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা জোটে প্রবেশ করেছে।এতে রাশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত দ্বিগুণ হয়েছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ ইউরোপের নিরাপত্তা ভৌগলিক একটি বড় পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েতদের কাছে পরাজয়ের পর দেশটি নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে আগ্রাসন মস্কোর প্রতিবেশীদের মধ্যে ভয়ের কাঁপুনি ওঠার কয়েক মাস পর দেশটির নেতারা জোটে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যতদিন দরকার ততদিন সাহায্য করবে ন্যাটো
এই পদক্ষেপটি পুতিনের জন্য একটি কৌশলগত এবং রাজনৈতিক আঘাত। দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবং আংশিকভাবে এটিকে আক্রমণের ন্যায্যতা হিসাবে ব্যবহার করেছেন। জোট বলেছে যে তারা মস্কোর জন্য কোনো হুমকি নয়।
রাশিয়া সতর্ক করেছে যে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় এটিকে ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য করা হবে। এটি সতর্ক করেছে যে এটি ফিনল্যান্ডের কাছে বাহিনীকে শক্তিশালী করবে যদি ন্যাটো তার ৩১তম সদস্য দেশটিতে অতিরিক্ত সেনা বা সরঞ্জাম পাঠায়।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জোট এড়িয়ে যাওয়া প্রতিবেশী দেশ সুইডেনও আবেদন করেছে। কিন্তু ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ও হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে প্রক্রিয়াটি আটকে আছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ আনুষ্ঠানিক হয়ে ওঠে যখন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে তার যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নথি হস্তান্তর করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট হলো সদস্যপদ সংক্রান্ত ন্যাটো পাঠ্যের ভান্ডার।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
১ বছর আগে
বিতর্ক এড়াতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন
আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রুপ অব ২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে তার যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে সম্ভাব্য মুখোমুখি অবস্থা এড়াতে তার এই সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
জানা গেছে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বালিতে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও অন্যান্য বিশ্ব নেতারা। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এই প্রথম বাইডেন ও পুতিন কোনও সমাবেশে একসঙ্গে মিলিত হবেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
জি-২০ আয়োজনের প্রধান লুহুত বিনসার পান্দজাইতান ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসারে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
পান্ডজাইতান বলেন, ‘ইন্দোনেশীয় সরকার রাশিয়ান সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই এর আগে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে একটি খুব বন্ধুত্বপূর্ণ টেলিফোন কথোপকথনে ব্যাখ্যা করেছিলেন।’
বাইডেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি যদি এই সম্মেলনে যোগ দিতেন, তাহলে তিনি রুশ নেতার সঙ্গে একমাত্র আলোচনা করতে পারতেন, তা হবে রাশিয়ায় কারাবন্দী আমেরিকানদের মুক্ত করার চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন যদি ব্যক্তিগতভাবে বা ভার্চুয়ালি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা বৈশ্বিক সমকক্ষদের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। তারা বয়কট বা অন্যান্য নিন্দা প্রদর্শন নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অনুশোচনা নেই পুতিনের
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
২ বছর আগে
জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে এক সপ্তাহে তিনটি দেশ সফর করবেন। তিনি একটি সম্মেলনের চতুর্থভাগে যোগ দেবেন। এসময় তিনি সম্ভাব্যভাবে চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের শুক্রবার জানিয়েছেন, বাইডেন দক্ষিণ-পূর্বের ইউএস-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কম্বোডিয়ার নমপেনে যাওয়ার আগে ১১ নভেম্বর প্রথম কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য মিশরের শার্ম আল-শেখ যাবেন। পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এরপর তিনি বিশ্বের বেশিরভাগ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের নেতাদের একটি সমাবেশ গ্রুপ অব-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরে প্রেসিডেন্টের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হবে। যেটি নির্ধারণ করবে কোন দল হাউস এবং সিনেট নিয়ন্ত্রণ করবে।
বাইডেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একইসঙ্গে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গেও তিনি মিলিত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ায় জিতলেন জো বাইডেন
তবে পুতিন, শি এবং এমবিএস এখনও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি।
বাইডেন এবং শি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে একসঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন যখন উভয়ই ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন৷ কিন্তু মার্কিন ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে৷
যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের কণ্ঠস্বর রোধ করা, জবরদস্তিমূলক বাণিজ্যের অনুশীলন, গণতান্ত্রিক, স্বশাসিত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক উস্কানি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আট মাস ধরে চলমান যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিচারের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শির সরকার তাইওয়ানের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতির সমালোচনা করেছে। এবং বেইজিং শেষ পর্যন্ত চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করার নামান্তর উল্লেখ করে তাইওয়ানকে কমিউনিস্ট মূল ভূখণ্ড চীনের সঙ্গে একত্রিত করতে উৎসাহিত করেছে।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে মার্কিন ও চীনের কর্মকর্তারা নেতাদের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। তবে এটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
বুধবার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বাইডেন ‘চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান তীব্র প্রতিযোগিতা পরিচালনা করার দায়িত্ব’-এর ওপর জোর দিয়েছিলেন।
বাইডেন বলেন, ‘যেমনটি আমি বলেছি, আমাদের যে সামরিক সুবিধা তা আমাদের অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তবে আমরা এটি স্পষ্ট করছি যে আমরা সংঘাত চাই না।’
বাইডেন পুতিন বা এমবিএসের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংগঠিত করেছে। যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত ইউক্রেন ও এর প্রতিবেশীদের সহায়তার জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করার কয়েক মাস আগে বাইডেন এবং পুতিন ২০২১ সালের জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন। তারা ফেব্রুয়ারিতে ফোনে শেষ কথা বলেছিল, বাইডেন পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে রাশিয়া আক্রমণের জন্য অগ্রসর হলে ‘গুরুতর মূল্যের’ সম্মুখীন হবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন যে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন ওপেক + জোট তেল উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরে সৌদি আরবের জন্য ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে। হোয়াইট হাউস আরও বলেছে যে এটি তেল উৎপাদন হ্রাসের আলোকে রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করছে যে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন যে রাশিয়া, অপর ওপেক + সদস্য, ইউক্রেনে প্রায় আট মাসের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়াকে সাহায্য করবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন লিডারদের বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আলাদাভাবে ভ্রমণ করবেন। তারপরে ফিলিপাইনের ম্যানিলা যাবেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা 'বিব্রতকর': জো বাইডেন
প্রথমেই যেসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন
২ বছর আগে
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অনুশোচনা নেই পুতিনের
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য পাঠানো সেনাদের একত্রিকরণের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, এর ফলে অজনপ্রিয় ও বিশৃঙ্খল অবস্থার অবসান হবে।
ক্রমবর্ধমান উন্নত পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় পুতিন রাশিয়ার অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও সামরিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারপরও শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সংঘাত শুরু করার জন্য অনুশোচনা করেন না এবং প্রায় আট মাস আগে যখন তিনি রুশ সৈন্যদের আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন তিনি ইউক্রেনকে ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
কাজাখস্তানের রাজধানীতে কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার পর তিনি বলেন, ‘আজ যা ঘটছে তা অপ্রীতিকর, বাস্তবতা আরও খারাপ। কিন্তু আমাদের জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতিতে এই সবকিছু একটু পরেই হত, এইতো।’
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
গত মাসে পুতিন যে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে অবৈধভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ড বলে দাবি করেছিলেন তার মধ্যে একটিতে রাশিয়ার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে এর অসুবিধাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রগতির আশঙ্কায় খেরসন অঞ্চলে মস্কো নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি পুতিনের নিজস্ব সমর্থকদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রেমলিনের যুদ্ধ পরিচালনা ও সৈন্য একত্রিকরণের সমালোচনা করেছেন। রাশিয়ার পক্ষে মোড় ঘুরিয়ে দিতে আরও কিছু করার জন্য তার ওপর চাপ বাড়ছে।
সৈন্য একত্রিকরণ সম্পর্কে পুতিন বলেন যে গত মাসে তিনি যে পদক্ষেপের আদেশ দিয়েছিলেন তাতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে তিন লাখের মধ্যে দুই লাখ ২২ হাজার সৈন্য নিবন্ধিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে মোট ৩৩ হাজার জন সামরিক ইউনিটে যোগ দেয় এবং ১৬ হাজার জনকে যুদ্ধের জন্য মোতায়েন করা হয়।
পুতিন এক হাজার ১০০ কিলোমিটার ফ্রন্ট লাইনে লড়াইকে জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণ মস্কোর সামরিক প্রতিপত্তিতে ব্যাহত করছে। একটি দেশে ৬৫ বছরের কম বয়সী প্রায় সকল পুরুষই সংরক্ষিত হিসেবে নিবন্ধিত। যেখানে কে খসড়া তালিকার জন্য যোগ্য তা নিয়ে বিভ্রান্তির সঙ্গে সৈন্য একত্রিকরণ শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ে।
আদেশটির বিরোধিতা বেশ শক্তিশালী ছিল। এতে হাজার হাজার পুরুষ রাশিয়া ছেড়ে চলে যায় এবং অন্যরা রাস্তায় প্রতিবাদ করে। সমালোচকরা সন্দেহ করেন যে খসড়া তালিকাটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।
১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী পুরুষদের জন্য রাশিয়ার বছরের শেষ অংশে খসড়া চলাকালীন তালিকাভুক্ত অফিসগুলোকে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া করার অনুমতি দেয়ার জন্য তারা শুধুমাত্র একটি বিরতির পূর্বাভাস দিয়েছে। যা ১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
অধিগ্রহণ করা অঞ্চলগুলোকে রক্ষায় সব উপায় ব্যবহার করবে রাশিয়া: পুতিন
২ বছর আগে
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এ কাজ ঘটিয়েছে উল্লেখ করে একে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন।
রুশ বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট হিসেবে পরিচিত ক্রিমিয়া সেতু বা কের্চ সেতুতে শনিবার একটি ট্রাক বিস্ফোরণে এর কিছু অংশ নদীতে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সেতুতে সড়ক ও রেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়ার তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় রবিবার পুতিন বলেছেন, ‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে এটি রাশিয়ান ফেডারেশনের সমালোচনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি সন্ত্রাসী কাজ ছিল। এবং যারা এটির আদেশ দিয়েছেন তারা ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর সদস্য।’
ব্যাস্ট্রিকিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এবং রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা এই হামলায় অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
ব্যাস্ট্রিকিন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ট্রাকের রুট স্থাপন করেছি, এটি বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, উত্তর ওসেটিয়া এবং দক্ষিণ রাশিয়ার একটি অঞ্চল ক্রাসনোদর পর্যন্ত ছিল।’
এদিকে কিয়েভে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক পুতিনের অভিযোগকে ‘রাশিয়ার জন্যও খুব নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুতিন ইউক্রেনকে সন্ত্রাসবাদের জন্য অভিযুক্ত করেছেন? এখনও ২৪ ঘণ্টা হয়নি যেখানে রাশিয়ার বিমানগুলো জাপোরিঝিয়ায় একটি আবাসিক এলাকায় ১২টি রকেট নিক্ষেপ করেছে, এতে ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এটি একমাত্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী এবং সারা বিশ্ব জানে সে কে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
ইউক্রেনের ৪টি অঞ্চলে গণভোটের বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো
২ বছর আগে
অধিগ্রহণ করা অঞ্চলগুলোকে রক্ষায় সব উপায় ব্যবহার করবে রাশিয়া: পুতিন
আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ক্রেমলিনের সেন্ট জর্জ হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলকে অধিগ্রহণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেনসহ গোটা পশ্চি দুনিয়া রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে।
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণ করার চুক্তি-সাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে দেয়া এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এ অঞ্চলগুলোকে অধিগ্রহণ করতে এক আইনে সাক্ষর করবেন এবং নতুন অধিগ্রহণ করা এই অঞ্চলগুলোক রক্ষায় ‘সমস্ত সম্ভাব্য উপায়’ ব্যবহার করবেন তিনি।
বক্তব্যে পুতিন সতর্ক করে বলেন, তার দেশ কখনই অধিগ্রহণ করা এলাকা ছেড়ে দেবে না এবং তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে এগুলোকে তারা রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় স্কুলে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩, আহত ২১
এসময় তিনি ইউক্রেনকে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি অধিগ্রহণ করা অঞ্চল সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা জানান।
রাশিয়াকে ‘উপনিবেশ’ ও ‘দাসত্বে’ পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শত্রুতা বৃদ্ধিতে ইন্ধন দেয়ার জন্য পশ্চিমাদেরকে তিনি অভিযুক্ত করেন।
রাশিয়ায় যোগদানের বিষয়ে ক্রেমলিনের করা ‘গণভোট’ শেষ হওয়ার তিন দিন পরেই এ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হয়।
যদিও কিয়েভ ও পশ্চিমারা এটিকে বন্দুকের মুখে অনুষ্ঠিত এবং মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত নির্লজ্জভাবে জমি দখল হিসেবে আখ্যায়িত করে পুতিনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে।
সাত মাস ধরে তীব্র যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে যোগদানের জন্য পুতিন ওইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের প্রধানদের চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান হলো।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণ করার কয়েক সপ্তাহ পর ২০১৪ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলগুলো মস্কোর সমর্থন পেয়ে আসছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর পরই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া দখল করে রাশিয়া।
ক্রেমলিন-নিয়ন্ত্রিত রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ আগামী সপ্তাহে রাশিয়ায় যোগদানের জন্য অঞ্চলগুলোর চুক্তিগুলোকে চূড়ান্ত করার জন্য বৈঠক করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পুতিনের কাছে পাঠাবে।
রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের কথা উল্লেখ করে পুতিন এবং তার লেফটেন্যান্টরা এ অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে কোনো রকম আক্রমণ করার ব্যাপারে ইউক্রেনকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন।
তারা বলেছেন যে রাশিয়া এটিকে তার সার্বভৌম ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখবে এবং প্রতিশোধের জন্য ‘সমস্ত সম্ভাব্য উপায়’ ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না।
লুহানস্ক ও খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ, ডোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় ৬০ ভাগ এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি বড় অংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন যে মস্কোর লক্ষ্য সম্পূর্ণ ডোনেৎস্ক অঞ্চলকে ‘মুক্ত করা’।
ইউক্রেনের এই অঞ্চলগুলো অধিগ্রহণ করার ঘোষণার মধ্য দিয়ে জন্য গত সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধের একটি বিপজ্জনক নতুন পর্বের সূচনা হলো বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
রাশিয়া শুক্রবারও ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র,রকেট ও আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে। এমনকি একটি হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্রেমলিন শুক্রবার তার নির্ধারিত অধিগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে ইউক্রেনকে আরেকটি সতর্কবাণী দিয়েছে।
যাতে বলা হয়েছে, ওই চারটি অঞ্চল ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ইউক্রেনের লড়াই করা উচিত নয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মস্কো দখলকৃত ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলাকে দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখবে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ইতালিতে ভোট: ঐতিহাসিক জয়ের পথে কট্টর ডানপন্থী মোলোনি
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত
২ বছর আগে
‘এখন যুদ্ধের সময় নয়’:এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনকে মোদি
প্রায় সাতমাস ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের এই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বললেন, এখন ‘যুদ্ধের সময় নয়’।
শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও)শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে একথা বলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেতদনে জানিয়েছে,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই দুই নেতা প্রথমবার সমরখন্দে মুখোমুখি হলেন।
এসময় মোদি পুতিনকে বলেন, ‘আমি জানি আজকের যুগ যুদ্ধের যুগ নয়।’
রাশিয়ার প্রধান মিত্র চীনের ইউক্রেনের সংকট নিয়ে ‘উদ্বেগ’ রয়েছে বলে পুতিনের স্বীকারোক্তির পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এই মন্তব্য করেন।
এসময় পুতিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিস্তারে বলেন যে তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে চান এবং তিনি ভারতের উদ্বেগকে স্বীকার করেছেন।
পড়ুন: পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুতিন মোদিকে বলেন ‘আমি ইউক্রেনের সংঘাতের বিষয়ে আপনার অবস্থান ও আপনার উদ্বেগ সম্পর্কে জানি... আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে, মোদি ও পুতিন দ্বিপক্ষীয় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আরোচনা করেছেন।
ইউক্রেন আক্রমণের জন্য ভারত রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানায়নি। সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের জন্য জোর দিয়েছে নয়াদিল্লি।
স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং রাশিয়া-ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বেইজিংয়ের ‘উদ্বেগ’ রয়েছে বলে পুতিনের স্বীকার করা সত্ত্বেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার বলেছেন যে বেইজিং ‘একে অপরের মৌলিক স্বার্থ’ এগিয়ে নিতে রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: গাড়ি বোমা হামলায় ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ খ্যাত দুগিনের মেয়ের মৃত্যু
ঢাকা-মস্কো গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে: পুতিন
২ বছর আগে
ইউক্রেনের খারকিভ থেকে ‘পুতিনের সমর্থক’ আটক
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সমর্থন জানানোর অভিযোগে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী (এসবিইউ) খারকিভের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ভিক্টর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। শুক্রবার আটক করা ভিক্টরের সম্পূর্ণ নাম-ঠিকানা জানায়নি এসবিইউ।
এসবিইউ জানায়, ‘নাজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসংখ্য পোস্ট দিয়েছেন ভিক্টর।
এছাড়াও তিনি জাতীয় পতাকাকে মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে ওই অঞ্চলসমূহকে পৃথক করে দেয়ার আহ্বান জানান।
এসবিইউ-এর সম্মুথে নিজের দোষ স্বীকার করে ভিক্টর বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সমর্থন করেছি (ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসন)।এ জন্য আমি দুঃখিত…..আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলেছি।’
ভিক্টর খারকিভ অঞ্চলের কমপক্ষে ৪০০ জনের একজন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর ইউক্রেনের পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশ করা সহযোগিতা বিরোধী আইনের অধীনে যাদের আটক করা হয়েছিল।
রুশ বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করা, রুশ আগ্রাসনের কথা প্রকাশ্যে অস্বীকার করা বা মস্কোকে সমর্থন করার অপরাধে ১৫ পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এমনকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘সহযোগিতা করা অপরিহার্য’
যদিও জেলেনস্কি সরকারের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে, এমনকি অনেক রুশ ভাষাভাষীরাও তার সরকারকে সমর্থন করছে। তবে সব ইউক্রেনীয়রা রুশ এই আক্রমণের বিরোধিতা করে না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সফরকালে নাগরিকদের ওপর হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নিন্দা
পূর্বাঞ্চলের শিল্প অঞ্চল ডনবাসের কিছু রুশভাষী বাসিন্দারা মস্কোকে সমর্থন করছে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধের আগেই এ অঞ্চলে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর মধ্যে আট বছর ধরে চলা সংঘর্ষে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ওলেক্সি দানিলভ বলেছেন, ‘সহযোগীদের একটি তালিকা’ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে। তবে দেশব্যাপী কতজন এই তালিকায় রয়েছে তা প্রকাশ করেননি তিনি।
সামরিক আইনের অধীনে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ ১১টি রুশপন্থী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। যার মধ্যে ৪৫০-সদস্যের সংসদে ২৫টি আসন থাকা বিরোধী দল প্ল্যাটফর্ম ফর লাইফও রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী কর্মীরা সক্রিয় লড়াইয়ে অংশ নিয়ে সরাসরি গোলাবর্ষণরে কাজ করছে।
এসবিইউ এর খারকিভ শাখার প্রধান রোমান দু্যদিন দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হল আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পিঠে কেউ যেন ছুরি মারতে না পারে; সে ব্যবস্থা করা।’
তিনি আরও বলেন, খারকিভ শাখা এমন লোকদের আটক করছে যারা আক্রমণকে সমর্থন করে, বিচ্ছিন্নতাবাদের ডাক দেয় এবং যারা দাবি করে যে ইউক্রেনীয় বাহিনী নিজেরাই তাদের শহরগুলোতে গোলাগুলি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া
পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
২ বছর আগে
পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করবেন। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, গুতেরেস মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন।
পরে জাতিসংঘ জানায়, গুতেরেস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবারের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে যাবেন।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কিয়েভে দূতাবাস খুলবে যুক্তরাজ্য
জাতিসংঘের মুখপাত্র এরি কানেকো বলেছেন, দুই সফরেই গুতেরেস যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং মানুষকে নিরাপদে নিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য ‘এখনই নেয়া যেতে পারে এমন পদক্ষেপ’ নিয়ে আলোচনা করা লক্ষ্য স্থির করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গুতেরেস ইউক্রেনে শান্তি আনতে জরুরিভাবে কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলার আশা করছেন।’
দুই মাস আগে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকেই যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় অবদানের জন্য পুরস্কার পেলেন জেলেনস্কি
২ বছর আগে